ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রফিকুল হক ‘দাদুভাই’য়ের ৮৩তম জন্মদিন আজ

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ৮ জানুয়ারি ২০১৯

রফিকুল হক ‘দাদুভাই’য়ের ৮৩তম জন্মদিন আজ

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক, শিশুসংগঠক ও প্রবীণ সাংবাদিক রফিকুল হক ‘দাদুভাই’য়ের ৮৩তম জন্মদিন আজ। জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন চাঁদের হাটের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তার দাদুভাই নামকরণ। ছয় দশক ধরে তিনি ছোটদের এবং বড়দের জন্য লিখে চলেছেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালী জাতীয়তাবাদের চেতনায় উজ্জীবিত এ কলমসৈনিক স্বাধিকার আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে সক্রিয় ও তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বাংলাদেশে প্রথম ছড়া লেখার কৃতিত্বের অধিকারী তিনি। মরমী সঙ্গীতশিল্পী আবদুল আলীমের কণ্ঠে তার লেখা গান ‘নাইয়ারে নায়ের বাদাম তুইলা, কোন দূরে যাও চইলা’ আজও গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের প্রিয় গান। দাদুভাই দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন। রফিকুল হকের জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৩৭। পিতা মরহুম ইয়াছিন উদ্দিন আহম্মদ, মাতা মরহুমা রহিমা খাতুন। পৈত্রিক নিবাস রংপুর শহরের কামালকাচনায়। আদি নিবাস ভরতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার শহরে। ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা হামিদা হকের মৃত্যুর পর তিনি আবার বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে ছোট ছেলে জ্যোতি হক শিক্ষার্থী অবস্থায় এক দুর্ঘটনায় নিহত হন। রফিকুল হক দাদুভাই একজন স্বনামধন্য গীতিকার ও নাট্যকার। টেলিভিশন ও বেতারের মাধ্যমে তার লেখা অসংখ্য বড়দের ও ছোটদের নাটক এবং শিশুতোষ গান দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে। মরমী সঙ্গীতশিল্পী আবদুল আলীমের কণ্ঠে তার লেখা গান ‘নাইয়ারে নায়ের বাদাম তুইলা, কোন দূরে যাও চইলা’ আজও গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের প্রিয় গান। দাদুভাই দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন। অধুনালুপ্ত দৈনিক ‘পূর্বদেশ’র ছোটদের পাতা ‘চাঁদের হাট’-এর সম্পাদক দাদুভাই এ সময়ের অনেক খ্যাতিমান লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীর প্রতিষ্ঠার ভিত তৈরি করেছেন। উপমহাদেশে শিশু-কিশোরদের প্রথম সংবাদপত্র ‘কিশোর বাংলা’ তার সম্পাদনায় ঢাকা থেকে দীর্ঘদিন প্রকাশ হয়। তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক যুগান্তরের ফিচার সম্পাদক। বাংলা শিশুসাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রফিকুল হক দেশ ও বিদেশে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। শিশুসাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ২০০৯ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ফেলোশিপ লাভ করেন। ১৪২০ বাংলা সনে তাকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। আজ রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে চাঁদের হাটের বিভিন্ন শাখা, সাহিত্যানুরাগী ও গুণগ্রাহীরা বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে জাঁকজমকভাবে দাদুভাইয়ের ৮৩তম জন্মদিনের উৎসব পালন করছে। ঢাকায় তোপখানা রোডে তার নিজের গড়া চাঁদের হাটের উদ্যোগে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এছাড়া কবি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার পক্ষ থেকেও তাকে সংবর্ধনা জানানো হবে।
×