ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢামেকে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টার চালু

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৭ জানুয়ারি ২০১৯

  ঢামেকে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টার চালু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্ঘটনায় আহত বা মারাত্মকভাবে জখম রোগীদের দ্রুততম সময়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চালু হচ্ছে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টার। এখানে ৪ শয্যার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ), ৪ শয্যার হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) এবং পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটসহ মোট ১৬টি শয্যা থাকছে। থাকছে আলাদা প্যাথলজি সেবা। এতে রোগীরা পাবেন এক্স-রে, ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি, সিটি স্ক্যান, আলট্রাসনোগ্রাফি, ডায়াথার্মি, পালস এক্সিমিটার এবং রক্তের জরুরী পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে আসা রোগীদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় লাল, কমলা, হলুদ ও সবুজ ব্যান্ড দিয়ে চিহ্নিত করে সেবা দেয়া হবে। রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক সেন্টারটি উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কে এম নাসিরউদ্দিন, বার্ন ইউনিটে সম্বন্বয়ক ডাঃ সামন্তলাল সেনসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা। চিকিৎসকরা বলছেন, ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টার চালু হলে দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা যেমন দ্রুত চিকিৎসা পাবে। তেমনই কমবে ভোগান্তি। একইসঙ্গে চিকিৎসা প্রলম্বিত না হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা কমবে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রায় ৫ হাজার রোগী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে প্রায় ২শ’ রোগীর অস্ত্রোপচার হয়। ঢামেক হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ডাঃ আলাউদ্দিন বলেন, রোগীদের প্রথমে ইমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার (ইএমও) রিসিভ করবেন। এরপর রোগীকে ট্রিয়াজ কর্নারে পাঠানো হবে। সেখানে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী চিহ্নিত করা হবে। আশঙ্কাজনক রোগীদের লাল রঙে চিহ্নিত করা হবে। মারাত্মক জখম রোগীদের কমলা রং, আঘাত মারাত্মক কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা সম্ভব- এমন রোগীদের হলুদ এবং অপেক্ষাকৃত কম মারাত্মক রোগীদের সবুজ রঙে চিহ্নিত করা হবে। পরে অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসা শুরুর পর তাদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওয়ার্ডে পাঠানো হবে। ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে অর্থোপেডিক্স, নিউরোলজি ও নিউরো সার্জারি, হৃদরোগ, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ এবং শিশু রোগ বিশেষজ্ঞরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রত্যেক বিভাগে একজন করে কনসালটেন্ট নিয়োজিত থাকবেন। যার তত্ত্বাবধায়নে থাকবেন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয়, ওটি বয় এবং বাকিরা।
×