ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিন মন্ত্রীর পদায়ন দাবি

প্রকাশিত: ০৭:১৬, ৪ জানুয়ারি ২০১৯

 চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিন মন্ত্রীর পদায়ন দাবি

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যুগান্তকারী জয়। দেশে এখন ব্যাপক উন্নয়নের অপেক্ষায় জনগণ। উন্নয়নের অপেক্ষার প্রহর গুনবে দায়িত্বশীল মন্ত্রী ও এমপিদের আবারও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায়। চট্টগ্রাম-১০ আসনে আবারও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ডাঃ আফসারুল আমীন এমপি, চট্টগ্রাম-৯ আসনে এম এ লতিফ এমপি ও চট্টগ্রম-৪ আসনে এমপি দিদারুল আলম। এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম -১০ আসনে ব্যাপক উন্নয়নের ফলে ডাঃ আফসারুল আমীন দফায় দফায় নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে তিনি সকলের জন্য এগিয়ে আসায় শুধু আওয়ামী লীগ নয় বিএনপি ঘরানার অনেকেই তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। ফলে ধানের শীষের বিপর্যয় ঘটেছে। এলাকার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে জনগণের দাবি ডাঃ আফসারুল আমীনকে আবারও পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী করা। এতে নগরীর অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হবে উন্নয়নের দর্পণ। সর্বশেষ গত ৫ বছর দায়িত্ব পালনকালে এই আসনে খাদ্য ও রবিশস্য গুদামজাতকরণের জন্য নগরীর হালিশহর ও সিএসডি গোডাউন নির্মাণসহ ভবনের ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সিডিএ এ্যাভিনিউ সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ফোর লেনের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। এই ফ্লাইওভারের ব্যাপক ব্যবহারে বায়েজীদ এলাকায় একটি লুপ, জিইসিতে একটি আপ ও একটি ডাউন লুপ দেয়া হয়েছে। নগরীর লালখান বাজার থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত এই ফ্লাইওভার যুগান্তকারী ভূমিকা রাখছে। শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় ও স্মরণে নগরীর পাহাড়তলীতে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। যা চট্টগ্রামের পাহাড়ঘেরা নান্দনিক স্পটের পাশেই। শহীদদের স্মৃতিবিজড়িত শহীদ লেন এলাকার অনেকটা পাশেই এই স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। এদিকে, সংস্কার করা হয়েছে পাহাড়তলীর শাহজাহান মাঠ ও হালিশহরে থাকা বিডিআর মাঠকে। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত রিং রোড প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। গত ৫ বছরে এই আসনে পানীয় জলের সুবিধার্থে ১৬টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। প্রায় ২৪৩ কি.মি. পানির লাইন স্থাপনের মাধ্যমে এলাকার জনগণ সুপেয় জলের সুবিধা ভোগ করছেন। বিদ্যুত চাহিদা পূরণে ও খরচ বাঁচাতে ২৯৭টি মসজিদে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেও এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত না করতে আরও ৩৬টি মন্দিরে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। অপরদিকে এমপি এম এ লতিফ বন্দর আসনে ব্যাপক সাড়া জাগানো কাজ করেছেন। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে শুধু উন্নয়েনর ছোঁয়া লাগিয়েছেন তা নয় তিনি মানুষের ভালবাসা পেতে অনেক সামাজিক কর্মকান্ডের সঙ্গেও জড়িয়েছেন। দেশের প্রধান সামুদ্রিক বন্দরকে সচল রাখতে তিনি নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এদিকে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-৪ আসনে দিদারুল আলম এমপি সীতাকুন্ড আসনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নগরীর একাংশ তথা পাহাড়তলী থেকে সীতাকুন্ড উপজেলা পর্যন্ত সাধারণ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন দ্বিতীয় বারের মতো। এখানে উল্লেখ্য, এই আসনের একটি অংশ শহর আর একটি অংশ গ্রাম। তরুণ এই এমপিকে আবারও মন্ত্রী পদের দায়িত্ব দেয়া হলে গ্রাম হবে শহর এমন আশা গ্রামের নিরীহ ও সহজ সরল মানুষের।
×