স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর ভাটারায় এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে শাহবাগের মৎস্যভবনের সামনে কার্গোর ধাক্কায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক এ্যাম্বুলেন্স চালকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ওই হাসপাতালে এক কর্মচারী গুরুতর আহত হয়েছে।
শনিবার সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, রাজধানীর ভাটারায় এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। নিহতের নাম মিনা আক্তার (২৫)। শনিবার ভোরের দিকে পুলিশ সোলমাইদ পূর্বপাড়া এলাকার ১৮৭ নম্বর আবদুল লতিফের দাদা ভিলার তৃতীয় তলার পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে বিকেলে তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান।
পুলিশ জানায়, নিহতের স্বামী সোহেল রানা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ভাটারা থানায় সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পদে কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার খালনা পাড়া গ্রামে। তিনি এক সন্তানের জননী। ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-ইমাম রাজন জানান, ভোরের দিকে মিনার মৃতদেহ খাটের ওপর থেকে উদ্ধার করা হয়। তার গলায় দাগ দেখা গিয়েছে। নিহতের স্বামী এএসআই সোহেল রানা বরাত দিয়ে এসআই আল ইমাম রাজন জানান, তিনি ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি জানান, রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে এএসআই সোহেল রানা স্ত্রী মিনা আক্তার পাশের রুমে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানতে পেরেছি। তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে।
কার্গোর ধাক্কায় ঢামেক হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালকের মৃত্যু ॥ রাজধানীর শাহবাগ মৎস্যভবনের সামনে রাস্তায় কার্গো গাড়ির ধাক্কায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক এ্যাম্বুলেন্স চালকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম মোঃ তাজুল ইসলাম (৪০)। এ সময় একই হাসপাতালের কর্মচারী আবু হানিফ (৪০) গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার পথে তারা দুর্ঘটনায় কবলিত হন। এদিকে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, শনিবার দুপুরে ঢামেক মর্গে তাজুলের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত তাজুল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক ছিলেন। আর আহত হানিফ নতুন ভবনের কর্মচারী।
ঢামেক হাসপাতালের সরকারী এ্যাম্বুলেন্স চালক মোঃ নান্নু মিয়া জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তাজুল ও হানিফ হাসপাতাল থেকে ডিউটি শেষ করে মোটরসাইকেলযোগে মহাখালী কোয়ার্টারের বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মৎস্যভবনের সামনের রাস্তায় তাদের চালিত মোটরসাইকেলকে একটি কার্গো গাড়ি ধাক্কা দেয়। এতে দু’জনই রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে পথচারীরা দু’জনকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাজুলকে মৃত ঘোষণা করেন। হানিফকে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার বলেন, মারুফ কার্গো সার্ভিস নামে একটি কার্গো গাড়ি ওই মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে আইল্যান্ডের উপর উঠে যায়। এতে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়। পরে কার্গো গাড়িটি রেকারের মাধ্যমে আইল্যান্ড থেকে নামানো হয়। তবে কার্গোর চালক ও হেলপারকে খুঁেজ পাওয়া যায়নি। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।