ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

১৪ সালের ভোট বয়কট ঠিক ছিল ॥ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ১ জানুয়ারি ২০১৯

১৪ সালের ভোট বয়কট ঠিক ছিল ॥ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট যে ঠিক ছিল, তা প্রমাণিত ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে। তিনি বলেন, এখন সারাদেশের মানুষ দেখেছেন দলীয় সরকারের অধীনে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। ভোট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অমিত। সোমবার দুপুরে শহরের ঘোপ এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনটি হয়। এতে অমিত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তার সামনে ঘটে যাওয়া ‘ভোট ডাকাতির’ কিছু চিত্র তুলে ধরেন। বলেন, এর বাইরেও শত অনিয়ম, জালিয়াতি হয়েছে, যা প্রত্যক্ষ করেছেন সংবাদকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। তিনি বলেন, আমি দুঃখিত যে, বিজয়ী কাজী নাবিল আহমেদকে অভিনন্দন জানাতে পারছি না। কারণ তার জয়ে জনগণের কোন ভূমিকা নেই। ভূমিকা আছে দলীয় সন্ত্রাসী ও পুলিশের। জনগণ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে এবং সেই নির্বাচনে জয়ী হলে কাজী নাবিলকে অভিনন্দন জানাতাম। অমিত বলেন, সারাদিনের কর্মকা- শেষে মানুষ আয়নার সামনে দাঁড়ায়। নিজের চেহারা দেখে। এখন কাজী নাবিল কীভাবে আয়নার সামনে দাঁড়াবেন ? রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, শুধু সেনানিবাসের কেন্দ্রগুলো ছিল ব্যতিক্রম। এছাড়া আর কোথাও ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। অথচ মানুষ ভোট দিতে উন্মুখ ছিল। কোন কোন কেন্দ্রে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। অথচ তারা ভোট দিতে পারেনি সরকারী দলের ক্যাডার আর পুলিশী বাধায়। কোন কোন কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে ব্যালট শেষ। বেশিরভাগ কেন্দ্রে আগের রাতে ব্যালট কেটে নেয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও প্রিসাইডিং অফিসাররা জিম্মি ছিলেন সশস্ত্র ক্যাডারদের হাতে। ভোটের আগের রাত থেকে শুরু করে ভোটের দিন পর্যন্ত শত শত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। আমি যেখানেই গেছি সেখানেই বোমা মারা হয়েছে। দুই কেন্দ্রে আমার ওপর চড়াও হয়েছে সন্ত্রাসীরা। তিনি সংবাদকর্মীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ভোটের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্তত সাত সংবাদকর্মী শারীরিকভাবে নিগৃহীত হয়েছেন, মার খেয়েছেন। তা সত্ত্বেও সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্বে অবিচল ছিলেন। এমনকি সাংবাদিকরা আমার নিরাপত্তা বিধানেও কাজ করেছেন। আমি আশঙ্কা করছি, বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা এখন আবার হামলা-মামলার মুখে পড়বেন। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমি চিন্তিত। আশা করব, ভোটারদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টির জন্য সরকারী দলের ক্যাডাররা যেসব বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে, তার দায় যে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীর ওপর চাপানো হবে না, তার প্রমাণ কি, বলেন অমিত। এক প্রশ্নের জবাবে অমিত বলেন, সামনের রাজনীতির গতিপথ কী হবে, তা নির্ধারণ করবেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের প্রতি কিছু নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট জেলা বিএনপির সহসভাপতি এ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, আব্দুস সবুর ম-ল, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নগর সেক্রেটারি মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু প্রমুখ।
×