ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যা করে পাষন্ড স্বামী পালিয়েছে

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ৫ জানুয়ারি ২০১৯

 নওগাঁয় গৃহবধূকে  হত্যা করে  পাষন্ড স্বামী  পালিয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৪ জানুয়ারি ॥ নওগাঁয় যৌতুকের দাবিতে ছালমা (২৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী। হত্যা করে ক্ষান্ত না হয়ে স্বামী ওই গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে নেয়ার কথা বলে তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে ফেলে রেখে পালিয়েছে। পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের আনিছুর রহমানের পুত্র সোহাগের সঙ্গে আত্রাই উপজেলার মহাদিঘী গ্রামের জামালের কন্যা ছালমা খাতুনের বিয়ে হয় ৬/৭ বছর আগে। বিয়ের পরে তাদের ঘরে সোহান নামে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য প্রায় মারপিট করত ছালমাকে। সোহাগ তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে নওগাঁর রানীনগর উপজেলার কালীগ্রামে বারিকের পুকুর দেখাশোনা করত। বৃহস্পতিবার রাতে যৌতুক নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে স্বামী ইট দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করলে ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে মৃত্যুবরণ করে ছালমা। পরে স্ত্রীর গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঘরের তীরের সঙ্গে টাঙ্গিয়ে রাখে। শুক্রবার সকালে তার স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে তার স্ত্রী ও তাদের শিশু সন্তান সোহানকে নিয়ে হাসপাতালে নেয়ার কথা বলে তার গ্রামের বাড়ি শিমুলিয়া গ্রামে রেখে স্বামী পালিয়ে গেছে। পরে প্রতিবেশীরা তার শ্বশুর বাড়িতে খবর দিলে তারা এসে নওগাঁ সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহতের সন্তান সোহান (৬) জানায়, তার বাবা তার মাকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তার মা মারা যায়। পরে তার বাবা গলায় ওড়না দিয়ে টাঙ্গিয়ে রাখে। নিহতের মা আসমা জানান, আমার মেয়েকে জামাই হত্যা করেছে। গত ১৫ দিন আগেও যৌতুকের জন্য চাপ দিলে আমার একটি গরু বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকা দিই। আমি এই হত্যার বিচার চাই। পুলিশের এস আই নজরুল ইসলাম জানান, যৌতুকের কারণে স্বামী স্ত্রীকে হত্যা করেছে মর্মে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
×