ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের বক্তব্য

সিরিয়া থেকে হুট করে সৈন্য প্রত্যাহার নয়

প্রকাশিত: ০৬:৫৭, ৪ জানুয়ারি ২০১৯

সিরিয়া থেকে হুট করে সৈন্য প্রত্যাহার নয়

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সময় নিয়ে সিরিয়া থেকে সৈন্যদের প্রত্যাহার করা হবে। সৈন্য প্রত্যাহার করা হলেও সিরিয়ার যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দী যোদ্ধাদের রক্ষা করা হবে বলে তিনি জানান। বুধবার হোয়াইট হাউসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। সিএনএন। ট্রাম্প গত মাসে সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের পরিকল্পনা ঘোষণা করলেও তিনি এদিন সৈন্য প্রত্যাহারের কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা জানাননি। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের পরামর্শের বাইরে গিয়ে, কংগ্রেস সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র যারা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিচ্ছে তাদের সঙ্গে কোন আলোচনা না করেই তিনি ওই ঘোষণা দেন। তার এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস পদত্যাগ করেছেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কখনই সিরিয়া থেকে দুই হাজার সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য কথিত চার মাসের সময়সীমা বেঁধে দেননি। তিনি বলেন, ‘আমরা বের হয়ে আসছি এবং বুদ্ধিমানের মতো বের হয়ে আসব। আমি কখনই বলিনি আমরা কালকে বের হয়ে আসছি,’ সিরিয়ায় মার্কিন সৈন্যরা কতদিন অবস্থান করবে তা নির্দিষ্টভাবে না জানিয়ে তিনি একথা বলেন। গত মাসের ঘোষণার পর ট্রাম্প সিরিয়া থেকে তাড়াহুড়া করে সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয় থেকে পিছিয়ে এসেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি এর বদলে ধীরে সৈন্য প্রত্যাহারের ওপর জোর দিচ্ছেন। সোমবার এক টুইটে তিনি বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে আমাদের সৈন্যদের তাদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য বাসায় ফিরিয়ে আনব।’ তিনি জানিয়েছেন কুর্দীরা ইরানের কাছে তেল বিক্রি করায় তিনি অসন্তুষ্ট, কিন্তু তিনি তাদের রক্ষা করতে চান। অল্প পরিমাণ তেল তারা ইরানের কাছে বিক্রি করছে, তাদের ইরানের কাছে বিক্রি করতে না করা হয়েছে। তবু আমরা কুর্দীদের রক্ষা করতে চাই। ২০১১ সালে আরব বসন্ত শুরুর পর সিরিয়ার ক্ষমতাসীন শিয়া আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ২০১৪ সালে বিদ্রোহীদের সমর্থনে সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক সৈন্য জোট গড়ে তোলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পরের বছর আসাদ সরকারের সমর্থনে বিমান হামলা চালিয়ে যুদ্ধ অংশ নেয় রাশিয়া। ৮ বছরের এ যুদ্ধে ৮ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৩০ লাখেরও বেশি। যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে কয়েক কোটি সিরীয় শরণার্থী।
×