ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

২০২২ সালেই ৪৮ দলের বিশ্বকাপ?

প্রকাশিত: ০৭:৩২, ৪ জানুয়ারি ২০১৯

 ২০২২ সালেই ৪৮ দলের বিশ্বকাপ?

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বর্ণিল, আকর্ষণীয়, আকাক্সিক্ষত এবং জনপ্রিয় আসর হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল। একমাত্র এই মিলনমেলা দেশ, মহাদেশ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে শামিল করতে সক্ষম। প্রতি চার বছর অন্তর হওয়া এই যজ্ঞের পরবর্তী আসর বসবে ২০২২ সালে এশিয়ার দেশ কাতারে। দুই বছর আগে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কাতার বিশ্বকাপেই শেষবারের মতো ৩২ দল নিয়ে খেলা হবে। আর ৪৮ দলের বিশ্বকাপ শুরু হবে ২০২৬ সালে। কিন্তু এরপর সময় যত গড়িয়েছে ফিফার চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন এসেছে। তারা কাতার বিশ্বকাপেই ৪৮ দল নিয়ে যাত্রা শুরু করা যায় কিনা এ নিয়ে ভাবনা শুরু করে দেয়। এ নিয়ে আবারও নতুন করে কথা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, ফিফা চাচ্ছে ২০২২ থেকেই ৪৮ দলের বিশ্বকাপ হোক। ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে সেরা যজ্ঞে আরও বেশি দেশকে শামিল করার জন্যই এ উদ্যোগ নিয়েছে ফিফা। সংস্থাটির দৃষ্টিতে এতে করে এমন অনেক দেশ আছে যারা অল্পের জন্য বিশ্বকাপ খেলতে পারে না, তাদের সুযোগ হবে সর্বোচ্চ মঞ্চে। আর এতে করে বিশ্বকাপের জৌলুস আরও বাড়বে বলে তাদের বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্টিনো জানিয়েছেন, কাতারে ৪৮ দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত এখনও বাতিল করেনি সংস্থাটি। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে কাতার পরবর্তী ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব লাভ করে। ১৯৯৮ সালের পর থেকে বিশ্বকাপে ৩২টি দল অংশগ্রহণের রীতি চলে আসছিল। কিন্তু ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ফিফার কার্যনির্বাহী পরিষদে ভোটের মাধ্যমে আরও ১৬টি দল ২০২৬ যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। মূলত প্রস্তাবটি ছিল ইনফান্টিনোর। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদ তাতে সর্বসম্মতি জানায়। এ নিয়ে ইনফান্টিনো বলেন, কাতার বিশ্বকাপে ৩২টি দল অংশ নিবে। অবশ্যই তা যদি ৪৮’এ উন্নীত হয় তবে পুরো বিশ্বই খুশি হবে। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। সবাই যদি বিষয়টি পছন্দ করে তবে চার বছর আগে নয় কেন। ইতোমধ্যেই যেহেতু ২০২৬ বিশ্বকাপে ৪৮ দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। এখনই যদি আমরা কাতারের প্রতিবেশী কিছু দেশকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করি তবে সেখানে কয়েকটি ম্যাচ আয়োজিত হতে পারে। তার মানে কাতার বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচ প্রতিবেশী দেশেও হতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন ফিফা বস। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে কিছু উত্তেজনা আছে এবং বিষয়গুলোর সমাধান দেশগুলোর নেতাদের হাতে। হয়তোবা আরও জটিল বিষয়গুলোর চেয়ে ফুটবলের যৌথ উদ্যোগ নিয়ে কথা বলা সহজ। যদি আমরা উপসাগরীয় অঞ্চলের সব মানুষকে সাহায্য করতে পারি, পৃথিবীর সবদেশের ফুটবলের উন্নতি করতে পারি এবং ফুটবল দিয়ে বিশ্বের জন্য একটা ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসতে পারি, তাহলে সে চেষ্টাটা করা উচিত।
×