ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গলাচিপায় সংঘর্ষ ॥ শিক্ষক নিহত, আহত ৬

প্রকাশিত: ০৪:২১, ৩ জানুয়ারি ২০১৯

গলাচিপায় সংঘর্ষ ॥ শিক্ষক নিহত, আহত ৬

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপায় বনভোজনকে কেন্দ্র করে দুই দফা সংঘর্ষে পাতাবুনিয়া এমসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খ-কালীন শিক্ষক রেজাউল ইসলাম খান (৩০) নিহত হয়েছেন। ঘটনায় আহত হয়েছে ৬জন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার উত্তর পাতাবুনিয়া গ্রামে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে´ে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, রবিবার রাতে সংসদ নির্বাচনের পরে পারিবারিক বনভোজনকে কেন্দ্র করে উত্তর পাতাবুনিয়া গ্রামের শাহিন খানের সঙ্গে জসিম খানের কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে জসিম খান, কবির খান ও শাহিন খান আহত হন। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবার শাহিন খানের সঙ্গে কবির খানের ভাই পাতাবুনিয়া এমসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খ-কালীন শিক্ষক রেজাউল ইসলাম খানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে রবিউল খান, মাসুদ খান, শাহ আলম খান ও রেজাউল ইসলাম খান আহত হন। গুরুতর আহত রেজাউলকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন সেখানেই মারা যান। চরফ্যাশন নিজস্ব সংবাদদাতা চরফ্যাশন, ভোলা থেকে জানান, চরফ্যাশন পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডে মঙ্গলবার রাতে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দ’ুগ্রুপের সংঘর্ষে ১০জন আহত, ৪টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে মিজান ও সফিউল্লাহ পালোয়ানকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিজানুর রহমান একই এলাকার নিয়াজ মোর্শেদ ওরফে বাট্টু নিয়াজদের মুদি দোকানের পণ্য কেনার আট শ’ টাকা দিতে বিলম্ব করায় সোমবার সন্ধ্যায় তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয়। কিছুক্ষণ পরেই নিয়াজ তার সহযোগী ১০/১২ যুবক মিজানকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরের দিন মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দা উপজেলা মৎস্য লীগের সভাপতি সফিউল্লাহ পালোয়ান ও সাবেক তানভির কমিশনারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে নিয়াজের পিতা মোজাম্মেল হককে তাদের দোকানটি সাময়িক বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা দোকান বন্ধ না রেখেই নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে ৯টি মোটরসাইকেলযোগে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এনে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এতে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের গতিরোধ করতে চাইলে স্থানীয়দের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। এতে সফিউল্লাহ পালোয়ানসহ ১০জন আহত হয়। এতে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলার সোনারামপুর ইউপির শান্তিপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, স্থানীয় মতি মেম্বার এবং ফরিদ মিয়ার গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকেলে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ঢাকা ও নরসিংদী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
×