ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুটিনহোর বার্সা ছাড়ার গুঞ্জন

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ৫ জানুয়ারি ২০১৯

কুটিনহোর বার্সা ছাড়ার গুঞ্জন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত জানুয়ারির দলবদলে স্পেনের জায়ান্ট ক্লাব বার্সিলোনায় যোগ দিয়েছিলেন ফিলিপে কুটিনহো। অনেক নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের বিনিময়ে লিভারপুল ছেড়ে ন্যুক্যাম্পে নতুন করে ঠিকানা গড়েছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। কিন্তু হায়! এক বছর পূর্ণ হতে না হতেই স্বপ্নের বার্সিলোনা থেকে বিদায় নেয়ার পথ খুঁজছেন কুটিনহো! কারণ আর্নেস্টো ভালভার্ডের অধীনে খুব কঠিন সময় পার করছেন ২৬ বছরের এই এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। কাতালান ক্লাবটির জার্সিতে শুরুতেই নিজেকে মেলে ধরেছিলেন তিনি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে যেন নিজেকে খাপ খাওয়াতে ব্যর্থ হন এই ব্রাজিলিয়ান। বিশেষ করে ওসমান ডেম্বেলে আর আর্থার মেলোর দুর্দান্ত পারফর্মেন্স হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে কুটিনহোর বার্সা ক্যারিয়ার। মিডফিল্ডে এই দুই তারকা নিজেদের অবস্থানকে পাকাপোক্ত করার ফলে জায়গা পাচ্ছেন না লিভারপুল থেকে স্প্যানিশ লা লিগায় যোগ দেয়া কুটিনহো। অনেক ঢাকঢোল পিঠিয়ে ন্যুক্যাম্পে আসা কুটিনহো গত এক বছরে সবধরনের প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে মাত্র ছয় ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট খেলার সুযোগ পেয়েছেন বার্সিলোনার জার্সিতে। সবমিলিয়ে ২২ ম্যাচ খেলা এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে সক্ষম হয়েছেন মাত্র পাঁচবার। নামের সঙ্গে যা একেবারেই বেমানান। যে কারণেই ফিলিপে কুটিনহোর বার্সিলোনা ছাড়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কোথায় যাবেন বার্সিলোনা ছেড়ে? এটাও এখন আলোচনার তুঙ্গে। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম এক্সপ্রেস তাদের এক প্রতিবেদনে বলছে, ইংল্যান্ডেই ফিরতে যাচ্ছেন কুটিনহো। কেননা তাকে পাওয়ার ব্যাপারে এখন আগ্রহী ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের সবচেয়ে সফল ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এছাড়া সাবেক ক্লাব লিভারপুলও তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। কুটিনহোকে পাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী আরও দুটি ক্লাব। সেগুলো হলো- ফ্রেঞ্চ লীগ ওয়ানের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি এবং ইতালিয়ান সিরি’এ লীগের ক্লাব নেপোলি। তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে সেটা জানার জন্যই এখন মুখিয়ে রয়েছেন গোটা দুনিয়ার ফুটবলপ্রেমীরা। এদিকে বার্সিলোনা শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। স্প্যানিশ লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেই নতুন বছরে পা দিয়েছে কাতালান ক্লাবটি। এর পেছনে বড় ভূমিকা দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসির। ক্লাব ফুটবলে বছরজুড়েই আলো ছড়িয়েছেন এলএম টেন। পরিসংখ্যানও কথা বলে তারপক্ষে। ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ ৫১ গোল করেছেন তিনি। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ৫০ কিংবা তারও বেশি গোলের রেকর্ড গড়েন মেসি। ৪৯ গোল করে নতুন বছরে পা রেখেছেন তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি। এই তালিকার শীর্ষ পাঁচে থেকে ২০১৮ সাল শেষ করা বাকি তিন ফুটবলার হলেন যথাক্রমে রবার্ট লেভানডোস্কি (৪৬), মোহাম্মদ সালাহ (৪৪) ও হ্যারি কেন (৪১)। তবে মেসি শুধু গোল করতেই যে মাস্টার তা নন, অনেক সময় নিজের স্বার্থ বলি দিয়ে সতীর্থদের দিয়ে গোল করাতেও গুরুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ২০১৮ সালে মেসি যে শুধু সর্বোচ্চ গোল করেছেন তা নয়, গোল এ্যাসিস্টের তালিকাতেও সবার ওপরে। বার্সিলোনার আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের এ্যাসিস্ট সংখ্যা ২৬। ২৪ গোলে এ্যাসিস্ট রয়েছে তার ক্লাব সতীর্থ লুইস সুয়ারেজের। লিওনেল মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো এই তালিকার শীর্ষ পাঁচেই জায়গা পাননি। ১৮ গোল করে নেইমার আছেন ছয় নম্বরে। শীর্ষ তিন থেকে পাঁচে জায়গা করে নেয়া ফুটবলাররা হলেন যথাক্রমে দিমিত্রি পায়েত (২৩), মেম্ফিস ডিপাই (২৩) এবং এডেন হ্যাজার্ড (১৯)। তবে মেসির দুর্ভাগ্য। ২০১৮ সালে হেডের সৌজন্যে কোন গোল করতে পারেননি তিনি। গত ১১ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম মাথায় কোন গোল নেই এলএম টেনের। এর আগে এমনটা হয়েছিল ২০০৭ সালে। এরপর প্রতি বছরই হেডে গোল করেছেন তিনি। কিন্তু এবার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে নিজের মাথাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন বার্সিলোনার এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।
×