ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অপমানে ছাত্রীর আত্মহত্যা ॥ গ্রেফতার হয়নি ৭ আসামির কেউ

প্রকাশিত: ০৪:১০, ৫ জানুয়ারি ২০১৯

 অপমানে ছাত্রীর আত্মহত্যা ॥ গ্রেফতার হয়নি  ৭ আসামির কেউ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ কচুয়ার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হালিমা খাতুনের আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়ার ঘটনায় দায়ী ৭ যুবকের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ভাইকে মারপিট ও নিজের শ্লীলতাহানির অপমানে আত্মহত্যা করা হালিমার পরিণতির জন্য দায়ী যুবকরা আটক না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ। তারা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দ্রুত বখাটেদের আটক করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন। গত ৩০ ডিসেম্বর যশোরের আবাদ কচুয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের মেয়ে ও রাজারহাট খানকায়ে ওয়াইছিয়া মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হালিমা খাতুন হারিয়ে যাওয়া একটি কানের দুল খুঁজতে যায়। সেখানে পৌঁছানো মাত্রই এলাকার ইউসুফ, শান্ত, অভি, ইব্রাহিম, জীবন, রনিসহ ১০/১২ জন বখাটে হালিমার হাত ধরে টানাটানি করে। একই সঙ্গে তার শ্লীলতাহানি ঘটায়। খবর পেয়ে হালিমার ভাই আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থলে যায় বোনকে উদ্ধার করতে। এ সময় ইউসুফের নেতৃত্বে আরও ১৫/২০ জন যুবক আব্দুল্লাহকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। প্রকাশ্যে নিজের শ্লীলতাহানি, ভাইয়ের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা সহ্য করতে না পেরে ৩১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে হালিমা। এ ঘটনায় হামলা মারপিট ও মাদ্রাসা ছাত্রীকে কুপ্রস্তাবসহ অপমান ও আত্মহত্যার পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে ৭ বখাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভাই আব্দুল্লাহ। মামলার আসামিরা হচ্ছে, আবাদ কচুয়া খালপাড়ার আব্দুল বারেকের ছেলে ইউসুফ, একই এলাকার হাফিজুরের ছেলে নিরব, সহোদর জীবন, ফরিদ ড্রাইভারের ছেলে সুমন, শান্ত, খোকনের ছেলে রাশেদ ও আশিক। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই সোবাহান শরীফ। তিনি তদন্তের নামে প্রহসন করছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ৭ আসামির একজনকেও তিনি আটক করেননি গত ৪ দিনেও।
×