পার্ক থেকে পালাল চিতাবাঘ!

বছরের প্রথম দিন। তাই অনেকেই এসেছিলেন ভারতের শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে বন্য জীবজন্তু দেখতে, আনন্দ উদযাপন করতে। কিন্তু মুহূর্তেই সেই আনন্দোৎসব পরিণত হয় আতঙ্কে। এনক্লোজার থেকে একটি চিতাবাঘ পালানোর খবর শুনে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন পার্কে আগত দর্শনার্থীরা। সেই সঙ্গে ভীত হয়ে পড়েছেন শিলিগুড়ি এবং তার আশপাশের এলাকার মানুষজন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল ১০টায় পার্কটি খোলার আগে একটি রুটিন পরিদর্শন করেন বনকর্মীরা। তবে নিয়মমাফিক পরিদর্শনের সময় পার্কের এনক্লোজারে শচীন নামের একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘকে খুঁজে পাননি তারা। এদিকে পার্কের বাইরে দর্শনার্থীদের জন্য টিকেট বিক্রি চলছিল। বছরের প্রথম দিন হওয়ায় দর্শনার্থীদের ভিড়ও বাড়ছিল। কিন্তু চিতাবাঘটি খুঁজে না পাওয়ায় দর্শনার্থীদের জন্য পার্কের দরজা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বন দফতর। যদিও বন দফতর বা পার্ক কর্তৃপক্ষ কোন পক্ষই এ নিয়ে সরকারী ঘোষণা করেননি। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, চিতাবাঘটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। বেঙ্গল সাফারি পার্কটি বিশাল এলাকা নিয়ে বিস্তৃত। চিতাবাঘটি পার্কের ভেতরে লুকিয়ে রয়েছে, নাকি পার্ক সংলগ্ন কোন জঙ্গলে চলে গেছে, তা নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি বন বিভাগের কর্মীরা। এমনিতে পার্কের দেয়াল যথেষ্ট উঁচু। সেটা টপকিয়ে চিতাবাঘটি কীভাবে পালাল সেটাও বুঝতে পারছে না পার্ক কর্তৃপক্ষ। চিতাবাঘের খোঁজ না পাওয়ায় দুটি সম্ভাবনার কথা বলছেন বন দফতরের কর্মকর্তারা। কেউ কেউ বলছেন, পার্কের সামনে থাকা উঁচু গাছের ডালে উঠে দেয়াল টপকিয়ে পার্কের বাইরে যেতে পারে চিতাটি। আবার কেউ কেউ ধারণা করছেন, বর্ষবরণের রাতে শিলিগুড়িতে প্রচুর বাজি ফোটানো হয়েছে। হয়তো সেই আওয়াজে ভয় পেয়ে পার্কের কোথাও লুকিয়ে ছিল চিতাবাঘটি। পরে পালিয়ে জঙ্গলে চলে গেছে।-আনন্দবাজার