ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দ জাহাঙ্গীরের সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণের আশ্বাস

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৬ জানুয়ারি ২০১৯

সৈয়দ জাহাঙ্গীরের সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণের আশ্বাস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী সৈয়দ জাহাঙ্গীরের সকল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে তার নামে ফাউন্ডেশন গড়াসহ নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই শিল্পকলা একাডেমিসহ সরকারের সঙ্গে কথা হচ্ছে বলে জানানো হয়। সদ্যপ্রয়াত বরেণ্য এই শিল্পী স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এসব জানানো হয়। শনিবার বাদ আছর সৈয়দ জাহাঙ্গীরের মোহাম্মদপুরের বাসভবনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান হয়। দেশের নানা ভুবনের বিশিষ্টজনরা এতে উপস্থিত ছিলেন। শিল্পীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পী রফিকুন নবী, শেখ আফজাল, আহামেদ শামসুদ্দোহা, নাসিম আহমেদ নাদভী, বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সৈয়দ জাহাঙ্গীর ও আমি সময়সী। তার সঙ্গে আমার পরিচয় ষাটের দশকে। তিনি যখন রাওয়ালপিন্ডিতে ছিলেন তখন তার আড্ডাখানায় অনেক কথা হতো। যার বেশিরভাগই ছিল দেশের নানা সমস্যা এবং শিল্প ও সাহিত্যনির্ভর। আসাধারণ একজন মানুষ ছিলেন। স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেন, তার সঙ্গে আমার পরিচয় ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পরে চট্টগ্রামে। তারপর একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। তার বন্ধুত্ব ছিল অতুলনীয়। রফিকুন নবী বলেন, তাকে কখনও দুঃখভারাক্রান্ত দেখিনি। ছোটদের সঙ্গেও তিনি বন্ধুর মতো মিশতেন। তিনি শুধু শিল্পী ছিলেন না। খুব ভাল লিখতেন। ইসলামাবাদে একসময় তিনি বাংলায় খবর পড়তেন। একাধারে ইংরেজী, বাংলা ও পোস্ত ভাষায় দক্ষ ছিলেন। তার সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা শিল্পীরাও কথা বলব। পরিবারের পক্ষ থেকে সৈয়দ জাহাঙ্গীরের জামাতা শেখ শফি আহমেদ বলেন, তার নিজের কেন সন্তান ছিল না। কিন্তু তিনি তার ভাইয়ের দশ সন্তানকে নিজের সন্তানের মতো করে মানুষ করেছেন। তিনি গ্রাম খুব ভালবাসতেন। তার সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণে আমরা শিল্পকলাসহ শিল্পী সমাজের সকলের সঙ্গে বসে আলাপ করব। তিনি নিজেও আমাদেরকে নানা বিষয়ে গাইডলাইন দিয়ে গেছেন।
×