ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমেছে

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ৩ জানুয়ারি ২০১৯

ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমেছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদায়ী বছরের শেষ মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। ডিসেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ ছিল। গতবছর নবেম্বরে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ সময় মন্ত্রী বলেন, আগামী পাঁচ বছরে দেশ এতটাই সফল হবে যে, দেশের মানুষ তা কল্পনাও করতে পারবে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তৈরি সর্বশেষ প্রতিবেদনে তথ্য বুধবার সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল থাকায় দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে না। এছাড়া গতবছর খাদ্যশস্যের বাম্পার ফলনও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছর মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার টার্গেট রয়েছে সরকারের। মূল্যস্ফীতির নিম্মগামী হওয়ার বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থবছর শেষে গড় মূল্যস্ফীতি টার্গেটের চেয়েও কম হতে পারে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে দেখা যায়, ডিসেম্বর মাসে দেশে খাদ্য খাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, তার আগের মাস নবেম্বরে এ হার ছিল ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, আগের মাসে যা ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ ছিল। ডিসেম্বর মাসে গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি নবেম্বরের মতোই ৪ দশমিক ৯১ শতাংশে ছিল। আর শহর এলাকায় নবেম্বরের ৬ দশমিক ২১ শতাংশ থেকে কমে ডিসেম্বরে হয়েছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশবাসীর প্রত্যাশার প্রতিফলন হয়েছে উল্লেখ করে মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের মানুষ সুস্পষ্ট রায় দিয়েছে, দেশটি কার হাতে পরিচালিত হবে। দেশ পরিচালিত করবে তারাই, যারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং যারা উন্নয়ন করবে। তারা এও বিশ্বাস করতেন, যে উন্নয়ন প্রকল্প আমাদের হাতে রয়েছে, এই সরকার পরিবর্তন হলে প্রকল্পগুলো আর বাস্তবায়িত হবে না। অতীত অবস্থা থেকে এটা আমরা বুঝতে পারি। পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সুযোগ পেলাম, চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশার লেভেল অনেক বড় হয়েছে। তারা বিশ্বাস করে, আমরা পারব। আমি আপনাদের সামনে রেখে বলতে পারি, প্রধানমন্ত্রী কখনও ফেল (ব্যর্থ) করেননি। এবারও তিনি ফেল করবেন না। যত বড় প্রত্যাশার লেভেলই দেশের মানুষের হোক, তিনি সেই প্রত্যাশার লেভেল স্পর্শ করবেন। তার হাত ধরে আমরা আগামী পাঁচ বছরে এতটাই সফল হব, যা এই দেশের মানুষ কল্পনা করেনি। উন্নয়নের কারণেই দেশের মানুষ আবারও তাদের নির্বাচিত করেছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমার একটি কথা সত্য হয়েছে, আপনারা অনেকে বিভিন্ন সভায় বলতেন, নির্বাচন আর উন্নয়ন এক জিনিস নয়। উন্নয়ন দিয়ে নির্বাচনের ফলাফল বোঝা যাবে না। আমি তখন বলেছিলাম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে সফল মানুষ এ দেশের। তিনি যে পরিমাণ উন্নয়ন করেছেন এ দেশের মানুষের জন্য সেই উন্নয়নের হাত ধরেই আমরা বিজয়ী হব। এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যাকে যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেবেন, তাতেই আমরা খুশি। তিনি না দিলেও দেশের উন্নয়নে আমরা কাজ করব। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ও সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ) সচিব ড. শামসুল আলমও এ সময় বক্তব্য রাখেন।
×