ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদের অন্ধকার দিকে চীনা মহাকাশযানের অবতরণ

চীনের অন্যরকম চন্দ্র বিজয়

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ৪ জানুয়ারি ২০১৯

চীনের অন্যরকম চন্দ্র বিজয়

চীনের একটি মহাকাশযান প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার চাঁদের পৃথিবীর বিপরীত দিকে অবতরণ করেছে। দেশটির ক্রমবর্ধমান মহাকাশ কর্মসূচীর ক্ষেত্রে এটি সর্বশেষ অর্জন। পৃথিবীর অপরদিকে মুখ করে থাকা চাঁদের এই অংশ অন্ধকার দিক হিসেবে পরিচিত। বিবিসি। মানুষবিহীন চাংই-৪ নামের ওই যান দক্ষিণ গোলার্ধের এইটকেন বেসিনে অবতরণ করেছে। এটি চাঁদের ডার্ক সাইট বা অন্ধকার অংশ। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে। চাঁদে প্রাণের রহস্য নিয়ে গবেষণার জন্য এই চন্দ্রযান পাঠানো হয়েছে। এটি চাঁদের ওই অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বায়োলজিক্যাল পরীক্ষাও চালাবে। মহাকাশ গবেষণায় চীনের এই চন্দ্রযানের অবতরণকে মাইলফলক হিসেবে দাবি করছে চীনা কর্তৃপক্ষ। বলা হচ্ছে, আগের যেসব চন্দ্রযান পাঠানো হয়, সেগুলো অবতরণ করেছিল চাঁদের পৃথিবীমুখী অংশে। কিন্তু চাংই-৪ প্রথম কোন চন্দ্রযান, যেটি চাঁদের পৃথিবীর বিপরীত দিকের অংশে অবতরণ করেছে। যুক্তরাজ্যের মুলার্ড স্পেস সায়েন্স ল্যাবরেটরির অধ্যাপক এ্যান্ড্রু কোওটস বলেন, ‘চাঁদের অন্ধকার অংশ আরও বেশি রুক্ষ ও অনেক বেশি গর্তে ভরা। চীনের মিশনের আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে চাঁদের অপর পাশে একটি বেতার যোগাযোগের পরিবেশ তৈরি করা এবং সেখানে ভবিষ্যতের টেলিস্কোপ স্থাপনের জন্য একটি ক্ষেত্র তৈরি করা। এ মিশনের মহাকাশযানটিতে করে তিন কেজি আলুর বীজ আর ফুলের বীজ নেয়া হয়েছে, যা দিয়ে চাঁদে জীববিজ্ঞানের কিছু পরীক্ষা চালানো হবে।’ কৃত্রিম পরিবেশ তৈরির ‘চাঁদের ছোট জীবমন্ডল’ নামের এই নক্সা চীনের ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনায় করা হয়েছে। মহাকাশযানটি হচ্ছে চাংই-৩ এর পরবর্তী সংস্করণ। ২০১৩ সালে চাঁদে ওই যান পাঠিয়েছিল চীন। প্রথম এবং দ্বিতীয় চাংই মিশনের উদ্দেশ্য ছিল কক্ষপথ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ। তবে তৃতীয় আর চতুর্থ মিশনের লক্ষ্য চাঁদের ভূপৃষ্ঠ। চাংই-৫ আর ৬ এর লক্ষ্য হবে চাঁদ থেকে সংগৃহীত পাথর আর মাটির নমুনা ফিরিয়ে এনে গবেষণাগারে জোগান দেয়া
×