অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বসুন্ধরা পেপার মিলের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ২০৮টি শেয়ার লক-ইন ফ্রি হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। এ নিয়ে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আর কোন শেয়ার লক-ইন থাকছে না।
কোম্পানিটির আইপিও প্রসপেক্টাস ইস্যু হয় ২০১৮ সালের ১ এপ্রিলে। মোট শেয়ার সংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৩৭ লাখ ৯১ হাজার ৪৪১টি। তাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মোট শেয়ার ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৮৩৩টি। স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির লেনদেনে শুরু হয় ২ জুলাই। লেনদেনের প্রথম দিনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৫০ শতাংশ শেয়ার ফ্রি থাকে।
বাকি ৫০ শতাংশের মধ্যে ২৫ শতাংশ বা ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ২০৮টি শেয়ারের ওপর ৬ মাসের লক-ইন থাকে। যার মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর। আর অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ বা ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ২০৮টি শেয়ারের ওপর ৯ মাসের লক-ইন থাকে। যার মেয়াদ শেষ হবে ১ জানুয়ারি মঙ্গলবার।
পাবলিক ইস্যু রুলস অনুসারে, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ শেয়ারের ওপর কোন ধরনের লক-ইন থাকে না। আর অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ২৫ শতাংশের ওপর ৬ মাস এবং বাকি ২৫ শতাংশের ওপর ৯ মাসের লক ইন থাকে। প্রসপেক্টাস ইস্যুর তারিখ থেকে লক-ইন হিসাব করা হয়।
৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর পুরোটাই ছিল নগদ লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৬৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪৯ টাকা ১৮ পয়সা।
আর প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর,১৮) কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬১ পয়সা।
কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ১৭৩ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। এন ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০১৮ সালেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৭০.৮৬ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের ৮.০৭ শতাংশ রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে, আর ২১.০৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
