ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নির্বাচিতরা শপথ নেবেন না, চাঁপাইয়ে ফের নির্বাচনী প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৭ জানুয়ারি ২০১৯

  নির্বাচিতরা শপথ নেবেন না,  চাঁপাইয়ে ফের নির্বাচনী প্রস্তুতি

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ ফের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জেলার দুটি আসন। আসন দুটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর-৩ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর, ভোলাহাট ও নাচোল)। এ দুটি আসনে বিএনপি প্রার্থীরা জয় লাভ করেছিল। কিন্তু চারদিকে বড় ধরনের গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে তারা শপথ না নিয়ে সংসদ বর্জন করবে। এই অবস্থা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে সত্যি সত্যি আসন দুটি খালি হয়ে যাবে এবং সেখানে পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দেবে। সেই দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে দুই আসনেই। বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর-৩ আসনে মাঠে নেমে পড়েছে অনেক প্রার্থী। তারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষ করে তিন প্রার্থী যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে নিরাশ হয়ে শেষ পর্যন্ত দলের নির্দেশে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (সদরে) আব্দুল ওদুদ বিশ্বাসকে সমর্থন দিয়ে মাঠে ময়দানে কাজ করেছিল। তারা হচ্ছেনÑ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ রুহুল আমিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লিটন ও ডাঃ গোলাম রাব্বানী। ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগ মনোনীত দুই বারের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস এবার কেন হেরে গেলেন, সেই ব্যাপারে একটি হাতে লিখা নামবিহীন পোস্টারও পাওয়া গেছে। তিনজনের মধ্যে লিটন গত পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র কয়েক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এ ছাড়াও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী তালিকায় রয়েছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে যুবলীগের খুবই প্রভাবশালী নেতা তোতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির প্রধান কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ দুরুল হোদাসহ ডজন খানেক নেতাকর্মী খায়েশ প্রকাশ করেছেন নির্বাচনের। তবে এই মুহূর্তে জামায়াত কোন ধরনের তৎপরতা দেখাচ্ছে না। যদিও পৌরসভার মেয়র উপজেলা (সদর) চেয়ারম্যান পদে তারা বিজয় হয়ে কাজ করছেন। অনুরূপভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনেও (ভোলাহাট, নাচোল ও গোমস্তাপুর) একাধিক প্রার্থী ইতোমধ্যেই গণসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন। তবে বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা প্রার্থী তালিকায় থাকলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হন। তিনি প্রথম দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রচার শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রথম টার্মের এমপি জিয়াউর রহমান সমর্থন দিয়ে কর্মী সমর্থক নিয়ে কাজ করেছিলেন। তিনিও এবার নতুন করে নির্বাচন হলে প্রার্থী তালিকায় থাকার চেষ্টা করবেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও এখানে প্রার্থী তালিকায় ডজন খানেক রয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশ মাঠে ময়দানে কাজ করে প্রার্থী তালিকায় থাকলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হন। তারা পুনরায় প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানা গেছে। তবে এই দুটি আসনে ভোটযুদ্ধ হলে মনোনয়ন পাওয়া আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী পুনরায় নির্বাচন করবেন কিনা সে বিষয়ে কোন নিশ্চয়তা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাজুড়ে নির্বাচনী আবহাওয়া ও ইমেজ রয়েছে।
×