ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কেশবপুরে পাঁচপোতা সড়ক বেহাল ॥ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

প্রকাশিত: ০৭:২২, ৬ জানুয়ারি ২০১৯

কেশবপুরে পাঁচপোতা সড়ক বেহাল ॥ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ৫ জানুয়ারি ॥ কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট বাজার থেকে পাঁচপোতা গ্রাম পর্যন্ত ইটের সোলিং রাস্তা দিয়ে মানুষের চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তার দুপাশে মাছের ঘেরের কারণে রাস্তার অধিকাংশ জায়গা ধসে গেছে। রাস্তা দিয়ে আশপাশের ১০ গ্রামের শিক্ষার্থীসহ মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে মঙ্গলকোট বাজার থেকে পাঁচপোতা পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তাটি কেশবপুরের সংসদ ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেক ইটের সোলিংকরণ করেন পাঁচপোতা বিল পর্যন্ত। অবশিষ্ট গারহাট বাজার পর্যন্ত আধা কিলোমিটার রাস্তা এখনও কাঁচা রয়েছে। এইা রাস্তা দিয়ে পাঁচপোতা দাসপাড়া, মঙ্গলকোট, পাঁচপোতা পরামানিক পাড়া, বাদুড়িয়া, বাউশলা, পরচক্রাসহ প্রায় ১০ গ্রামের আনুমানিক ৩০ হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। এক সময় এ রাস্তা দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করায় রাস্তাটি দেবে যায়। বর্তমানে অধিকাংশ জায়গায় ইট উঠে গিয়ে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া এই সড়কের দুপাশে প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাঁচপোতা বিলে মাছের ঘের করা হয়েছে। এলাকার জিলুর রহমান, ওলিয়ার রহমান, নাজমুল ইসলাম ও সাকা মাছের ঘের করে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করায় রাস্তাটির অধিকাংশ স্থান ঘেরের মধ্যে খসে খসে পড়েছে। কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না এই রাস্তা দিয়ে। পথচারী ও হাটুরেদের পায়ে হেটেই ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকার অর্ধশত শিক্ষার্থীকে গারহাট প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাদুড়িয়া মাদ্রাসা ও হিজলডাঙ্গা কলেজে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। পাঁচপোতা গ্রামের মেহেদী হাসান, লিয়াকত আলী জানান, ২০ বছর আগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এসএসএইচকে সাদেকের সদিচ্ছায় রাস্তাটির আধা কিলোমিটার বাদ রেখেই ইটের সোলিং করা হয়। এরপর আর পুনর্সংস্কার করা হয়নি। সমস্ত রাস্তার ইট উঠে ও দেবে গিয়ে অসংখ্য খনাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে পাঁচপোতা বিলের সামনের রাস্তা মাছের ঘেরে ধসে পড়েছে। এখান থেকে জনগণকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মুনছুর আলী বলেন, উপজেলার সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার তালিকা করে উধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। ওই রাস্তার ১ কিলোমিটার পাকাকরণের কাজ একনেকে অনুমোদন হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে। কিন্তু জনগণের দাবি ঘের ব্যবসায়ীদের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার বন্ধ না করলে কোনভাবে রাস্তা টিকবে না।
×