ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তরের দুই জেলায় কনকনে শীত, দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৫ জানুয়ারি ২০১৯

 উত্তরের দুই  জেলায়  কনকনে  শীত,  দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কনকনে ঠান্ডায় জনজীবনে কিছুটা দুর্ভোগ নেমে এসেছে। শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। কুড়িগ্রামের কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস সূত্রে জানা গেছে গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকায় ঠান্ডা প্রকোপ বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় দিনে সূর্যের দেখা মেলায় তাপমাত্রা কিছুটা উষ্ণ থাকলেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই শীতের মাত্রা বেড়ে যায়। রাত যতই গভীর হয় ততই বাড়তে থাকে ঠান্ডা মাত্রা। গরম কাপড়ের অভাবে শীত কষ্টে ভুগছে হতদরিদ্র মানুষ। বেড়েছে শিশু ও বৃদ্ধদের দুর্ভোগও। কুড়িগ্রাম শহরের রিক্সাচালক আলম জানান, দিনের বেলা তেমন ঠান্ডা না থাকলেও সন্ধ্যার পরপরই আর থাকা যায় না। হাত-পা ঠান্ডায় বাইরে রাখা যায় না। এজন্যই আগে রাত ১০টা পর্যন্ত রিক্সা চালালেও এখন সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে যাই। জেলা প্রশাসক অফিসের ত্রাণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, জেলার শীতার্ত মানুষের জন্য চলতি শীতে ৪১ হাজার ৯১৪টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়ায় তা ইতোমধ্যে বিতরণের জন্য জেলার ৯ উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। নিজস্ব সংবাদদাতা ঠাকুরগাঁও থেকে জানান, শুক্রবার বেলা নয়টা পর্যন্ত ঘনকুয়াশায় চারপাশ ঢেকে থাকায় এবং হীমেল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময় রাস্তায় বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন চলেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। স্থানীয় কৃষি অফিস জানিয়েছেন, শুক্রবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে সন্ধ্যার পরেই তাপমাত্রা নেমে যাচ্ছে। দিনে রোদ থাকলেও রাতে থাকে অসহনীয় শীত। কনকনে ঠান্ডায় দরিদ্র মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন। তারা শীত মোকাবেলা করতে পারছেন না। গরম কাপড় না থাকায় কাঠখড় পুড়িয়ে তারা শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এদিকে, শীতবস্ত্রের জন্য হতদরিদ্র লোকজন জেলা প্রশাসন ও জেলা রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়ে ধর্ণা দিচ্ছেন। তবে জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান এবার শীতবস্ত্র পাবেন কিনা সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। ঠান্ডা বেশি হওয়ায় শিশুরা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। শুক্রবার সকালে সদর হাসপাতালে ১৭৯ জন শিশু রোগী ভর্তি ছিল। অথচ এই হাসপাতালে শিশুরোগীর শয্যা সংখ্যা ১৮। ফলে হাসপাতালে গাদাগাদি করে শিশুদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। অনেক শিশুরোগীকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
×