ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জমি বদল করতে রাজি না হওয়ায় বাড়ি ঘেঁষে গর্ত !

প্রকাশিত: ০৫:২০, ৮ জানুয়ারি ২০১৯

জমি বদল করতে রাজি না হওয়ায় বাড়ি ঘেঁষে গর্ত !

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ, ৭ জানুয়ারি ॥ উপজেলার সুন্দাইল গ্রামে জমি বদল করতে রাজি না হওয়ায় জেদের বশে বসতভিটা ঘেঁষে গভীর গর্ত খুঁড়ে মাটি নিয়ে গেছে। এতে বাড়িটির মধ্যে বসবাসকারী শিশু সহ ৩০ জন বাসিন্দা চরম ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সোমবার দুপুরে সুন্দাইল গ্রামে গিয়ে জানা যায়, নজরুল ইসলাম, হারিছ মিয়া ও বাচ্চু মিয়া সম্পর্কে চাচাত ভাই। তাদের প্রতিবেশী হচ্ছেন আলী ওছমান। এই চারটি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এক উঠোনকে কেন্দ্র করে বসবাস করে আসছেন। এদের মধ্যে হারিছ মিয়া আলাদা বাড়ি তৈরি করার জন্য চাচাত ভাই নজরুলের অন্য একটি জমি বদলের দাবি করে। জায়গাটি বদল হলে হারিছ পছন্দমতো একটি বাড়ি তৈরি করতে পারেন। কিন্তু জমি বদলের প্রস্তাবে রাজি হননি নজরুল। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে বেশ কয়েকটি সালিশ অনুষ্ঠিত হলেও এ বিষয়টি কোন সমাধান হয়নি। এদিকে জেদের বশে নতুন বাড়ি তৈরির জন্য হারিছ নিজের বসতবাড়ি ভেঙ্গে ওই সীমানায় বাড়ির ভেতর মাটি খুঁড়ে প্রায় সাতফুট গভীর গর্ত খনন করেছে। এতে বাড়ির অন্য বাসিন্দাদের বসতঘর এখন হুমকির মুখে পড়েছে। বাড়ির শিশুদের রক্ষার জন্য বিশাল গর্তের চারপাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাখা হয়েছে। এতে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছে বাড়ির বাসিন্দারা। এই বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, জমি বদলের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রতিশোধ নেয়ার জন্য এ কাজ করেছে। তার সাড়ে তিন শতক জমির বদলে আট শতক জমি দাবি করেছিল হারেছ মিয়া। বাড়ির অপর বাসিন্দা আলী ওছমান বলেন, ভিটা ঘেঁষে গর্ত করায় আমার পুরো বসতঘর হুমকির মুখে রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ভেঙ্গে পুরো বাড়ি গর্তে চলে যাবে। অভিযুক্ত হারিছ মিয়া এ বিষয়ে বলেন, আমার প্রয়োজনে আমার ভিটা আমি খুঁড়েছি। সালিশকারীরা অনেক চেষ্টা করেও এর সমাধান দিতে পারেননি। প্রয়োজন পড়লে আরো খুঁড়ে মাটি আনবো। আমার ঘর তো তৈরি করতে হবে। এলাকার সালিশকারী আব্দুল বারেক বলেন, আমি কয়েকটি সালিশ করলেও বসতভিটা খুঁড়তে বলিনি। এ বিষয়ে জানার জন্য এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আশরাফুজ্জামান খুকন মুঠোফোনে বলেন, একটি দরবারে আমি উপস্থিত ছিলাম। দু‘জনকেই আপোসের মাধ্যমে জমি ভাগ করার কথা বলেছি। মাটি খোঁড়ার বিষয়ে আমার জানা নেই। নান্দাইল উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, এভাবে জমি বদলের কোন নিয়ম নেই।
×