ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সর্বনিম্ন ১২৩ ভোট পেলেন শেখ হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ২ জানুয়ারি ২০১৯

সর্বনিম্ন ১২৩ ভোট পেলেন শেখ হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন ঢাকা-১৯ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুর রহমান। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৪ লাখ ৯০ হাজার ৪২৭। অপরদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে সর্বনি¤œ ভোট প্রাপ্তের তালিকায় রয়েছেন গোপালগঞ্জ-২ আসনের বিএনপির এসএম জিলানী। তিনি পেয়েছেন মাত্র ১২৩ ভোট। এবারের নির্বাচনে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের হেভিওয়েট প্রার্থীসহ পরাজিত অধিকাংশ প্রার্থীই নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন। আইন অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের একভাগ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াফত হবে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা রেকর্ড সংখ্যক ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে বিজয়ী প্রার্থীর চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোটের সংখ্যা একেবারেই নগন্য। বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট সব আসনে প্রার্থী দিলেও জিতেছে মাত্র ৭ আসনে। যারা পরাজিত হয়েছেন তাদের অধিকাংশের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগের অনেক নিচে বলে জানা গেছে। ফলে দলটির অধিকাংশ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। এছাড়া ১ হাজার ৮শ’ ৬১ প্রার্থীর মধ্যে বিজয়ী প্রার্থী বাদ দিলে বাকিরাও জামানত হারিয়েছে এবার। এদিকে ভোটের হিসেবে দেখা গেছে, ঢাকা-১৯ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের শতকরা ৭৭ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৪ লাখ ৯০ হাজার ৪২৭। অপরদিকে এই আসনের বিএনপির দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিন ভোট পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৫৬৬। দুজনের ভোটের ব্যবধান ৪ লাখ ২০ হাজার ৬১। এদিকে কুমিল্লা ১০ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ হ ম মুস্তফা কামালও রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৪ লাখ ৫ হাজার ২৯৯। নিকটতম বিএনপি মনিরুল হক চৌধুরী পেয়েছেন মাত্র ১২ হাজার ৪৮৮ ভোট। এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে সর্বনি¤œ ভোট পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন এসএম জিলানী। এ আসনে ৭ বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এবারের নির্বাচনে তিনি কোটালিপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া আসনে নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এসএম জিলানী পেয়েছেন ১২৩ ভোট। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মারুফ শেখ হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৭১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক আপেল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ ভোট ও অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী উজির ফকির সিংহ প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৪ ভোট। প্রাপ্ত ভোটের পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গোপালগঞ্জের প্রায় সব আসনে বিজয়ী প্রার্থীর চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাত প্রায় শূন্যের কোঠায়। গোপালগঞ্জ-১ আসনে ৩ লাখ ৩ হাজার ১শ’ ৬২ ভোট পেয়ে যেখানে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের লে. কর্নেল (অব) মোহাম্মদ ফারুক খান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের মোঃ মিজানুর রহমান পান মাত্র ৭শ’ ২ ভোট। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী এফ ই শরফুজ্জামান পান ৫৭ ভোট এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মোঃ ইছাহাক মোল্লা পান ২১ ভোট। গোপালগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলুর করিম সেলিম যেখানে দুই লাখ ৮১ হাজার ৯০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের তমলিম শিকদার পেয়েছেন ৬শ’ ৮ ভোট। বিএনপির সিরাজুল ইসলাম পান ২৮৬ ভোট।
×