ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্যবিষয়ক এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য আশাব্যঞ্জক

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ৬ জানুয়ারি ২০১৯

স্বাস্থ্যবিষয়ক এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য আশাব্যঞ্জক

নিখিল মানখিন ॥ স্বাস্থ্যবিষয়ক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের বেশ অগ্রগতি হয়েছে। গত বছরেও স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নয়নের চিত্র ছিল আশাব্যঞ্জক। দেশের সর্বত্র বিস্তার লাভ করেছে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক। এমন মজবুত অবকাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার মাত্রার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামো বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে জনবল বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন, মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হ্রাস, ওষুধের সরবরাহ বৃদ্ধি, কমিউনিটি ক্লিনিক চালু, স্বাস্থ্যখাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম ইত্যাদি উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার। দেশের ৯৯ ভাগ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা। বর্তমানে প্রতি মাসে ৮০ থেকে ৯০ লাখ মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা নেন। প্রায় ৯১.৩ শতাংশ শিশুকে টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় আনা হয়েছে। গত দশ বছরে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বেড়েছে ৭ গুণ। পোলিও ও ধনুস্টংকারমুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশব্যাপী একটি ব্যাপকভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সরকারের সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। একটি সুস্থ জাতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। এসব ক্লিনিকে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্কের স্তরগুলো উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রাইমারি, সেকেন্ডারি, টারসিয়ারি ও বিশেষায়িত হাসপাতাল ও উভয়মুখী রেফারেন্স পদ্ধতি প্রবর্তন করেছি আমরা। যাতে বিশ্বে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত বিষয়গুলোকে কর্মপরিকল্পনায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে দেশের মানুষের প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার পূরণ করছে বর্তমান সরকার। আর সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে নিজেদের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সরকার সবসময় আন্তরিক। ডিজিটাল বাংলদেশ এখন আর শুধু সেøাগান নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর সুবিধা পৌঁছে গেছে। দেশের সব পর্যায়ের হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। নির্মাণ করা হয়েছে নতুন নতুন জেনারেল হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতাল। সরকার নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, নার্সিং কলেজ ও নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করেছে। আর ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্য খাতের প্রতিটি বিভাগেই জনবল বাড়ানো হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং পরিকল্পিত পরিবার নিশ্চিত করতে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মা ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস ॥ স্বাস্থ্য বিষয়ক সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের বেশ অগ্রগতি হয়েছে। অনুর্ধ ৫ শিশুর কম ওজনহার ’৯০ সালের ৬৬ ভাগের তুলনায় হ্রাস পেয়ে বর্তমানে ৩৬.৪ ভাগে নেমে এসেছে। অনুর্ধ ৫ শিশুমৃত্যুর হার ’৯০ সালের তুলনায় ৭১ ভাগ কমে এমডিজি ৪ অর্জিত হয়েছে। মাতৃমৃত্যুর হার ১.৭৬ জনে (প্রতি হাজার জীবিত জন্মে) নেমে এসেছে, যা গত দশ বছরে কমেছে ৪০ শতাংশ। ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক ॥ পুরোদমে এগিয়ে চলছে স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম। মাঠ পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট কম্পিউটার। গ্রাম এলাকার প্রতিদিনের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের সব পরিসংখ্যান তাৎক্ষণিক কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মনিটরিং করা সম্ভব হচ্ছে। দেশের ৬৪ জেলা এবং সব ক’টি উপজেলা হাসপাতালে ইতোমধ্যে একটি করে মোবাইল ফোন দেয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যন্ত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক এবং জেলা সিভিল সার্জনের অফিসে। সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে চালু করা হয়েছে টেলিমেডিসিন সুবিধা। স্বাস্থ্যসেবায় থাকছে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম ও কম্পিউটারাইজড অটোমেশন ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র মতে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবামূলক পরামর্শ নিতে পারবে গ্রামের মানুষ। মোবাইল ফোনের নম্বর স্থানীয় পর্যায়ে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের ওয়েবসাইটেও (িি.িফমযং.মড়া.নফ) নম্বরগুলো দেয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টাব্যাপী কোন না কোন চিকিৎসক এই মোবাইল ফোনের কল রিসিভ করবেন। একটি মাত্র কল করেই ব্যস্ত মানুষ রোগের শুরুতেই পরামর্শ নিতে পারেন চিকিৎসকের। এতে রোগ জটিল হওয়ার আশঙ্কাও অনেক কমে যায়। এভাবে ঘরে বসেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া সম্ভব হবে। প্রতিটি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক এবং জেলা সিভিল সার্জনের অফিসে ওয়েবক্যামেরা দেয়া হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠান বা মতবিনিময় করাই এর মূল উদ্দেশ্য। এখন একটি বিশেষ সফটওয়্যার সংগ্রহ করা হয়েছে, যা দিয়ে একই সঙ্গে ২৫ জনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থা করা যাবে। সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে চালু করা হয়েছে টেলিমেডিসিন সুবিধা। এতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা আধুনিক মানের টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে বিশেষায়িত হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারবেন। ফলে নিম্নপর্যায়ের হাসপাতালগুলোয় ভর্তি রোগীর জন্য উচ্চপর্যায়ের হাসপাতালসমূহে কর্মরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়া সহজ হবে। রোগীদের ভ্রমণের প্রয়োজন ও ভোগান্তি কমবে বহুগুণ। বিদেশীদের কাছেও একটি সফল ডিজিটাল চিকিৎসক সমাজ হিসেবে সম্মানিত হবে। পোলিওমুক্ত বাংলাদেশ ॥ অবশেষে পোলিওমুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ । ভারতের মুম্বাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার সামিনা নাজ ’১৬ সালের মে মাসে মহারাষ্ট্রের রাজ্য সরকারের গবর্নর কে. শংকরনারায়ণের কাছ থেকে এ সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন। শিশুবিষয়ক স্বাস্থ্য পরিষেবা ॥ প্রায় ৯১.৩ শতাংশ শিশুকে টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। গত দশ বছরে স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বেড়েছে ৭ গুণ। চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ॥ কর্মস্থলে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে ‘বৈদ্যুতিক হাজিরা মনিটরিং ব্যবস্থা’ চালু করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরাধীন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রসমূহে ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে বায়োমেট্রিক যন্ত্র। অভিযুক্ত কয়েকশ’ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ ॥ সরকারী ও বেসরকারী চিকিৎসকদের সংখ্যা ৬৩ হাজার। এর মধ্যে সরকারী চিকিৎসকের সংখ্যা ২২ হাজার। ১৬ হাজার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ২২ হাজারে উন্নীত হয়েছে। বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ২ হাজার ৪৪০ সহকারী সার্জন নিয়োগ এবং ১৯৬ সহকারী ডেন্টাল সার্জন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অস্থায়ী (এডহক) ভিত্তিতে ৪ হাজার ১৩৩ সহকারী সার্জন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ৩৩তম বিসিএসের মাধ্যমে ৬ হাজার ২২১ সহকারী সার্জন ইতোমধ্যে নিয়োগ পেয়েছেন। ’১৬ সালের ডিসেম্বরে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ১০ হাজার নতুন নার্স। ’১৮ সালের শেষ দিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ৫ হাজারের বেশি নার্স ও মিডওয়াইফ। মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের জন্য ফ্রি চিকিৎসা ব্যবস্থা ॥ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গের চিকিৎসাসেবা প্রদানে বিশেষ ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আর সংশ্লিষ্ট সবাইকে তা পালনের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দেশের সকল সরকারী ও আধা সরকারী হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় তাদের চিকিৎসাসেবা দিতে হবে। কেবিন ও সিট বরাদ্দসহ রোগী ভর্তির ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার দিতে হবে। গুরুতর অসুস্থ হলে বিনামূল্যে এ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন ধরনের অবহেলা ও অজুহাত মানবে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দায়িত্ব পালনে অবহেলা করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। টিকাদানে দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য ॥ বাংলাদেশে বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে বর্তমানে ৮২ শতাংশ শিশুকে টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে, যা এক বিরাট সাফল্য। এক সঙ্গে এ অঞ্চলে সর্বাধিক। এ কর্মসূচীর সাফল্যের কারণে সহস্রাব্দের এমডিজি-৪ অর্জন করে যে শিশু মৃত্যু হ্রাসের লক্ষ্য ছিল, সেটিও অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশ-’১০ সালে জাতিসংঘ পুরস্কার লাভ করেছে। এছাড়াও ২০০৯ ও ১২ সালে ২ বার গ্যাভি পদক পেয়েছে। শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণের অঙ্গীকার এ সাফল্যের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। গর্ভবতীদের জন্য ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ॥ অবশেষে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থা বাস্তবায়ন শুরু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশের প্রতিটি হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি জরুরী নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এখন থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে গর্ভবতী মহিলাদের আনা-নেয়ার জন্য বিনা পয়সায় এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দিতে বাধ্য থাকবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের আন্তরিক উদ্যোগে জরুরী ভিত্তিতে এ সেবা কার্যক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবার উন্নয়নে আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন ॥ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবার উন্নয়নে বেশ কিছু আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেগুলোর কয়েকটি হলো ‘রোগী সুরক্ষা আইন-১৪’ এবং ‘স্বাস্থ্যসেবাদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা আইন-১৪’ এর খসড়া প্রণয়ন। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন-১৪’ ও ‘মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধিত) আইন-২০১৭’। সংসদে পাস হয়েছে জাতীয় ওষুধনীতি। নতুন হাসপাতাল ॥ নতুন হাসপাতালগুলোর কয়েকটি হলো, ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরে কুর্মিটোলা ৫শ’ শয্যার হাসপাতাল, খিলগাঁও ৫শ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, ঢাকার শ্যামলীর বক্ষব্যাধি হাসপাতাল (২৫০ শয্যার), খুলনার আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল (২৫০ শয্যা), ঢাকার ফুলবাড়ীয়ায় সরকারী কর্মচারী হাসপাতাল (১৫০ শয্যার), গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল (১০০ শয্যার), ঢাকার আগারওগাঁওয়ে ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালসহ (৩শ’ শয্যার) আরও অনেক হাসপাতাল, ক্লিনিক, মেডিক্যাল কলেজ ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। উদ্বোধন করা হয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।
×