ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশ অন্ধকার যুগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ০৭:০১, ৬ জানুয়ারি ২০১৯

দেশ অন্ধকার যুগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ॥ ফখরুল

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ৫ জানুয়ারি ॥ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের আগে ও পরে যে সহিংসতা ঘটেছে এতে জনগণের অধিকার হরণ করা হয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব। দেশ আজ একদলীয় শাসন ব্যবস্থার কারণে অন্ধকার যুগের দিকে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্র জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া এটি দেশে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করেছে। শনিবার দুুপুরে নোয়াখালী সূবর্ণচরের গণধর্ষণের ঘটনায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভিকটিমকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভিকটমকে দেখতে আসেন ঐক্যফন্টের নেতারা । সেখানে তারা কিছুক্ষণ তার পাশে বসেন ও ভিকটমের কথা শোনেন। পরে তাকে নগদ আর্থিক সহযোগিতা করেন। পরে বিকেলে নোয়াখালী আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে ঐক্যফ্রন্ট্রের এক মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের হতাশ হলে চলবে না। জনগণ যাদের সঙ্গে আছে তাদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই। আমাদের হারানোর কিছুই নেই। আমরা কিছুই হারাইনি। বরং সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকারই হেরে গেছেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে আরও সুশৃঙ্খল হতে হবে। ঐক্যবদ্ধতাকে আরও জোরদার করতে হবে। তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের সুদৃঢ় আন্দোলনই আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে পারে। তিনি হাজার হাজার গায়েবি মামলা প্রত্যাহার ও নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন। সভায় প্রধান বক্তা জে এস ডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, নির্বাচনের আগে জনগণের জোয়ার দেখে সরকার প্রধান হতাশ হয়েছেন। তিনি জনজোয়ার রুখতে নির্বাচনের নীলনক্সা বাস্তবায়নের জন্য যা যা করণীয় সবই করেছেন। আ স ম রব বলেন, এই হায়েনার দল এভাবে ক্ষমতায় থাকলে পুরো বাংলাদেশই সুবর্ণচর হয়ে যাবে। তিনি বলেন, মা বোনদের ইজ্জত, সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে হলে এই হায়েনাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ব্যাংকের ১৩ শ’ কোটি টাকা দেনার দায়ে দেওলিয়া হয়ে গেছেন তাকে আজ তড়িগড়ি করে শপথ পড়ানো হচ্ছে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি এখনও শেখ হাসিনাকে জননেত্রী বলে থাকি। বেগম খালেদা জিয়া আমাকে বললেন, ভাই এখনও জননত্রেী বলেন! আমি বলেছি, বলতে বলতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বাস্তবে খালেদা জিয়ার মন্তব্যই সঠিক। এ সময় নেতাদের মধ্যে এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, বরকত উল্যাহ বুলু, মোঃ শাহজাহান, জয়নাল আবেদীন ফারুক, ব্যরিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এ্যাডভোকেট সৈয়দা আশরাফি পাপিয়া, এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, শামিমা বরকত লাকী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ভোটের অধিকার ফের কেড়ে নেয়া হল নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা থেকে জানান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হলো আবার। এ ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশের প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।’ শনিবার সকালে নোয়াখালী যাওয়ার পথে কুমিল্লার আলেখারচরে একটি হোটেলে যাত্রাবিরতিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এ নির্বাচনের পূর্বের সহিংসতা, নির্বাচনের দিনের সহিংসতা ও পরবর্তী সহিংসতার মধ্য দিয়ে আজকে গোটা বাংলাদেশে একটা সহিংস ত্রাস ও একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। জনগণের কাছে আমরা আহ্বান জানিয়েছি- এই সহিংসতা তাদের প্রতিরোধ করার প্রয়োজন রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘নোয়াখালীতে আমাদের একজন বোন ধর্ষিত হয়েছে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি। যারা দায়িত্বে আছেন বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা বলেছি- তাদের উচিত হতো, উচিত হবে এই সহিংসতা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার জন্য। আমরা সংশ্লিষ্টদের নিকট আহ্বান জানাচ্ছি এই সহিংসতা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার জন্য।’ এসময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, আ স ম আব্দুর রব, আবদুল আওয়াল মিন্টু প্রমুখ।
×