ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এক বছরে বেড়েছে ১৫ শতাংশ

গত বছর রেমিটেন্স এসেছে দেড় হাজার কোটি ডলার

প্রকাশিত: ০৬:১০, ৩ জানুয়ারি ২০১৯

গত বছর রেমিটেন্স এসেছে দেড় হাজার কোটি ডলার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহে সুখবর দিয়ে শেষ হলো ২০১৮ সাল। গত বছরে এক হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ (১৫.৫৪ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন তারা। এই অঙ্ক ২০১৭ সালের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এদিকে টাকার বিপরীতে ডলারের তেজিভাব এবং হু-ি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে গত অর্থবছরের মতো চলতি অর্থবছরেও রেমিটেন্সে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে অর্থাৎ ২০১৮ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ৭৪৮ কোটি ৮৪ লাখ (৭.৪৯ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। বছরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে রেমিটেন্স এসেছিল ৮০৪ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। বিদায়ী বছরে সব মিলিয়ে এক হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ২০১৭ সালে এসেছিল এক হাজার ৩৫৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এ হিসাবে ২০১৮ সালে আগের বছরের চেয়ে ১৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ রেমিটেন্স বেশি এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ১২০ কোটি ২ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা; যা ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে ১১৬ কোটি ৩৮ লাখ ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছিল। চলতি অর্থবছরের ছয় মাসের হিসাবে রেমিটেন্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ০৬ শতাংশ। অর্থাৎ ২০১৮ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ শতাংশের বেশি রেমিটেন্স বাংলাদেশে এসেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি রেমিটেন্সের নিম্নগতি সরকারের নীতিনির্ধারকদের কপালে ভাঁজ ফেলেছিল। রেমিটেন্স বাড়াতে মাসুল না নেয়াসহ নানা ঘোষণাও দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাসুল কমানোর সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন হয়নি। স্থানীয় বাজারে ডলারের তেজিভাব এবং হু-ি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে গত অর্থবছর রেমিটেন্স বাড়ে। খরা কাটিয়ে বাংলাদেশ ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষ করে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। এই রেমিটেন্স বাড়াতে মার্কিন ডলার-টাকার বিনিময় হার ৮৫ টাকা করার পরামর্শ দিয়েছেন বেসরকারী গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন ভারত, চীন, ভিয়েতনামসহ অনেক দেশ মার্কিন ডলারের বিপরীতে তাদের মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন করেছে। বাংলাদেশেও হয়েছে। তবে দেশগুলোর তুলনায় খুবই কম। তিনি বলেন, গত ছয় মাসে ভারতীয় মুদ্রা রুপীর বিপরীতে ডলারের দর বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি। সে তুলনায় বাংলাদেশী মুদ্রা টাকার বিপরীতে ডলারের দর বেড়েছে দশমিক ১৮ শতাংশ মাত্র।
×