নওগাঁর সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৪ জানুয়ারি ॥ জেলার অভ্যন্তরীণ সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ যাত্রী। ফলে বিকল্প হিসেবে জরুরী প্রয়োজনে যাত্রীরা অটোরিক্সা ও ব্যাটারিচালিত চার্জারে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীকে। শুক্রবার সকাল ৯টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে নওগাঁ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ হয়। চলাচলে ভোগান্তি নিরসনে প্রশাসনের দ্রুত সহযোগিতা কামনা করেছেন সচেতনরা। নওগাঁ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের অভিযোগ, নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক কোন নিয়মনীতি না মেনে তিন মাস থেকে ঢাকা থেকে নওগাঁ রুটে ‘ফারুক এন্টারপ্রাইজ’ নামে বাস চলাচল করাচ্ছেন। তিনি মালিক সমিতিতে ভর্তি ও রুট পারমিট না নিয়ে ১৫/২০ দিন থেকে আবারও নতুন করে ৪/৫টি বাস চলাচল করায় নিয়মনীতি ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং বাস চলাচলে স্বাভাবিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। সমিতির নিয়ম মানতে একাধিকবার চিঠি দেয়া হলেও কোন সদুত্তর না দিয়ে তিনি জোরপূর্বক বাস চলাচল করাচ্ছেন। এ কারণে সকাল থেকে আন্তঃজেলা রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে নওগাঁ থেকে রাজশাহীগামী ও নওগাঁ থেকে জয়পুরহাটগামী সকল বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে রাজশাহীর বাসগুলো নওগাঁতে অবস্থান করায় তারা সকালে যাত্রী নিয়ে ফিরে গেলেও আর আসেনি বলে জানা গেছে। কয়েক বাস চালক বলেন, সকালে বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি চেন বন্ধ (টিকেট মাস্টার নেই)। মহাজনের গাড়ি মহাজন বন্ধ রাখলে তো আমাদের কিছু করার নেই। তবে আমাদের শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কোন সমস্যা নেই। সকল শ্রমিক সকাল থেকে বসে বসে সময় কাটাচ্ছে। তবে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি কোন কিছু বলতে চাননি। নওগাঁ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম বলেন, ফারুক এন্টারপ্রাইজ নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে অভ্যন্তরীণ রুট থেকে ঢাকায় বাস চলাচল করাচ্ছেন। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গাড়ি চালানোর বিষয়ে গত ১৭/১২/১৮ তারিখে ফারুক এন্টারপ্রাইজকে তিন দিনের মধ্যে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য একটি পত্র দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি পত্রের কোন উত্তর না দিয়ে সমিতির কোন নিয়ম না মেনে জোরপূর্বক রাস্তায় বাস চলাচল করাচ্ছেন। এটাকে সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি করতে বাস চলাচল বন্ধ রেখে প্রতীকী ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।