ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মো এ্যান্ড দ্য শূটিং স্টারসের মুগ্ধতার সঙ্গীতসন্ধ্যা

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ৮ জানুয়ারি ২০১৯

মো এ্যান্ড দ্য শূটিং স্টারসের মুগ্ধতার সঙ্গীতসন্ধ্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একই অঙ্গে যেন বহুরূপ। সঙ্গীতসন্ধ্যার শুরুটা হয় বাংলা গানের সুরে। বাংলা গান থামতেই ভেসে বেড়ায় অসমিয়া গানের সুর। এরপর বহুমাত্রিক ধারার সঙ্গীতে সজ্জিত সঙ্গীতাসরে শ্রোতারা শুনতে পায় হিন্দী গানের সুর। সমানতালে ব্যান্ড দলটি পরিবেশন করে পশ্চিমা সঙ্গীত। বাদ যায়নি রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে ভূপেন হাজারিকার জীনমুখী গান। এভাবেই নানা আঙ্গিকের গানে সুররসিকের মন মাতালো ভারতের শিলংয়ের ব্যান্ডদল ‘মো এ্যান্ড দ্য শুটিং স্টারস’। সোমবার শীতল সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফোক ফিউশন নির্ভর সঙ্গীত দলটির কনসার্ট। এই সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন করে ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (আইজিসিসি)। সঙ্গীতানুষ্ঠান শুরুর আগে কথা হয় মো এ্যান্ড দ্য শুটিং স্টারস নামক সঙ্গীতদলটির প্রধান গায়িকা মৃন্ময়ী শর্মার সঙ্গে। বাংলাদেশে প্রথম সফরেই ভাল লাগার কথা তুলে ধরে শিল্পী বলেন, এ দেশের মানুষগুলো খুব ভাল। সহজেই আপন করে নেয়। তাদের আতিথেয়তা থেকে শুরু করে সবকিছুর মধ্যেই রয়েছে দারুণ আন্তরিকতা। এ দেশ সম্পর্কে কিছু নেতিবাচক ধারণা থাকলেও, দেশটিতে পা রেখে দারুণ উচ্ছ্বসিত হলাম। এ দেশের পোশাকও চমৎকার মনে হয়েছেন। নিজেদের সঙ্গীত ধারাকে ফোক ফিকশন উল্লেখ করে তিনি বলেন, লোকগানের সুরটাকে ধরে রেখে আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা সঙ্গীত পরিবেশন করি। যেটা অন্য দেশের মানুষের মাঝে খুব কম পাওয়া যায়। এর বাইরে বাংলাদেশের সঙ্গীত থেকে খাদ্যÑসবকিছুই সুন্দর মনে হয়েছে। আয়োজনের শুরুতেই ব্যান্ড দলটিকে পরিচয় করিয়ে দেন ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক ড. নীপা চৌধুরী। এরপর শুরু হয় পরিবেশনা পর্ব। সুর আর তালকে ধরে মঞ্চজুড়ে যেন প্রজাপতির মতো উড়তে থাকেন মৃন্ময়ী শর্মা। প্রথমেই কণ্ঠে তুলে নেন বাংলা গান। গেয়ে শোনান ‘সোনার বরণ পাখি তেঁতুল বরণ আঁখি’। পরের গানে শিল্পী আশ্রয় অসমিয়া ভাষার। গেয়ে শোনান ‘জাখোয়া’ শীর্ষক গান। এরপর আসে হিন্দী গানের পালা। শ্রোতাকে মুগ্ধ করে একে একে গাইলেন ‘প্যাহেলি বার’, ‘সেনোরিটা’, ‘ক্যায়সে প্যাহেলি’ ‘আজিব দাস্তান’, ‘লেকিন মেরা দল’, ‘হে দোলা’, ‘জিয়া রে’, ‘দিল দিয়া গালিয়া’, ‘বুম বুম’ ও ‘ডিসকো দিওয়ানে’। পরিবেশিত ইংরেজী গানগুলোর শিরোনাম ছিল ‘আই উইল সারভাইভ’, ‘হ্যাভ ইউ এভার সিন দ্য রেইন’ ও ‘ড্যান্সিং কুইন’। রবীন্দ্রনাথের সুরকে আশ্রয় করে শুনিয়েছেন ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে/একলা চলো রে’। ছয় সদস্যের ব্যান্ডদলটির মূল কণ্ঠশিল্পী মৃন্ময়ী। তার সঙ্গে লিড গিটার ও কণ্ঠে ছিলেন অমরিশ, বেস গিটারে পার্থ, কি-বোর্ডে রাকেশ, ড্রামে বিরাজ এবং সহযোগী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ছিলেন কামরিন হাজারিকা। প্রায় দুই ঘণ্টার পরিবেশনায় দলটি গেয়ে শোনায় ভূপেন হাজারিকা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান। সে সঙ্গে জনপ্রিয় হিন্দী ও ইংরেজী গানের পরিবেশনা মুগ্ধ করে দর্শক-শ্রোতাদের।
×