ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আজ রাতটুকু পোহালেই উঠবে নতুন বছরের সূর্য

মহাজোটকে মহাবিজয় দিয়ে বিদায় নিল ২০১৮ সাল

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

 মহাজোটকে মহাবিজয় দিয়ে বিদায় নিল ২০১৮ সাল

উত্তম চক্রবর্তী ॥ এসে গেল আরও একটা নতুন বছর। নতুন আশায় বুক বেঁধে নতুন করে পথ চলার প্রত্যয়। কিন্তু, অতীতের বীজেই যে ভবিষ্যতের বৃক্ষ, সে তো আর নতুন নয়। তাই পেছনে ফিরতেই হয়। দেখে নিতে হয়। কেমন গেল, কী মিলল, কী হারাল। আগামীতেই বা কী হবে? এই ফিরে দেখা অবশ্য পেছনে যাওয়া নয় আসলে সামনে এগোনোর তাগিদেই। আজ রাতটুকু পোহালেই ভোরের পূর্বাকাশে দেখা দেবে নতুন বছরের নতুন সূর্য। দেখতে দেখতে কেটে গেল আরেকটি ঘটনাবহুল বছর। দিনপঞ্জিকার শেষ পাতাটি উল্টে যাবে আজ। নানা কাজের ফিরিস্তি লেখা নিত্যসঙ্গী হয়ে হাতখাতাটি হয়ে পড়বে সাবেক। খেরোখাতা হয়ে পড়বে পুরনো। পরমায়ুর বৃক্ষ থেকে ঝরে গেল একটি পাতা। মহাকাল নামের এক অন্তহীন কালের গর্ভে হারিয়ে গেল আরও একটি বছর। নতুন বছরের সূর্যটা দ্বিতীয় দফা ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে মহাজোটের মহাবিজয় এনে দেয়ার উৎসবকে ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় করে রেখে বিদায় নিচ্ছে ঘটনাবহুল ’১৮। আজ মহাকাল সেভাবেই মুছে দেবে বহুল আলোচিত ২০১৮ সালের একফোঁটা জল। ‘যেতে নাহি দিব’-এ চিরন্তন বিলাপধ্বনির ভেতরে আবহমান সূর্য একটি পুরনো দিবসকে আজ কালস্রোতের উর্মিমালায় বিলীন করে পশ্চিম দিগন্তে মিলিয়ে যাবে। বর্ষবরণের আবাহন রেখে কুয়াশামোড়া পাণউর সূর্য আজ বিদায় নেবে মহাকালের যাত্রায়। সময় হলো খ্রিস্টীয় ২০১৮ সালকে বিদায় বলার। নতুন বছর ২০১৯ সালকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী। সময় যায়। বদলে যায় অনেক কিছুই। এ হলো পরম সত্য। সময় যেন এক প্রবহমান মহাসমুদ্র। কেবলই সামনে এগিয়ে যাওয়া, পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। তাই তো জীবন এত গতিময়। সেই গতির ধারাবাহিকতায় মহাকালের প্রেক্ষাপটে একটি বছর মিলিয়ে গেল। আজ আলোড়িত-আন্দোলিত বর্ষ বিদায়ের দিন। জীর্ণ ঝরা পল্লবের মতো সরলরৈখিক গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে আজ খসে পড়বে ’১৮। মধ্যরাতে নতুন বছরকে (২০১৯) স্বাগত জানানোর উৎসবের বাঁশি বেজে উঠবে বিশ্বময়। আগামীকাল থেকে শুরু হবে নতুন প্রত্যাশার নতুন বছর। কিন্তু যে বছরটি হারিয়ে গেল জীবন থেকে, ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে, তার সবই কি হারিয়ে যাবে? মুছে যাবে সব? না, সবকিছু মুঝে যায় না। ঘটনাবহুল ’১৮-এর ঘটনার রেশ টেনেই মানুষ এগিয়ে যাবে ’১৯ সালের প্রথম প্রহরের পথে। অনেক ঘটনা মুছে যাবে বিস্মৃতির ধুলোয়। আবার পাওয়া না পাওয়ার অনেক ঘটনা থাকবে উজ্জ্বল হয়ে। প্রতিবারের মতো এবারও নতুন সূর্যালোকে নতুন আশা ও স্বপ্ন নিয়ে নতুন বছরে যাত্রা শুরুর জন্য প্রস্তুত সবাই। অসীম প্রত্যাশা নিয়ে মানুষ অপেক্ষা করছে আজ মধ্যরাতের প্রথম প্রহরের জন্য, যখন সূচিত হবে নতুন আকাক্সক্ষায় উদ্ভাসিত নতুন বছর। যে বছরের খেরোখাতায় চোখ বোলালেই বয়ে যায় আনন্দ-বেদনার স্রোত। হয়ত স্মৃতি সতত সুখের নয়। হিসেবের খেরোখাতায় জমে আছে অনেক বিয়োগ-ব্যথা, হারানোর কান্না, নানা গ্লানি আর মালিন্যের দাগ। বছরজুড়ে অপ্রত্যাশিত নানা ঘটনা-দুর্ঘটনায় আমাদের মন ভীষণ ভারাক্রান্ত, তবু নিরাশার গভীর থেকে ফুটে ওঠে বিপুল আশার আলো, ধ্বংসস্তূপ থেকে ফোটে নবতর জীবনের ফুল। আমরা আবারও মেতে উঠি সৃষ্টিসুখের উল্লাসে, বৈরী সময়কে মাড়িয়ে এসে গেয়ে উঠি জীবনের জয়গান। আজ রাত পেরোলেই পূর্বকাশে উঠবে যে নতুন সূর্য সে সূর্য নতুন বছরের। নতুন আশায় বুক বেধে আরও একটি নতুন বছরের দিনলিপি পড়ে থাকবে পেছনে। নতুন বছরে নতুন সূর্যের অসীম প্রতীক্ষা মানুষের। উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়েই মানুষ স্বাগত জানাবে ইংরেজী নতুন বছর ২০১৯ সালকে। ইংরেজী পঞ্জিকার সর্বজনীনতায় বিশ্ববাসীও মেতে উঠবে নতুন বছরের আগমনী আনন্দ-উল্লাসে। স্বপ্ন আর দিনবদলের অপরিমেয় প্রত্যাশার রক্তিম আলোয় উদ্ভাসিত শুভ নববর্ষ ২০১৯। ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’- উচ্চারিত হবে শতকোটি মানুষের কণ্ঠে। বহু ঘটনার জন্ম দিয়ে মহাকালের পরিক্রমায় বিদায় নিল আরও একটি বছর। মিথ্যার কুহেলিকা ভেদ করে সত্য প্রতিষ্ঠিত এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অভূতপূর্ব পুনর্জাগরণ ঘটিয়ে চিরকালের জন্য আজ হারিয়ে যাচ্ছে ঘটনাবহুল ’১৮। বাংলাদেশের ৪৭ বছরের অনেক ইতিহাস বদলে দিয়েছে বিদায়ী বছরটি। সূচনা করেছে জাতীয় জীবনে ও রাজনীতির ইতিহাসে এক অভিনব অধ্যায়ের। বিদায়ী বছর শেষ হওয়ার মাত্র একদিন আগে ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় নির্বাচনে পুনরায় ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে ইতিহাসের রেকর্ড টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বাধীনকারী দল আওয়ামী লীগ। আর হ্যাটট্রিক করে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিপুল উন্নয়ন আর জনমনে শান্তি-স্বস্তি দিয়েই বিদায় নিল ’১৮ সাল। অনেক ঘটনা, অঘটন, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, চড়াই-উতরাই, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আনন্দ-বেদনার সাক্ষী হয়ে কালের গর্ভে আজ হারিয়ে যাচ্ছে পুরনো বছর। যে প্রত্যাশার বিশালতা নিয়ে ’১৭ সালের প্রথম দিনটি বরণ করা হয়েছিল, সেই প্রত্যাশার সব কি পূরণ হয়েছে। হয়নি। কিন্তু যা পাওয়া গেছে তাও কম নয়। নানা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র শক্তভাবে মোকাবেলা করে সৃষ্টির জাগরণে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান সরকার। সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বেড়াজাল ছিন্ন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের দক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় আজ সবদিক থেকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দুর্নীতি-সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের দেশের কালো তকমা মুছে ফেলে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে প্রমত্তা নদীর বুকে পদ্মা সেতুর নির্মাণযজ্ঞ চলছে নিজস্ব অর্থায়নে। নির্মাণযজ্ঞ শুরু হয়েছে রাজধানীতে মেট্রোরেলের। দেশের ইতিহাসে জাতীয় প্রবৃদ্ধি অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। সরকারের দক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় বাংলাদেশ পেয়েছে বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তাই বিদায়ী বছরে কৃষি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতিসহ সার্বিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণে বলা যায়, আশা-নিরাশার, আনন্দ-বেদনার দোলাচলে যথেষ্ট বাক্সময় ’১৮। নতুন বছর ২০১৯ সালের অনেক প্রত্যাশার বীজও বুনে গেছে বিদায়ী ’১৮। দেখতে দেখতে চলে গেল আরেকটি বছর। শেষলগ্নে এসে হাসি-কান্না, পাওয়া না পাওয়ার হিসাব মেলাতে ব্যস্ত সবাই। রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশে বিদায়ী বছরটি কেমন গেল, দেশের সব মানুষের একই জবাব-’১৮ সাল ছিল নিস্তরঙ্গ রাজনীতির বছর। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কার্যত পুরো বছরটিই কেটেছে শান্তি, স্বস্তি ও অগ্রগতির মিছিলে। ’১৫ সালের মতো দেশবাসীকে রাজনীতির নামে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার নৃশংসতার ঘটনা আর দেখতে হয়নি। বিদায়ী বছরে সরকারের সাফল্য বা অর্জনের কমতি ছিল না। একের পর এক আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিজয়, সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, দেশী অর্থনীতি মজবুত, উপচেপড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। পাল্টে যাচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতিও। বিদায়ী বছরে রাজপথে ছিল না সরকারবিরোধী আন্দোলন কিংবা সংঘাত-সাংঘর্ষিক রাজনীতি। রাজনৈতিক প্রধান প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক সঙ্কটে ফেলার কৃতিত্বও সরকারের ঝুলিতে। পুরো বছরেই রাজনীতির লাগাম ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। বিশ্বের বড় বড় দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরাও বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন বিদায়ী বছরজুড়েই। ’১৮ সাল কেমন গেল তার সার্বিক পর্যালোচনায় এক কথায় বলা যায়, কিছু ঘটনা ছাড়া রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে উন্নয়নের নবযাত্রার এক বছর পূর্ণ হলো। তবে বিদায়ী বছরটি ছিল নির্বাচনী বছর। তাই সারাবিশ্বের দৃষ্টিও ছিল বাংলাদেশের দিকে। কেমন হবে বাংলাদেশের নির্বাচন? বিএনপি কী নির্বাচনে আসবে নাকি আবারও হাঁটবে বর্জনের পথে? দেশ কি আবারও অন্ধকারের দিকে যাবে, নাকি আলোর পথেই থাকবে? বিদায়ী বছরের শেষের তিনমাস আগেও এ নিয়ে জনমনে ছিল শঙ্কা, অনিশ্চয়তা। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও চমক দেখাতে সক্ষম হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিরবৈরী বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে টানা সংলাপ করে ইতিহাসের রেকর্ডসংখ্যক রাজনৈতিক দলকেই নির্বাচনে আনতে সক্ষম হন তিনি। অবশেষে আসে সেই মাহেদ্রক্ষণ। রীতিমত উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশে শেষ হলো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। চ্যালেঞ্জিং এ নির্বাচনেও দেশের মানুষ ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের পক্ষেই গণ রায় দেয়। সারাদেশেই আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের জয়জয়কার। পোড়খাওয়া ভোটার ছাড়াও তরুণ প্রজন্মের নতুন ভোটাররাও উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকার আওয়ামী লীগকেই টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের জন্য নৌকার পক্ষে ব্যালট বিপ্লব ঘটান। টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দেশে-বিদেশে আলোচিত বাংলাদেশ ॥ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, রোহিঙ্গা সঙ্কটে মানবতা প্রদর্শনসহ নানা ইস্যুতে সাফল্যের কারণে বিদায়ী বছরজুড়ে বিশ্বে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে বাংলাদেশ। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার মৌলিক চাহিদার যোগান ঠিক রেখে অব্যাহত আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, কৃষি ও বিদ্যুত খাতের উন্নয়ন, রোহিঙ্গা সঙ্কটে মানবতার দৃষ্টান্ত, সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ দমন, ক্রিকেটারদের সাফল্যে, পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান অগ্রগতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা ও পরিশ্রমের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসহ নানা কারণে বিদায়ী বছরে বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর কেড়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব গণমাধ্যমেও এসব অর্জনের খবর ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে। বছরজুড়েই বিশ্ব অঙ্গনে আলোচিত ছিল বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন শুধু গল্প নয়, বাস্তবতা। একাত্তরে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আর ৭০ শতাংশ দারিদ্র্যের বোঝা নিয়ে পথ চলা শুরু করে বাংলাদেশ। এমন দৈন্য ঘুচিয়ে এখন প্রবৃদ্ধির চাকা ঘুরছে ৭ শতাংশের ওপর। আর দারিদ্র্যের হার কমে ২১ দশমিক ৮ শতাংশে নেমেছে। বাজেটের আকার ৪ লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। রিজার্ভ রয়েছে প্রায় ৩৩ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। মাথাপিছু আয় ১৭৫১ মার্কিন ডলার। অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশ প্রায় সব সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন এগিয়ে যাওয়া উন্নত দেশের দিকে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি দেশের একটি আজ বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে ৩১তম। এইচবিএসসি’র প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ’৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে। সারাদেশের এই উন্নয়নযজ্ঞে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে দেশের মানুষ আবারও নৌকাকেই বেছে নিয়েছে। উন্নয়ন-সমৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই গণ রায় দিয়েছেন দেশের মানুষ। আবারও প্রত্যাখ্যান করেছে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গীবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, যুদ্ধাপরাধী ও একাত্তরের গণহত্যাকারী এবং তাদের মদদদাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের। তাই এক অন্যরকম স্বস্তি, শান্তি এবং সমৃদ্ধির নব বারতা নিয়েই গোটা জাতি বরণ করতে যাচ্ছে নতুন একটি বছর। বিদায়ী বছরে অনেকেই চিরবিদায় নিয়েছেন। কিন্তু দিয়েছেও কি খুব কম? এ দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে ’১৮ অনেক কারণেই স্মৃতির পাতায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। মহাকালের আবর্তে হারিয়ে গেলেও বিদায়ী বছরটি দেশের মানুষের মনে দাগ কেটে থাকবে বহুকাল, বহু বছর। পাল্টে দিয়েছে অনেক ইতিহাসও। সব মিলিয়ে বিদায়ী বছরটি ছিল বৈচিত্র্যময়। আজকের গোধুলি লগ্নে রক্তিম সূর্য অস্ত যাওয়ার মধ্য দিয়ে হারিয়ে যাবে ঘটনাবহুল বছর ২০১৮। এখন নতুন বছর আর নতুন সূর্যের অপেক্ষায় দেশবাসী। অপেক্ষা কেবল মানুষের নিরাপত্তা, শান্তি, স্বস্তি, জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসমুক্ত অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বিনির্মাণ ও সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির দেশ গড়ার। টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসার অপেক্ষায় থাকা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের কাছে এ প্রত্যাশা রেখেই আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে নতুন বছরে, নতুন জীবনে যাত্রা করবে এ দেশের মানুষ। কাল শুরু হবে আরও একটি নতুন বছর ’১৯। বিদায় ২০১৮।
×