ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গুলিতে নিহত দুই

ভারতীয় সেনার পোশাক পরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা পাক রেঞ্জার্সের

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ১ জানুয়ারি ২০১৯

ভারতীয় সেনার পোশাক পরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা পাক রেঞ্জার্সের

ভারত ও পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাক সেনার পোশাক ও ভারতীয় সেনার পোশাক পড়ে ভারতীয় সেনবাহিনীকে বোকা বানিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল পাক সেনার একটি বিশেষ দল। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) ও সেনাবাহিনীর গুলিতে সেই দলের দু’জন সদস্য মারা গেলেন কাশ্মীরের নওগাম সেক্টরে। তারা পাক রেঞ্জার্সের সদস্য বলেই মনে করছেন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তারা। এনডিটিভি ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ব্যাপক গুলিবিনিময়ের মুখে বাকিরা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। সেনাবাহিনীর অনুমান, বর্ষবরণের সময় বড় ধরনের হামলার চেষ্টা ছিল ওই দলটির। ভারতীয় সেনার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, রবিবার গভীর রাতে নওগাম সেক্টরে পাক সীমান্তে ওপার থেকে একটি দল ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের কারও পরনে ভারতীয় সেনার পুরনো ইউনিফর্ম, বিএসএফ ও পাক সেনার ইউনিফর্ম থাকায় প্রথমে কিছুটা ধন্দে পড়ে যান সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানরা। গভীর জঙ্গল পেরিয়ে তারা যখন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে, তখন তাদের রক্ষা করতে পাক সেনাও ব্যাপক গোলাবর্ষণ শুরু করে। তখনই সেনা জওয়ানরা বুঝতে পারেন, ধোকা দিতেই ইউনিফর্ম পরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। তারপরই গুলি চালান জওয়ানরা। শুরু হয় গুলি বিনিময়। সেনা সূত্রের খবর, প্রায় সারারাত দু’পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় চলে। ভোরের আলো ফুটতেই ওই এলাকায় গভীর জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। তখনই উদ্ধার হয় দু’জনের মৃতদেহ। সেনার অনুমান, পাক সেনার গোলাবর্ষণ, অন্ধকার ও কুয়াশার সুযোগ নিয়ে পালিয়ে গেছে অন্যরা। প্রাথমিক তদন্তে ভারতীয় সেনার অনুমান, যে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তারা পাক রেঞ্জার্সের জওয়ান। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে কার্যত অস্ত্রভা-ার উদ্ধার করেছেন সেনা জওয়ানরা। তারমধ্যে এমন অস্ত্রশস্ত্রও পাওয়া গেছে যেগুলো মূলত যুদ্ধের সময় ব্যবহার করা হয়। এ থেকেই সেনা কর্মকর্তারা মনে করছেন, নওগাম সেক্টরে ব্যাপক নাশকতা চালানোর ছক ছিল এই দলটির। সেনার মুখপাত্র বলেন, ওই দু’জনের মৃতদেহ ফিরিয়ে নেয়ার জন্য পাক সেনাকে অনুরোধ জানানো হবে।
×