ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ দোকানে শীতবস্ত্র বিক্রি

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ৫ জানুয়ারি ২০১৯

 ঠাকুরগাঁওয়ে জমে  উঠেছে ভ্রাম্যমাণ দোকানে  শীতবস্ত্র বিক্রি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ৪ জানুয়ারি ॥ সারাদিন হাল্কা রোদের রাজত্ব শেষে সন্ধ্যা নামতেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। বৃষ্টির ন্যায় ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাসে শীতের তীব্র বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকজন কাহিল হয়ে পড়ছে। শীত মোকাবেলায় জমে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের মৌসুমি ভ্রাম্যমাণ শীতবস্ত্রের দোকানগুলো। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৯-১০টা পর্যন্ত এসব কাপড়ের দোকানে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নারী-পুরুষ ভিড় করছেন। শহরের প্রাণকেন্দ্র ঠাকুরগাঁও সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড়মাঠের পাশে রাস্তার দুধারে, পৌর হকার্স মার্কেট, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড ও গ্রামের বিভিন্ন হাট-বাজারের ফুটপাথের ওপর ও ভ্যানগাড়িতে করে বাহারি রঙের শীতবস্ত্র বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এসব কাপড় কিনতে ভিড় করছেন নিম্নবিত্তের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও। রাস্তার পাশে আব্দুল জলিল নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, কিছুদিন ধরেই ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এজন্য শহরের ভ্রাম্যমাণ শীতবস্ত্রের দোকানে কেনাকাটা জমে উঠেছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ছোট-বড়দের জ্যাকেট, মাফলার, সোয়েটার, হাত মোজা, কোট, টুপি সবই মিলছে এসব দোকানে। দাম সস্তা হওয়ায় নিম্নবিত্ত ক্রেতাদের কাছে এই কাপড়ের চাহিদা বেশি। আরেক ব্যবসায়ী সাইদুল বলেন, এখানে মেয়েদের সোয়েটারের দাম মানভেদে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা, ছেলেদের সোয়েটার ৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ছেলেদের জ্যাকেট ১৫০ থেকে ৪০০০ টাকা, বাচ্চাদের সোয়েটার ৩০ থেকে ৬০০ টাকা, হাতের মোজা ৩০ থেকে ১৫০ টাকা। এ ছাড়া এখানে মানভেদে সাধারণ টুপি ৪০ থেকে ১০০ টাকা ও মাফলার ৫০ থেকে ২৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কাপড় কিনতে আসা শহরের নিশ্চিন্তপুর এলাকার হাসি বেগম জানান, আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কি আর বড় বড় মার্কেট থেকে কাপড় কেনার সামর্থ্য আছে। তাই এখানে এসেছি। এখানে বিভিন্ন দোকান ঘুরে ২শ টাকা দিয়ে মেয়ের জন্য একটি ও ১শ টাকা দিয়ে ছেলের জন্য একটি সোয়েটার কিনেছি। তিনি বলেন, এ মার্কেটে একটু সময় দিয়ে খুঁজলে কমমূল্যে অনেক ভাল কাপড় মেলে বলেই এখানে আসি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার এ মার্কেটে কাপড়ের দাম বেশি চাইছে।
×