ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনা ওদের সমুদয় ব্যয় বহন করছেন

পাবনার মাথাজোড়া লাগা রাবেয়া-রোকাইয়াকে হাঙ্গেরি পাঠানো হয়েছে

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ৫ জানুয়ারি ২০১৯

  পাবনার মাথাজোড়া লাগা রাবেয়া-রোকাইয়াকে হাঙ্গেরি পাঠানো হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় পাবনায় জোড়া মাথা নিয়ে জন্ম নেয়া রাবেয়া-রোকাইয়াকে চিকিৎসার জন্য শুক্রবার রাতে হাঙ্গেরি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিশু রাবেয়া-রোকাইয়ার বাবা-মার হাতে সপরিবারে হাঙ্গেরি যাওয়ার বিমান টিকেট তুলে দেন। হাঙ্গেরি থেকে ফেরার পর ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটের অধীনে চিকিৎসাধীন এই যমজ শিশুদের দেশেই অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, ডাঃ হাবিবে মিল্লাত এমপি, বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ফর বাংলাদেশের হাসনাত মিয়াসহ বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা। রাবেয়া-রোকাইয়াসহ ছয়জন শুক্রবার রাতে হাঙ্গেরির উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা, সঙ্গে যাচ্ছেন বার্ন ইউনিটের ওদের চিকিৎসক হোসাইন ইমাম। যমজ শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাচ্চা দুটির জন্য সবার কাছে দোয়া চান। হাঙ্গেরিতে তাদের চিকিৎসার সব তত্ত্বাবধান করবে জার্মানভিত্তিক ‘ফর বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন’ নামে একটি সংগঠন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবিক অর্থেই মানবতার নেত্রী। শিশুযমজের জন্য দোয়া করি। তাদের বিরল অপারেশন হতে যাচ্ছে। আশা করি তারা যেন স্বাভাবিক জীবনযাবন করতে পারে। আশা করি হাঙ্গেরি থেকে দেশে আসার পর তাদের মাথা বিচ্ছিন্ন করাও সম্ভব হবে। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা ও আর্থিক অনুদানে তাদের বিদেশ পাঠানো হচ্ছে। এর সমুদয় ব্যয় বহন করছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম বলেন, দীর্ঘদিন শিশু দুটিকে বার্ন ইউনিটে প্লাস্টিক ও নিউরোসার্জন দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে তাদের চিকিৎসার দুই ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। এখন তৃতীয় ধাপ সম্পন্ন করার জন্য তাদের হাঙ্গেরি পাঠানো হচ্ছে। সেখানে পাঁচটি বিশেষজ্ঞ টিম তাদের চিকিৎসা পরিচালনা করবে। আনুমানিক তিন থেকে চার মাস তারা হাঙ্গেরিতে চিকিৎসা নেবে। হাঙ্গেরিতে শিশু দুটির চিকিৎসা বিষয়ে তিনি বলেন, সেখানে ওদের ব্রেনের সফট টিস্যু আলাদা করাই প্রথম কাজ। সঙ্গে সঙ্গে ইনজেকশনের মাধ্যমে তাদের মাথার খুলি ফুলিয়ে ভেতরে কিছুটা ফাঁকা করা হবে। ডাঃ কালাম বলেন, তাদের পৃথক করার জন্য আমরা যে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি এ রকম রোগীর সাফল্য ২০ শতাংশের কম। তবুও আমরা আশাবাদী। এখন থেকে আনুমানিক ছয় মাস পর ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাদের মাথা পৃথক করা হবে।
×