ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিতর্কিত পাইবাসই উইন্ডিজ কোচ

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ২ জানুয়ারি ২০১৯

বিতর্কিত পাইবাসই উইন্ডিজ কোচ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে আলোচিত, বিতর্কিত এক নাম রিচার্ড পাইবাস। ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দেশটির বোর্ড (ডব্লিউআইসিবি) পরিচালক ছিলেন তিনি। জাতীয় দলে বিবেচিত হতে ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করেছিলেন তিনিই। আইনটা মানতে গিয়ে অনেক তারকা ক্রিকেটার বাতিলের খাতায় চলে গেছেন এখন। গত ফেব্রুয়ারিতে পাইবাসের হাইপারফর্মেন্স ডিরেক্টর হওয়াটা তাই মানতে পারেননি ডেসমন্স হেইন্স, ড্যারেন সামির মতো সাবেক তারকা। অথচ সেই পাইবাসই নতুন কোচ হতে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। জানা গেছে, ২০১৯ সালে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই দায়িত্ব শুরু করবেন একটা সময় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কোচ থাকা পাইবাস। স্টুয়ার্ট ল গত বছর হঠাৎ করে দায়িত্ব ছাড়েন ক্যারিবীয়দের। ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে নিক পোথাস চালিয়ে আসছিলেন এতদিন। কিন্তু ভারত সফরে ব্যর্থতার পর ক্যারিবীয়রা টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হারে বাংলাদেশে। এ জন্যই পাইবাসকে দায়িত্ব দিতে চলেছে ক্যারিবীয় বোর্ড। পাইবাস ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হাই-পারফর্মেন্স ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তার দায়িত্ব ছিল পুরো ক্যারিবীয়জুড়ে সব পর্যায়ে নির্বাচক ও কোচদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা। এর আগে ২০১৩-২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি ক্যারিবীয় ক্রিকেটের পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ওই সময় চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও তিনি তা নবায়ন করতে অস্বীকৃতি জানান। পুনরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে পাইবাসের ফিরে আসাটা অনেকেই মেনে নেননি। সাবেক ক্যারিবীয় ওপেনার ডেসমন্ড হেইন্স তার নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে পাইবাস থাকাকালীন অধিনায়ক ড্যারেন সামিও তার ফিরে আসার বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারেননি। পরিচালক হিসেবে পাইবাসের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গড়তে হলে একজন ক্রিকেটারকে অবশ্যই ঘরোয়া টুর্নামেন্টে পারফর্ম করতে হবে, পাইবাসের এই নীতি অনেকেই মেনে নেয়নি। বিশ্বজুড়ে টি২০ খেলতে তাই অনেক তারকা জাতীয় দল ছাড়েন। পাইবাসের অধীনে পাকিস্তান ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। এরপর তিনি স্বল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় দলের দায়িত্বে ছিলেন।
×