ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদ সদস্যদের গেজেট প্রকাশ কাল শপথ

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২ জানুয়ারি ২০১৯

সংসদ সদস্যদের গেজেট প্রকাশ কাল শপথ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাদশ জাতীয় সংসদে নবনির্বাচিতদের তালিকা বা ফল সরকারী গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার বিকেলেই তাদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। আজকের মধ্যে গেজেট ইসির হাতে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে। আইন অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে হবে। শপথ গ্রহণের অব্যবহিত পরই তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হবেন। এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে শপথ গ্রহণের সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে। গত ৩০ ডিসেম্বর রবিবার সারাদেশে একযোগে ২২৯ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৮ আসনের ফল বেসরকারীভাবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দেয়া তালিকা অনুয়ায়ী নির্বাচনে অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে ২৯৯ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৯ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠা লাভ করেছেন। নির্বাচনে মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টি ২০, ওয়ার্কার্স পার্টি তিন, জাসদ দুই, বিকল্পধারা দুই, তরিকত ফেডারেশন এক, জাতীয় পার্টির (জেপি) একজন জয়ী হয়েছেন। বিএনপি জোট অর্থাৎ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র সাতটি আসন। এর মধ্যে বিএনপির ৫টিতে, গণফোরাম দুটি আসনে জয়লাভ করেছেন। স্বতন্ত্রসহ অন্যরা জয় পেয়েছেন তিনটি আসনে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের ফল ঘোষণা স্থগিত রেখেছে। আগামী ৯ জানুয়ারি এ আসনের স্থগিত কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। এদিকে রীতি অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের পর শপথের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্পীকারের কাছে তা পাঠাবে ইসি সচিবালয়। সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হবে। তবে ভোটের কত দিনের মধ্যে গেজেট হবে, সেই বিষয়ে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে স্পীকারকে অবহিত না করলে বা শপথ না নিলে সদস্য পদ খারিজ হবে। সংবিধানের ৬৭) অনুচ্ছেদে- সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া নিয়ে বলা হয়েছে ‘৬৭(১) কোন সংসদ-সদস্যের আসন শূন্য হইবে, যদি (ক) তাহার নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে নব্বই দিনের মধ্যে তিনি তৃতীয় তফসিলে নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিতে ও শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিতে অসমর্থ হন। তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ মেয়াদ অতিবাহিত হইবার পূর্বে স্পীকার যথার্থ কারণে তাহা বর্ধিত করিতে পারিবেন। (খ) সংসদের অনুমতি না লইয়া তিনি একাধিকক্রমে নব্বই বৈঠক-দিবস অনুপস্থিত থাকেন; (গ) সংসদ ভাঙ্গিয়া যায়; (ঘ) তিনি এই সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফার অধীন অযোগ্য হইয়া যান; অথবা (ঙ) এই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। (২) কোন সংসদ-সদস্য স্পীকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন এবং স্পীকার- কিংবা স্পীকারের পদ শূন্য থাকিলে বা অন্য কোন কারণে স্পীকার স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ডেপুটি স্পীকার- যখন উক্ত পত্র প্রাপ্ত হন, তখন হইতে উক্ত সদস্যের আসন শূন্য হইবে। পদের শপথ ১৪৮। (১) তৃতীয় তফসিলে উল্লিখিত যে কোন পদে নির্বাচিত বা নিযুক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণের পূর্বে উক্ত তফসিল-অনুযায়ী শপথগ্রহণ বা ঘোষণা (এই অনুচ্ছেদে ‘শপথ’ বলিয়া অভিহিত) করিবেন এবং অনুরূপ শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিবেন। (২) এই সংবিধানের অধীন নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নিকট শপথগ্রহণ আবশ্যক হইলে, অনুরূপ ব্যক্তি যেরূপ ব্যক্তি ও স্থান নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ ব্যক্তির নিকট সেইরূপ স্থানে শপথগ্রহণ করা যাইবে। ৩[২(ক) ১২৩ অনুচ্ছেদের (৩) দফার অধীন অনুষ্ঠিত সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে এই সংবিধানের অধীন এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা তদুদ্দেশ্যে অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন ব্যক্তি যে কোন কারণে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করিতে ব্যর্থ হইলে বা না করিলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার উহার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে উক্ত শপথ পাঠ পরিচালনা করিবেন, যেন এই সংবিধানের অধীন তিনিই ইহার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি। (৩) এই সংবিধানের অধীন যে ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের পূর্বে শপথ গ্রহণ আবশ্যক, সেই ক্ষেত্রে শপথ গ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
×