অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের শেয়ারবাজারে চলতি বছরে টানা চার কার্যদিবসের বড় উত্থান শেষে সোমবার পতন হয়েছে। একইসঙ্গে কমেছে আর্থিক লেনদেন ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং ইউনিটের দর। বিনিয়োগকারীদের দ্রুত মুনাফা তোলার প্রবণতার কারণেই এই দরপতন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরু হয়। কিন্তু কিছু সময় পরই শেয়ারের মুনাফা তোলার চাপ বাড়তে থাকে। আবার শেয়ার দর ঘুরে দাঁড়ায় কিন্তু ওঠানামা শেষে শেষ পর্যন্ত আর সূচক উর্ধগতি ধরে রাখতে পারেনি। দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩২ পয়েন্ট। যা এর আগে রবিবার ৯৬ পয়েন্ট, বৃহস্পতিবার ৯৪ পয়েন্ট, বুধবার ৩১ পয়েন্ট ও ১ মঙ্গলবার ৮০ পয়েন্ট বেড়েছিল। এই উত্থানের মাধ্যমে ডিএসইএক্স ৫ হাজার ৬৮৭ পয়েন্টে উঠেছিল। এক্ষেত্রে চলতি বছরের প্রথম ৪ কার্যদিবসে সূচক বেড়েছিল ৩০১ পয়েন্ট।
এদিন ডিএসইতে ৯৬৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের দিন ছিল ১ হাজার ২৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ৬১ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা ৬ শতাংশ।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৫টি কোম্পানির মধ্যে ১১৬টি বা ৩৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দাম কমেছে ১৯৯টি বা ৫৭ শতাংশ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টি বা ৯ শতাংশ কোম্পানির।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। এদিন কোম্পানির ২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ২২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২১ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিবিএস কেবলস। লেনদেনে এরপর রয়েছেÑ সিঙ্গার বিডি, বেক্সিমকো, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, ড্রাগন সোয়েটার, গ্রামীণফোন, বিডি থাই ও প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৪৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩০৯ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৭৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দর। আর ৪১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: