ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্রিটেনকে ধরে রাখব না

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

ব্রিটেনকে ধরে রাখব না

ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলে দেশটিকে আটকে রাখা হবে না, ইউরোপীয় কমিশন প্রধান জ্যঁ ক্লদ জাঙ্কার এ কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট ডিল অনুমোদন সাপেক্ষে ইইউ দেশটির সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে। -ওয়েবসাইট। আগামী বছর মে মাসে ইউরোপীয় কমিশনের নির্বাচন হবে। এর আগে জোটের ঐক্যের দিকে এখন দৃষ্টি দিতে চান জাঙ্কার। জার্মান সংবাদপত্র ওয়েল্ট এ্যান্ড সোলটাগকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘অনেকে কানাঘুষা করছে যে আমরা যে কোন উপায়ে ব্রিটেন ইইউতে ধরে রাখতে চাইছি। এটি আমাদের উদ্দেশ্য নয়। ব্রিটেনের সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও আমরা বিষয়টি স্পষ্ট করতে চাই যে গণভোটের রায় আমরা সম্মান করি।’ ২০১৬ সালে ব্রিটেনের গণভোটের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি এই কথা বলেন। জাঙ্গার বলেন, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ডিভোর্স ডিল অনুমোদন করার পর ইইউ দেশটির সঙ্গে নতুন ডিল নিয়ে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত রয়েছে। ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া সপ্তাহে এ বিষয়ে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, ব্রিটেনের উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর তারা আমাদের জানাবে তারা কি করতে চায়। জাঙ্কার বলেন, ‘আমার মনে হয় তারা ইইউ ছাড়ারই সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ দেশটির জনগণের পক্ষেই রায় দিয়েছে।’ ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটেনের দ্বিতীয় গণভোট আয়োজন করা উচিত কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা ব্রিটিশ জনগণের। তাকে প্রশ্ন করা হয় ইইউ এই মুহূর্তে আর কি ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। জাঙ্কার বলেন, ‘বাণিজ্য ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কি করেন সেটি আমি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। তিনি যতক্ষণ তার কথা ঠিক রাখছেন, আমিও ততদিন তার ওপর আস্থা রাখব। যখন তিনি নিজের কথা ভঙ্গ করতে শুরু করবেন তখন আমারও নিজের কথা নিজের ঠিক রাখার কোন বাধ্যবাধকতা থাকবে না। জাঙ্কার বলেন মোটর গাড়ির ওপর শুল্ক ধার্য করা নিয়ে ইইউ ও ওয়াশিংটনর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। জাঙ্কার বলেন, ‘ইইউ নাগরিকদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবোধ বেড়েছে। মে’তে সারা ইউরোপ জুড়ে নির্বাচনের আগে এই প্রবণতা একটি সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এই বিচ্ছিন্নতাবোধ যেন আরও গভীর না হয় সেটি এখন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের এ বিষয়ের ওপর জোর দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই যে পপুলিস্টরাই সঠিক। তাদের কর্মসূচীগুলোর হয়তো জন সমর্থন আছে। কিন্তু বর্তমান সময়ের সমস্যা সমাধানের কোন সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তাদের কাছে নেই। চীন ও রাশিয়ার হ্যকিং প্রচেষ্টা থেকে ইউরোপকে বাঁচানোর উদ্যোগ নিতে হবে। স্বাভাবিকভাবে ধরে নেয়া যায় ওই দেশগুলো ইইউর নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করবে। ১ জানুয়ারি থেকে রুমানিয়া ইইউর প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব নেবে। পর্যায়ক্রমে ইইউর প্রেসিডেন্সি পরিবর্তন হয়ে থাকে। রুমানিয়ার নেতৃত্বে ইইউ কেমন চলবে এ বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেন জাঙ্কার। দেশটিতে বিভক্তি এবং দুর্নীতি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। জাঙ্কার বলেন, বুখারেস্টের সরকার এখনও এটি পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারে নাই ইইউর নেতৃত্ব বলতে আসলে কি বোঝায় বা এই পদের দায়িত্বই বা কি রকম। দেশটির ভেতরে এতো বিভক্তি রয়েছে যে তাদের পক্ষে ইইউকে ঐক্যবদ্ধ করে রাখা সম্ভব নাও হতে পারে।
×