ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লন্ডনের অলিম্পিয়া থেকে প্রকাশিত হচ্ছে ॥ দ্য মাদার

প্রকাশিত: ০৮:৩৪, ৪ জানুয়ারি ২০১৯

 লন্ডনের অলিম্পিয়া থেকে প্রকাশিত হচ্ছে ॥ দ্য মাদার

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামালের থ্রি নভেলসের পর এবার ‘দ্য মাদার’ সাহিত্যের আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে স্থান পাচ্ছে। সাড়া জাগানো উপন্যাস ‘জননী’র ইংরেজী সংস্করণ ‘দ্য মাদার’ প্রকাশ করছে বিশ্ববিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা লন্ডনের অলিম্পিয়া পাবলিশার্স। দ্য মাদার উপন্যাসটি লন্ডন থেকে ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোতে পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করছে আমাজন। এছাড়া বিশ্বব্যাপী অলিম্পিয়া পাবলিশার্সের বিদ্যমান যে বাজার ব্যবস্থা চালু রয়েছে তার মাধ্যমেও উপন্যাসটি আন্তর্জাতিক পাঠকের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবে। অলিম্পিয়া দুটি ফরমেটে দ্য মাদার প্রকাশ করছে। পেপার ব্যাক ও ই বুক ফরমেট। আমাজন চলতি মাসেই দুই ফরমেটে বাজারে নিয়ে আসছে। এর আগে ভারত, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া থেকে প্রকাশিত হয় মোস্তফা কামালের তিনটি উপন্যাসের ইংরেজী সংকলন ‘থ্রি নভেলস’। তালেবান, পাক কান্ল এ্যান্ড ইয়াং লেডি, ফ্লেমিং ইভেন টাইড এবং দ্য ফ্লাটারার। থ্রি নভেলসও সারাবিশ্বে বাজারজাত করেছে আমাজন। বাংলাদেশে বাজারজাত করছে বৃহত্তর অনলাইন বুক শপ রকমারি ডট কম। ২০১৪ সালে পার্ল পাবলিকেশন্স থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় জননী। প্রকাশের পরেই বইটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। ইতোমধ্যেই জননীর চতুর্থ সংস্করণ বাজারে এসেছে বলে জানান প্রকাশক হাসান জায়েদী তুহিন। তিনি জানান, লেখকের ইতিহাসভিত্তিক তিনটি উপন্যাস অগ্নিকন্যা, অগ্নিপুরুষ এবং অগ্নিমানুষও ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ অর্থাৎ দেশভাগ থেকে স্বাধীনতা পর্যন্ত সময়কালের ওপর লেখা ট্রিলজি বাংলা সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে আমি মনে করি। পার্ল থেকে বইগুলো বের করতে পেরে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছি। লেখক মোস্তফা কামাল তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘লন্ডনের অলিম্পিয়া পাবলিশার্স থেকে বই বের হওয়া যে কোন রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের চেয়েও বড় ব্যাপার বলে মনে করি। আমার সেরা উপন্যাসগুলোর মধ্যে একটি জননী। এই উপন্যাস দিয়েই পাঠক আমাকে নতুন করে চিনেছে এবং নতুনভাবে গ্রহণ করেছে। এটি একটি দীর্ঘ উপন্যাস। আমি প্রথম অলিম্পিয়াকে উপন্যাসের কাহিনী সংক্ষেপ এবং প্রথম তিন পার্ট পাঠাই। পরে তারা পান্ডুলিপি পাঠানোর জন্য অনুরোধ করে। হঠাৎ একদিন দেখি, আমার ই-মেইলে অলিম্পিয়া পাবলিশার্সের বোর্ডের প্রধান সম্পাদকের চিঠি। উপন্যাসটি প্রকাশের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে দীর্ঘ চিঠি। চিঠিতে উপন্যাসটি অসাধারণ বলে উল্লেখ করে। আমি অলিম্পিয়াকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। উপন্যাসটির ইংরেজী অনুবাদ করেন লেখক ও অনুবাদক দুলাল আল মনসুর। তাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ মাহমুদ আজাদ
×