মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ এদেশের মানুষকে শিক্ষিত করতে গত কয়েক বছর ধরে নতুন বছরের প্রথম দিনে কোমলমতি শিশুদের হাতে বই তুলে দিতে পারলেই বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহাখুশি। শিক্ষা খাতে প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ বিশেষ করে দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। এক সময় বিদ্যালয়গুলোতে বুকলিস্ট দিতে গিয়ে বছরের প্রথম মাসটি পার করে দিত। এরপর পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ও উপার্জনক্ষম মানুষটির আয়ের ওপর নির্ভর করে কেনা হতো নতুন বই। ওই সময় সচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়েরা বই নিয়ে স্কুলে আসত। বাকিরা বাবার বই কেনার অপেক্ষায় প্রহর গুনত। আবার অনেকে পরিবারের বড়দের বই দ্বিতীয় বারের মতো পড়ত। এমনও আছে আশপাশের বড়দের বই অর্ধেক মূল্যে কিনে নিত হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানরা। এমনও হতো বইয়ের জন্য স্কুলে মার খেতে হতো শিক্ষকদের। প্রধানমন্ত্রীর কারণেই সেই দিনগুলো স্মৃতির তালিকায় চলে গেছে। বিনামূল্যের বই উৎসবে নতুন বইয়ের ঘ্রাণে শিশু শিক্ষার্থীরা একদিকে আনন্দে আত্মহারা। অন্যদিকে সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিনকে কাছে পেয়ে অটোগ্রাফ নিতে নিতে অনেকে নতুন বইয়ে তাক লাগিয়েছে। আবার অনেকে এই অটোগ্রাফ নেয়ার পর বইকে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখছে ভেতরে কি কি ছবি রয়েছে। শিশুদের অটোগ্রাফ কালেকশন যেন সরকারের ‘বিনামূল্যে বই বিতরণ উৎসব’কে ভিন্ন মাত্রা দেয়।