ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘আমরা সবার কাছে কৃতজ্ঞ’

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ৩ জানুয়ারি ২০১৯

‘আমরা সবার কাছে কৃতজ্ঞ’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের কৃতী চলচ্চিত্রকার, নাট্যকর্মী, চলচ্চিত্র সম্পাদক, অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সাইদুল আনাম টুটুলের অকাল মৃত্যুতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যে সমবেদনা ও সহানুভূতি জানিয়েছেন তার জন্য মরহুমের স্ত্রী, কন্যা ও স্বজনরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় ‘গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে আমাদের সব চাইতে কাছের মানুষ চলচ্চিত্রকার, নাট্য নির্মাতা, চলচ্চিত্র সম্পাদক, অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সাইদুল আনাম টুটুল আমাদের সবার ভালবাসার বাঁধন কাটিয়ে অনিবার্য অমোঘ সত্যের আহ্বানে সাড়া দিয়ে চলে গেছেন সেই অনন্তলোকে, যেখানে পার্থিব সকল ক্ষুদ্রতা, তুচ্ছতা ও দেহের সীমা অতিক্রম করে আত্মা মিলিত হয় পরম স্রষ্টার সঙ্গে। তিনি রেখে গেছেন আমাদের, তাঁর পরিবারকে, নিবিড় গভীর ভালবাসায় যাদের জড়িয়ে রেখেছিলেন প্রতি মুহুতে। এই তীব্র বেদনার মুহূর্তে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব, স্বজন এবং তাঁর গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী। তাদের উপস্থিতি ও সমবেদনা আমাদের একান্ত ব্যথার অংশী হওয়ার আকুলতা, আমাদের অভিভূত করেছে। তাদের প্রত্যেকের প্রতি আমাদের সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ। সেই মুহূর্তে তাদের ভালবাসা ও উষ্ণ সান্নিধ্য আমাদের শোককে শমিত করেছে, মনকে সান্ত¡না দিয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে না পেরে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমরা চিরকাল তাঁদের এই সহানুভূতি ও ভালবাসাকে মনে রাখব’।-তার পরিবার ও ভাইবোনের পক্ষ থেকে স্ত্রী মোবাশ্বেরা খানম, মেয়ে ঐশী আনাম ও অমৃতা আনাম। প্রসঙ্গত, রাজধানীর ধানম-ির ল্যাব এইডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সাইদুল আনাম টুটুল মৃত্যুবরণ করেন। অসংখ্য খ- ও ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করেছিলেন সাইদুল আনাম টুটুল। একজন চলচ্চিত্র সম্পাদক হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি পেয়েছিলেন এই নির্মাতা। ‘আধিয়ার’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করে প্রশংসিত হয়েছিলেন। ২০১১ সালে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। সর্বশেষ ‘কালবেলা’ নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন তিনি। চলচ্চিত্রটির আশি ভাগ নির্মাণ শেষও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগেই তিনি চলে যান না-ফেরার দেশে। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।
×