ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কে না চায় তারুণ্য-দীপ্ত-উজ্জ্বল ত্বক? কিন্তু ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে বয়সও যেন চুপিসারে এগিয়ে যেতে থাকে। হঠাৎ করেই একদিন চোখের পাশের ফাইন লাইন, কুচকে যাওয়া ত্বক বা ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। অনেকের হয়ত সামর্থ্য আছে দামী ক্লিনিক্যাল ট্রিটমেন্ট করিয়ে বয়সের ছাপ দূর করে

ধরে রাখুন লাবণ্য

প্রকাশিত: ০৬:৫৭, ৭ জানুয়ারি ২০১৯

ধরে রাখুন  লাবণ্য

মধু : এজিংয়ের প্রথম কথায় চলে আসে রিঙ্কেলের কথা। আর রিঙ্কেল থেকে দূরে থাকতে চাইলে প্রয়োজন ত্বককে যথাযথভাবে ময়েশ্চারাইজ করা। ত্বক যদি আর্দ্র থাকে, তাহলে সেখানে রিঙ্কেল আসে দেরিতে। আর ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষায় মধুর কোন জুড়ি নেই। এটি ত্বকের ড্যামাজ সারিয়ে তোলে এবং ত্বককে পুনরায় উজ্জীবিত করে তোলে। খুব বেশি ঝামেলায় না যেতে চাইলে ২-৩ চামচ মধু নিয়ে মুখে, গলায়, ঘারে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এটা থেকে ভাল ফল পেতে রোজ করতে পারেন, অথবা একদিন পরপর। ডিমের সাদা অংশ : ডিমের সাদা অংশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, প্রোটিন এবং জিঙ্ক। যা ত্বককে টান টান ও মসৃণ করে তোলে। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো- একটি ডিমের কুসুমের সঙ্গে ১ চা চামচ দুধের ক্রিম ও এক চামচ পরিমাণ লেবুর রস মেশাতে হবে। ভাল করে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফলাফল পেতে সপ্তাহে তিনদিন এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। টক দই : টক দইতে আছে প্রচুর পরিমাণে রিঙ্কেল প্রতিরোধকারী উপাদান। যেমন- ভিটামিন, মিনারেল ও এনজাইম, যা আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়াও টক দইয়ের ল্যাকটিক এসিড ত্বকের পোরসগুলোকে সঙ্কুচিত করে ত্বককে টান টান করতে সাহায্য করে। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো- ২ চা-চামচ টক দই, এক চামচ মধু ও এক চা-চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে এতে মেশাতে হবে এক চিমটি হলুদ। এরপরে একটি ভিটামিন-ই ক্যাপসুল নিয়ে খুব সাবধানে এর ওপর থেকে সামান্য কেটে নিয়ে তেলটুকু আগে বানানো প্যাকের সঙ্গে মেশাতে হবে। এই প্যাকটি মুখে, গলার ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখতে হবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এরপরে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। কার্যকরী ফলাফল পেতে এই প্যাকটি সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করুন। গোলাপ জল : ত্বকের যত্নে গোলাপজলের উপকারিতার শেষ নেই। এর রয়েছে রিজুভিনেটিং উপাদান। খুব সহজেই এটি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। একটি বাটিতে ২ চা-চামচ গোলাপজল, ১-২ চা-চামচ লেবুর রস আর কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপরে একটি তুলার বলের সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। এই প্যাকটি রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ভালভাবে পরিষ্কার করে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করে শুয়ে পড়ুন। পানি দিয়ে ধোয়ার কোন দরকার নেই। সারা রাত এটি আপনার ত্বকের ওপর কাজ করবে। নারিকেলের দুধ : নারিকেলের দুধে আছে প্রচুর পরিমাণে এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা ত্বকের রিঙ্কেল রোধ করতে খুবই কার্যকরী। ২-৩ চামচ নারিকেলের দুধ নিয়ে একটি তুলোর বলের সাহায্যে পুরো মুখে ও গলায় লাগিয়ে নিন। বিশ মিনিট অপেক্ষা করে ঠা া পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন। কলা : হাতের কাছে পাওয়া এই ফলটি আপনার ত্বকে অসাধারণ পরিবর্তন আনতে সক্ষম। ছোট একটি পাকা কলা নিয়ে ভাল করে চটকে নিন। এবার এর সঙ্গে মেশান এক চা-চামচ গোলাপ জল, এক চামচ মধু ও এক চামচ টক দই। মিশ্রণটি একটু সময় নিয়ে ভাল করে একটি পেস্টের মতো তৈরি করতে হবে। এরপরে মুখে, গলায় ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপরে ঠান্ডা পানিতে ভাল করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করলেই দেখবেন ত্বকে লক্ষ্য করার মতো পরিবর্তন এসেছে। উপরে উল্লেখিত প্যাকগুলো নিয়মিত ব্যবহার করুন। তবে কেমিক্যাল প্রোডাক্টের মতো এগুলো রাতারাতি পরিবর্তন এনে দেবে না। ধৈর্য ধরে ২-৩ মাস ব্যবহার করুন। তবেই কাক্সিক্ষত ফল পাওয়া যাবে। ভাল থাকুন, সুন্দর থাকুন। মডেল : অন্তি মেকআপ : জারা’স বিউটি লাউন্স ড্রেস : ওমেন্স ড্রেসি ডেল, ছবি : এ্যানি
×