ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মা সেতু ॥ পায়রা সমুদ্র বন্দর ॥ প্রস্তাবিত রেল লাইনসহ ব্যাপক উন্নয়নের স্বীকৃতি

বরিশালের ২১ আসনে মহাজোটের নিরঙ্কুশ বিজয়ের নেপথ্যে

প্রকাশিত: ০৭:০০, ৫ জানুয়ারি ২০১৯

 বরিশালের ২১ আসনে মহাজোটের  নিরঙ্কুশ বিজয়ের নেপথ্যে

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ স্বপ্নের পদ্মা সেতু, পায়রা সমুদ্র বন্দর, প্রস্তাবিত রেল লাইনসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিগত দশ বছরে দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়নের জন্য ভোটাররা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (গত ৩০ ডিসেম্বর) মহাজোটের প্রার্থীদের নিরঙ্কুশ বিজয়ের মাধ্যমে স্বীকৃতি দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ও পেট্রোল বোমা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তরুণ ভোটারদের একাত্মতা এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সাধারণ ভোটারদের সঠিক মূল্যায়নের কারণেই সারাদেশের সঙ্গে একযোগে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলার ২১টি সংসদীয় আসনে সুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নিরঙ্কুশ বিজয় হয়েছে। বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের কোথাও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা জয় পায়নি। ভোটের হিসেবে ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি ড. কামাল হোসেনের ঐক্যফ্রন্ট। অপরদিকে ২১টি আসনের মধ্যে চারটি আসনে জয় পেয়েছে মহাজোটের শরিকদল জাতীয় পার্টি (জাপা) ও জাতীয় পার্টি (জেপি)। ফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১৭ জন প্রার্থী একচেটিয়া জয় তুলেছেন ঘরে। শরিকদের মধ্যে এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে, বরিশাল-৩, বরিশাল-৬ ও পিরোজপুর-৩ আসনে। আর অপর শরিক আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) জয় পেয়েছেন পিরোজপুর-২ আসনে। ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা গেছে ২১টি আসনের মধ্যে বিএনপি ১৩টি আসনে এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ছয়টি আসনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। এছাড়া বিএনপি ছয়টি আসনে এবং ইসলামী আন্দোলন সাতটি আসনে তৃতীয় হয়েছে। বিভাগের ২১টি আসনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচন নিয়ে কোথাও বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। ৩০ ডিসেম্বর সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন ভোটগ্রহণ করা হয়। যদিও মুলাদিতে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৫ নম্বর চরকালেখান ইউনিয়নের ষোলঘর কেন্দ্রে সাময়িক ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল। আর বরিশাল নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের বারৈজ্জারহাট কেন্দ্রে ইসলামী আন্দোলনের সাত নেতাকর্মীকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ ছিল প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এছাড়া নগরীর সিএ্যান্ডবি রোড এলাকার শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল কলেজ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সাত নেতাকর্মীকে মারধর করে আহত করে বিএনপির সমর্থকরা। মাত্র এই কয়টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচনের দিন আর কোন সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের কারণে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বহুকাক্সিক্ষত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিভাগের ছয়জন রির্টানিং কর্মকর্তার দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার হেভিওয়েট প্রার্থী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ নির্বাচনী এলাকার ১১৫টি কেন্দ্রে ২ লাখ ৫ হাজার ৫০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩০৫ ভোট। বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ শাহে আলম তালুকদার। ১৩৬টি কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ৩৪৪ ভোট। তার নিকটতম বিএনপির প্রার্থী সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ১৩৭ ভোট। বরিশাল-৩ (মুলাদি-বাবুগঞ্জ) আসনে বিজয়ী হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকে গোলাম কিবরিয়া টিপু। এ আসনের ১২৩টি ভোট কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৫৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২৩৫ ভোট এবং নৌকা প্রতীকে ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ মোঃ টিপু সুলতান পেয়েছে ১৮ হাজার ১৯৬ ভোট। বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পঙ্কজ নাথ। ১০৮টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৪১ হাজার ৩ ভোট। তার নিকটতম ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জেএম নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর পেয়েছেন ৯ হাজার ২৮২ ভোট। বরিশাল-৫ (সদর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কর্নেল (অব) জাহিদ ফারুক শামীম। তিনি ১৭৪টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে পেয়েছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৮০ ভোট। তার নিকটতম বিএনপির হেভিওয়েটের প্রার্থী মজিবুর রহমান সরোয়ার পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩৬২ ভোট। বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী নাসরিন জাহান রতনা। তিনি ১০৯টি কেন্দ্রের ফলাফলে পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৯৮ ভোট। তার নিকটতম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর প্রার্থী নূরুল ইসলাম আল-আমিন পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৪৫ ভোট। বরগুনা-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ। তিনি পেয়েছেন ৩ লাখ ১৭ হাজার ৬২২ ভোট। তার নিকটতম বিএনপির প্রার্থী মতিয়ার রহমান তালুকদার পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৫০ ভোট। বরগুনা-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শওকত হাচানুর রহমান রিমন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৩২৫ ভোট। তার নিকটতম বিএনপির প্রার্থী খন্দকার মাহবুব হোসেন পেয়েছেন ৯ হাজার ৫১৮ ভোট। পটুয়াখালী-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান মিয়া। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৭০ হাজার ৯৭০ ভোট। তার নিকটতম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আলতাফুর রহমান পেয়েছেন ১৫ হাজার ১০৩ ভোট। পটুয়াখালী-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের হেভিওয়েট প্রার্থী আ.স.ম ফিরোজ। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮৩ ভোট। তার নিকটতম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৯ হাজার ২৬৭ ভোট। পটুয়াখালী-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস.এম শাহাজাদা সাজু। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৯ ভোট। তার নিকটতম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী কামাল খান পেয়েছেন ৬ হাজার ৮১৪ ভোট। পটুয়াখালী-৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহিব্বুর রহমান মুহিব। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৮১২ ভোট। তার নিকটতম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাওলাদার পেয়েছেন ৬ হাজার ৮০৪ ভোট। ভোলা-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের হেভিওয়েট প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ১৭ ভোট। তার নিকটতম বিএনপির প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর পেয়েছেন ৭ হাজার ২২৪ ভোট। ভোলা-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলী আজম মুকুল। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২৬ হাজার ১২৪ ভোট। তার নিকটতম বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহীম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৯৯ ভোট। ভোলা-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজার ৪১১ ভোট। তার নিকটতম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোঃ মোসলেহ উদ্দীন পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৫ ভোট। ভোলা-৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ ভোট। তার নিকটতম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোঃ মহিবুল্যাহ পেয়েছেন ৬ হাজার ২২২ ভোট। ঝালকাঠি-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বজলুল হক হারুন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৫২৫ ভোট। তার নিকটতম বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান ওমর পেয়েছেন ৬ হাজার ১৫১ ভোট। ঝালকাঠি-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের হেভিওয়েট প্রার্থী আমির হোসেন আমু। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৭ ভোট। তার নিকটতম বিএনপির প্রার্থী জীবা আমিনা খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৮২ ভোট। পিরোজপুর-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শ.ম রেজাউল করিম। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৬১০ ভোট। তার নিকটতম বিএনপির প্রার্থী শামীম সাঈদী পেয়েছেন ৮ হাজার ৩১৬ ভোট। পিরোজপুর-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪২৫ ভোট। তার নিকটতম বিএনপির প্রার্থী মুস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৬ হাজার ৩২৬ ভোট। পিরোজপুর-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী রুস্তুম আলী ফরাজী। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩১০ ভোট। তার নিকটতম বিএনপির প্রার্থী রুহুল আমীন দুলাল পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৯৮ ভোট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের ওপর ভর করে দক্ষিণাঞ্চলের মহাজোট প্রার্থীদের নিরঙ্কুশ জয়ের নেপথ্যে নিরলসভাবে দিনরাত কাজ করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের অন্যতম রূপকার ও আওয়ামী লীগের একমাত্র অভিভাবক বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। নতুন মন্ত্রিপরিষদে সাবেক চীফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে বড় কোন দফতরের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হবে এমনটাই দাবি করছেন দক্ষিণাঞ্চলের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা। পাশাপাশি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট শুরুতেই ২০০১ সালের বহুল আলোচিত ও কতিপয় বিতর্কিত ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেয়ায় দলের মধ্যেই চরম বিরোধের সৃষ্টি হয়। যে কারণে প্রতিটি আসনে বিএনপি থেকে দুইজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত একজনকে চূড়ান্তভাবে প্রার্থী করে রাখা হলেও দলীয় কোন্দল নিরসনে কোন উদ্যোগই গ্রহণ করা হয়নি। প্রার্থী মনোনয়নে ভুল করায় নিজ দলের বিরোধ চরম আকার ধারণ করা সত্ত্বেও বিরোধ নিরসনে এমনকি মনোনয়ন দেয়ার পরেও যাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে তাদের সঙ্গে মনোনীত প্রার্থীদের কেন্দ্র থেকে সমন্বয় করিয়ে দেয়া হয়নি। ফলশ্রুতিতে দলের মনোনয়ন দাখিলের পর শেষ মুহূর্তে যারা দলের সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়িয়েছেন তারা কিংবা তাদের সমর্থকরা কেউ নির্বাচনের মাঠে নামেননি। এ কারণেও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের বড় ধরনের হোঁচট খেতে হয়েছে। সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে আত্মার-আত্মীয় হয়ে মিশে গেছেন। তাই তরুণ প্রজন্ম ও নতুন ভোটাররা একাত্মতা হয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করতে বড় ভূমিকা পালন করায় সারাদেশে মহাজোট প্রার্থীদের নিরঙ্কুশ বিজয় হয়েছে।
×