ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুযোগ্য নেতৃত্বই মহাজোটের মহাবিজয়

প্রকাশিত: ০৬:২২, ৪ জানুয়ারি ২০১৯

সুযোগ্য নেতৃত্বই মহাজোটের মহাবিজয়

সকল জল্পনা-কল্পনা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত নস্যাৎ করে স্বাধীন বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনে এক অকল্পনীয় ও অবিশ্বাস্য বিজয় লাভ করে বিশ্বের ইতিহাসে এক নতুন রেকর্ড গড়লেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এদেশের মানুষ যারা ১৯৭০ সালের নির্বাচন দেখেছেন তাদের মধ্যে এখনও অনেকেই বেঁচে আছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নৌকায় ভোট দিয়ে পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে এদেশের স্বাধীনতাকামী বাঙালী বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। সে মহাবিজয়ের উল্লাস প্রত্যক্ষ করা ও ভোটে অংশগ্রহণ করার সুযোগও আমার হয়েছিল। ১৯৭০ সালের মতোই গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নৌকার গণজোয়ারের উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে গেছে বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্ট জোট। সত্তর সালের মতো ভোট বিপ্লবে এক অবিস্মরণীয় মহাবিজয় হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের এটা একটি ঐতিহাসিক ও ঈর্ষণীয় বিজয়। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, যুদ্ধাপরাধী ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতা তোষণের বিরুদ্ধে বিশাল ও অভাবনীয় বিজয়। যে যাই বলুক, সকল কূপম-ূকতা পরিহার করে ব্যাপক উন্নয়ন-উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখার নিশ্চয়তা বিধানের নিপুণ কারিগর শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষে এটা দেশবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত রায়। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, প্রধান বিরোধী দলের আসনেও তারা বসতে পারছে না। দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও উগ্র মৌলবাদের কাছে মাথা নত করেনি। যুদ্ধাপরাধীদের মতো ঘৃণিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়ে তাদের গাড়িতে পতাকা ওড়ানোর মতো জঘন্য অপরাধ মেনে নিতে পারেনি। কোটি কোটি টাকা ছড়িয়েও জামায়াত চক্র একটি আসনও লাভ করতে পারেনি। কি করুণ ও নিদারুণ অবস্থা বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের! বিএনপির ৫টি আসনসহ তারা সর্বসাকল্যে পেয়েছে ৭টি আসন। এক প্রার্থীর হঠাৎ মৃত্যুর কারণে ৩০০ আসনের মধ্যে ৩০ ডিসেম্বর ২৯৯ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফল অনুযায়ী ২৯৯ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ এককভাবে পেয়েছে ২৬৫ আসন, মহাজাটের শরিক জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২২টি, বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭টি এবং স্বতন্ত্রসহ অন্যান্য ৫টি আসন। গণফোরাম পেয়েছে মাত্র দুটি আসন। জামায়াত ২৫টি আসনে ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও কোন একটি আসনে পাস করা তো দূরের কথা কোথায়ও তারা জামানত পর্যন্ত বাঁচাতে পারেননি। সুশীল সমাজের লোক ও বুদ্ধিজীবীসহ দেশের প্রায় সব শ্রেণী-পেশার শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবার প্রকাশ্যে দাঁড়িয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের পক্ষে। আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করার মতো ছিল যে, এবারই প্রথম দেশের শিল্পপতি-ব্যবসায়ী নেতারা সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন জানিয়েছেন। ধারণা করা যায় মহাজোটে থাকা জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের আসনে বহাল থাকবে। একটানা ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর গত ৩০ ডিসেম্বর দেশে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বিশাল বিজয় লাভের মাধ্যমে হ্যাট্রিক জয়ের রেকর্ড গড়ে চতুর্থ মেয়াদে সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। তিনি ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে তিনবার বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড, কামাল হোসেন একজন অনেক বড় আইনজীবী। একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজ্ঞ। কিন্তু তাঁকে একজন বড় রাজনীতিবিদ বলা একেবারেই মুশকিল। একজন রাজনীতিবিদের যে সব গুণাবলীর অধিকারী হওয়ার কথা তা তাঁর মধ্যে মোটেই নেই। তাঁর মধ্যে সেই মানসিকতারও প্রচ- অভাব রয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন। তাই যদি না হতো তাহলে শুধু প্রশ্ন করার অপরাধে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে এতটা হম্বিতম্বি করতেন না। ভাস্কর নামে আমার ঐ সাংবাদিক ভাইকে দেখে নেয়ার হুমকি দিতে পারতেন না। প্রশ্ন করে জানার অধিকার একজন সাংবাদিকের মৌলিক অধিকার। ড. কামাল হোসেনের আমাকে না চেনারই কথা, তবে তাঁর মেয়ে সারা হোসেনের আমাকে নিশ্চয়ই চেনার কথা। ১৯৯২ সালে একটি বড় ডেলিগেশনে আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে গিয়েছিলাম। বিশাল হৃদয়ের অধিকারী বঙ্গবন্ধু তার প্রতি অফুরন্ত স্নেহের কারণেই তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। ঐক্যফ্রন্ট তাকে তাদের প্রধান বানিয়েছেন। তার কথাবার্তা এবং আচার-আচরণ একজন প্রকৃত রাজনীতিবিদের মতো নয়। ঐক্যফ্রন্টের এভাবেই একেবার ছেড়াবেড়া অবস্থা ছিল আর ড. কামাল হোসেনকে তার প্রধান করায় তার অবস্থার উন্নতি না হয়ে আরও বেহাল হয়েছে। আর তাই ভোট বেমালুম পালিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের কথা যত কম বলা যায় ততই ভাল। দুর্নীতি, হত্যা প্রচেষ্টা ও নানা অপকর্মের দায়ে আদালতের বড় সাজা মাথায় নিয়ে লন্ডনে বসে কল-কাঠি নেড়েও তিনি কোন কিছুই করতে পারলেন না। বড়ই আফসোসের কথা। বিষয়টি সবারই জানা তারপরও আবার বলতে হচ্ছে, তার মা খালেদা জিয়া একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার পিতা জিয়াউর রহমান তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকে সীমান্তের ওপারে নেয়ার জন্য কয়েকবার লোক পাঠালেও তিনি তখন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছিলেন। আর সে কারণেই স্বামী জিয়াউর রহমান তার ওপর নাখোশ ছিলেন। স্বাধীনতার পর খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাড়িতে গিয়ে বসে থাকতেন। একদিন বঙ্গবন্ধু খালেদা জিয়াকে তার স্বামী জিয়াউর রহমানের হাতে তুলে দেন। সেই খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান কয়েক বছর আগে বঙ্গবন্ধুকে ’পাকি বন্ধু’ বলে শুধু সীমাহীন ধৃষ্টতা প্রদর্শনই নয় বেয়াদবির চরম বহির্প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন। বিরল ইচ্ছাশক্তি, মেধা, দক্ষতা, প্রজ্ঞা এবং দেশের মানুষের প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসা নিয়ে জনগণের জন্য ভাল কিছু করার অদম্য স্পৃহাকে পুঁজি করে তিনি অনুন্নত এক দেশকে দাঁড় করিয়েছেন মাধ্যম আয়ের দেশের কাতারে। প্রতিটি ক্ষেত্রে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭৫ সালের ভয়াল ১৫ আগস্ট রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অমিত সম্ভাবনার সেই স্বর্ণ দুয়ার। বিদেশে থাকায় অতি আদরের ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। তাঁর অবর্তমানেই তাঁকে সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিরোধী দল হিসেবে সংসদে যোগ দেয়। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২১ বছর পর সরকার গঠন করেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক পানি বণ্টন চুক্তিসহ অনেক কাজ করার পরও ২০০১ সালের নির্বাচনে নানা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দেয়া হয়। সরকার গঠন করে বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় ঐক্যজোট। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ অনেকবার জনগণের এই প্রিয় নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। সেনা সমর্থিত তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে ২০০৭ সালে গ্রেফতার করে। গণরোষের মুখে এক পর্যায়ে তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তৎকালীন সরকার। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেন। এ পর্যন্ত অনেকেরই বিচার শেষ করা হয়েছে। কৃষিখাতে ঘটেছে নীরব বিপ্লব। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে এই নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি। অর্থনৈতিক জোন, হাইটেক পার্ক, অনেক বাধার মুখে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করে আনা, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রসহ অসংখ্য মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ নিয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। অত্যন্ত যোগ্য নেতৃত্বে দেশ পরিচালনার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি অনেক আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মান অর্জন করেছেন। ১৯৯৬ সাল থেকে জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি পুরস্কারসহ তিনি এ পর্যন্ত ৪১টি পুরস্কার, পদক, ডক্টরেট ডিগ্রী ও সম্মাননা পেয়েছেন। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তির মাধ্যমে সমুদ্র বিজয় হয়েছে। ফলে একদিকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব সুসংহত হয়েছে, অন্যদিকে ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে। ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা স্থলসীমানা চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে নৃশসংতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই সাহসী ও বিরল মানবিক ভূমিকা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। তাই তাঁকে ‘মানবতার মা’ বলে পাশ্চাত্যের গণমাধ্যমে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করা হয়েছে। তাঁরই সুযোগ্য নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিশাল বিজয় আর বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের শুধু নাস্তানাবুদ হওয়া নয় একেবারে বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত ও পর্যুদস্ত হওয়ায় দেশে তোলপাড় অবস্থার সৃষ্টি হলেও, মানুষ কিন্তু একটুকুও বিস্মিত হয়নি। কারণ, সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে একটাই প্রশ্ন ঘুরেফিরে আসছে যে ক্ষমতায় থাকাকালে তারা জঙ্গীবাদ সৃষ্টিসহ দুঃশাসন ও দুর্নীতিতে ছিল আকণ্ঠ নিমজ্জিত। তারা শুধু নিজেদের আখের গুছানোর কথাই চিন্তা করেছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকানোর নামে সারাদেশে যে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস, নাশকতা ও শত শত নিরীহ মানুষকে দ্বিধাহীন চিত্তে পেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়ে মেরেছিল সেই অমানবিক ও অমানুষিক বিষয়টি সাধারণ মানুষের মনে গভীরভাবে রেখাপাত করে। মানুষের মনে একটি প্রশ্নই উদয় হতো যে বিএনপি-জামায়াত জোট আদৌ নির্বাচনে অংশ নিতে চায় কি-না? ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপির বড় বড় নেতাদের ফাঁস হওয়া ফোনালাপ শুনে সাধারণ মানুষের মনে ধারণাটি স্পষ্ট হয়ে যায় যে নির্বাচন নয়, নির্বাচন অনুষ্ঠানকে বানচাল করতেই তারা বরং বদ্ধপরিকর। প্রচারে গা না লাগানো, পোস্টার-লিফলেট না লাগানো, সর্বোপরি ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট না দেয়াও ছিল এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকারই অংশ। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারটিও জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক ইশতেহারটি ভোটাররা ভালভাবেই গ্রহণ করেছেন। শেখ হাসিনার সুন্দর বক্তব্যে নতুন ভোটারদেরও তিনি আস্থায় নিতে পেরেছেন বলে অনেকেই মনে করছেন। তরুণ প্রজন্মের সদস্যদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কিছু উদ্দীপনাময় আবেদনও নতুন ভোটারদের মন স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে একটি কথাই অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত হবে বলেই মনে হচ্ছে যে এদেশের মানুষ মন উজাড় করে শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর মার্কা নৌকায় ভোট দিয়েছেন। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তার সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব এখন অনেক অনেক বেড়ে গেছে। সর্বস্তরে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশকে প্রকৃত অর্থে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করাই হবে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার এখন এক মাত্র কাজ। লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
×