ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মন্ত্রী হওয়ার খবরে যশোর ও টাঙ্গাইলে আনন্দ উল্লাস

প্রকাশিত: ০৬:০২, ৭ জানুয়ারি ২০১৯

 মন্ত্রী হওয়ার খবরে যশোর ও টাঙ্গাইলে আনন্দ উল্লাস

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ও নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ সত্যিই যে চাঁদ কপাল নিয়েই জন্ম নিয়েছেন তিনি। তিনি আর কেউ নন। তিনি হলেন যশোর-৫, মণিরামপুর আসনের নবনির্বাচিত এমপি স্বপন ভট্টাচার্য্য। নতুন মন্ত্রিসভার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তা আরেকবার প্রতিফলিত হলো। রবিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বপন ভট্টাচার্য্য মন্ত্রী হচ্ছেন- এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর দুপুরের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব নতুন মন্ত্রী শপথ নিতে যাচ্ছেন সেই তালিকায় স্বপন ভট্টাচার্য্যরে নাম থাকায় দলীয় নেতাকর্মীসহ এ সংসদীয় আসনের আম জনতার মাঝে উৎফুল্লতা দেখা যায়। পরে নতুন মন্ত্রিসভার নামের তালিকায় তার নাম বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় এ সংসদীয় আসনের সর্বস্তরের মানুষ আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, স্বপন ভট্টাচার্য্যরে মন্ত্রী হওয়ার খবরে শুধু আওয়ামী লীগ পরিবার না। এ সংসদীয় আসনের সর্বস্তরের মানুষ এখন আনন্দে ভাসছে। একই সঙ্গে তাকে মন্ত্রী করায় আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। মণিরামপুর কলেজের অধ্যক্ষ তাপস কুমার কুন্ডু বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত ‘গ্রাম হবে শহর’ এর বাস্তবায়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিকে স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ থেকে তিনিই প্রথম মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে চলেছেন। আর দীর্ঘ ৩১ বছর পর মণিরামপুর থেকে স্বপন ভট্টাচার্য্য এলজিআরডি (স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়) মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আজ (সোমবার) শপথ নিতে চলেছেন স্বপন ভট্টাচার্য্য। এ নিয়ে যশোর-৫, মণিরামপুর আসন থেকে পরপর দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন স্বপন ভট্টাচার্য্য। এর আগে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির শাসনামলে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান বর্তমান বিএনপির শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশের সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস। তিনি সদ্যসমাপ্ত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে চরম ভরাডুবি হয় তার। টাঙ্গাইল ॥ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের মন্ত্রিপরিষদে এবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সহচর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী টানা ৪ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি এবার কৃষিমন্ত্রী হচ্ছেন। রবিবার দুপুরে তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কৃষিমন্ত্রীর জন্য ফোন পেয়েছেন। এ খবরে টাঙ্গাইলের সর্বস্তরে আনন্দ-উল্লাস ছড়িয়ে পড়েছে। ড. আব্দুর রাজ্জাক এবার নৌকা প্রতীকে প্রায় পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জামানত হারিয়েছেন। টানা চতুর্থ বার বিপুল ভোটে জয়লাভ করায় তার নির্বাচনী এলাকা টাঙ্গাইল-১ মধুপুর ও ধনবাড়ীর সাধারণ মানুষ আবারও মন্ত্রী করায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। জানা যায়, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামে জন্ম নেয়া প্রখ্যাত কৃষি বিজ্ঞানী ড. আব্দুর রাজ্জাক সরকারী চাকরিতে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। বিগত ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে প্রথম এমপি নির্বাচিন হন। এরপর রাজনীতির মাঠে আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দুঃসময়ের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা বর্তমান জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইস্তেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দিয়ে আওয়ামী লীগকে মধুপুর ও ধনবাড়ী তথা টাঙ্গাইল জেলায় শক্তিশালী ও সুদৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়ে শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী আদর্শের সৎ, কর্মঠ ও জনপ্রিয় এ নেতার দূরদর্শিতায় টাঙ্গাইলের সব জনপ্রতিনিধি এখন আওয়ামী লীগে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সুখ-দুঃখের ভাগিদার ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি কালক্রমে সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আস্তা ও ভরসার প্রতীক এবং শেষ ঠিকানায় পরিণত হয়েছেন। শুধু স্থানীয় রাজনীতিতে নয় জাতীয় রাজনীতিতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শেখ হাসিনার বিশ্বস্ততা অর্জন করেছেন। এ বিষয়ে নতুন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেন, মন্ত্রিপরিষদে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা অবশ্যই সততা, নিষ্ঠা ও কাজের মূল্যায়ন করেছেন। আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করব।
×