ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম থেকে মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যারা

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২ জানুয়ারি ২০১৯

চট্টগ্রাম থেকে মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যারা

হাসান নাসির, চট্টগ্রাম অফিস ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের সবকটিতে অভাবনীয় জয় পেয়েছে মহাজোট। এর মাধ্যমে অবসান হয়েছে কোন আসনে কে জিততে পারেন সেই ভোটের সমীকরণ। তবে এখন চলছে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় চট্টগ্রাম থেকে কারা স্থান পেতে পারেন, তা নিয়ে। জাতীয় পার্টি এবারও মন্ত্রিসভায় থাকছে কিনা এখনও পরিষ্কার নয়। সম্পূর্ণ নতুন মন্ত্রিসভা হবে নাকি পুরনো মন্ত্রিসভা বহাল বা সংযোজন বিয়োজন হবে তা নিয়েও রয়েছে জল্পনাকল্পনা। নির্বাচন শেষে ভোটারদের আগ্রহ তাদের বিজয়ী করা প্রার্থীদের নিয়ে। সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রতিবারই স্থান পেয়ে থাকেন চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এছাড়া টেকনোক্র্যাট কোটায় ছিলেন নুরুল ইসলাম বিএসসি। নির্বাচনকালীন সরকারে অনির্বাচিত কারও থাকার বিধান না থাকায় সরে দাঁড়াতে হয় নুরুল ইসলাম বিএসসিকে। এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছিলেন ডাঃ আফসারুল আমিন ও ডাঃ হাছান মাহমুদ। এবারের মন্ত্রিসভায় পুরনোদের পাশাপাশি একাধিক নতুন মুখও রয়েছেন আলোচনায়। প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও আলোচনায় রয়েছেন সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসন থেকে নির্বাচিত এই তরুণ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ¯েœহধন্য। ফলে মন্ত্রিসভায় তার স্থান হতে পারে এমনই আশাবাদ এলাকার ভোটারদের। চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনটি বরাবরই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ভিআইপি আসন হিসেবে বিবেচিত। কারণ এ সংসদীয় এলাকায় রয়েছে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর, একক বৃহত্তম রাজস্ব যোগানদাতা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, দুটি ইপিজেড, জ্বালানি সেক্টরের প্রধান স্থাপনা, পতেঙ্গা পর্যটন জোনসহ জাতীয় বেশকিছু স্থাপনা। বিএনপির আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ আসন থেকে এমপি হয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন চেম্বার সভাপতি এম এ লতিফ বিএনপির এই হেভিওয়েট প্রার্থীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করলেও তার ভাগ্যে মন্ত্রিত্ব জোটেনি। এবার তিনি আওয়ামী লীগ থেকে তৃতীয়বারের মতো এমপি হয়েছেন। বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বন্দর-পতেঙ্গা আসনকে নিজের করে নিয়েছেন নানা জনহিতকর কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে। আসনটির গুরুত্ব বিবেচনায় এমএ লতিফ এবার অবশ্যই মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন এমন আশা ওই এলাকায়। রাউজান থেকে পর পর চতুর্থবার সংসদ সদস্য হয়েছেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তিনি রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হলে একজন সিনিয়র সংসদ সদস্য হিসেবে তিনিও স্থান পেতে পারেন। তবে সবকিছু নির্ভর করছে নতুন মন্ত্রিসভার কলেবর কিংবা রদবদলের ওপর। চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বন্দরসহ নানা স্থাপনার কারণে বিনিয়োগের জন্য এ অঞ্চলের প্রতি আকর্ষণও রয়েছে দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব আমি নিজ হাতে নিলাম।
×