স্টাফ রিপোর্টার ॥ টঙ্গীতে জোড় এজতেমা কেন্দ্র করে বিশ্ব এজতেমা ময়দানে তবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বেলাল হোসেন (৫৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ৩২দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহতের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার মাইজদীর নারায়ণপুর গ্রামে। তিনি সেখানকার ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি তবলীগ জামাতের দিল্লী মারকাজ সাদপন্থী ছিলেন।
এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত বেলাল হোসেনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে রাতে মাইজদীর নারায়ণপুর পৈত্রিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গীতে জোড় এজতেমাকে কেন্দ্র করে বিশ্ব এজতেমা ময়দানে তবলীগ জামাতের দিল্লী মারকাজ সাদপন্থী এবং বাংলাদেশে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীর মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ইসমাইল হোসেনের (৭০) নামে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়। তিনি মাওলানা সাদ অনুসারী ছিলেন। নিহতের বাবার নাম মৃত খলিল মন্ডল। গ্রামের বাড়ি বিক্রমপুর-মুন্সীগঞ্জ জেলার মিলিয়াপাড়া গ্রামে। সংঘর্ষের পর সেদিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগামী এক মাস টঙ্গী বিশ্ব এজতেমা মাঠ প্রশাসনের দখলে থাকবে।