ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কনজারভেটিভ পার্টির অনেকে নো ডিল ব্রেক্সিটের পক্ষে

পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট ভোট নিয়ে চাপের মুখে মে

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ৭ জানুয়ারি ২০১৯

 পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট ভোট  নিয়ে চাপের মুখে মে

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট ভোট পিছিয়ে দেয়ার জন্য নতুন করে চাপের মুখে পড়তে পারেন। ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য তিন মাসেরও কম সময় হাতে থাকতে তিনি নতুন করে চাপের মুখে পড়তে যাচ্ছেন। সানডে টেলিগ্রাফ পত্রিকা এ খবর দিয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সানডে টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড় দিতে রাজি হলে পার্লামেন্ট সদস্যরা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা সমর্থন করতে পারেন, মে’র ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা তাই মনে করেন। এর ফলে মে ইইউর সঙ্গে চুক্তির শর্তাবলী নিয়ে আরও আলোচনার সময় পাবেন। অন্যদিকে পার্লামেন্টে তার বিরোধিতার সুুযোগও কমে আসবে। এর আগে গত মাসে তার ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর পার্লামেন্টে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও তিনি শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করতে বাধ্য হন। মে নিজের কনজারভেটিভ পার্টি এবং পার্লামেন্টে অন্যান্য গ্রুপের কাছ থেকেও তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েন। ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর পার্লামেন্টে ভোট ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া সপ্তাহের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল এবং এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত হয়ে যেত। ২৯ মার্চের মধ্যে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। ব্রেক্সিট চুক্তি পার্লামেন্টে পাস না হলে কোন চুক্তি ছাড়াই ইইউ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, শেষ পর্যন্ত কোন চুক্তি ছাড়াই ব্রিটেন ইইউ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারে। সে রকম কিছু হলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে ব্যবসাবাণিজ্য। তাই মে’র পরিকল্পনাটি পার্লামেন্টে পাস হওয়া যে খুব প্রয়োজন সে বিষয়ে তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন। একটি পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, এমপিরা যদি ২০১৬ সালে গণভোটের ফলকে সম্মান না দেখান তবে তারা গণতন্ত্রকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেবেন। সানডে টাইমস জানিয়েছে, মে’র কনজারভেটিভ পার্টির কিছু এমপিসহ এমপিদের অনেকে চাইছেন ব্রেক্সিট চুক্তিটি যেন পার্লামেন্টে পাস না হয়। তারা চান একটি নো ডিল ব্রেক্সিট হোক। ক্ষমতাসীন দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মে’র দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। এদিকে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান সম্প্রতি বলেন, যুক্তরাজ্য এখন বেক্সিট চুক্তি বাতিল করতে অথবা চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে প্রস্তুত রয়েছে। ব্রাসেলসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সঙ্গে ইইউর যে সমঝোতা হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট যদি সেটি অনুমোদন না করে তবে কোন সমঝোতা ছাড়াই যুক্তরাজ্যকে ইউনিয়ন ছাড়তে হতে পারে।
×