ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘উন্নয়ন বন্ধ হবে তাই খাল কেটে কুমির আনছি না’

প্রকাশিত: ০৫:০০, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

 ‘উন্নয়ন বন্ধ হবে তাই খাল কেটে কুমির আনছি না’

গাফফার খান চৌধুরী ॥ বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে লাভ নেই। কারণ তারা টানা দশ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। স্বাভাবিক কারণেই তারা ক্ষমতায় গেলে প্রথম তিন বছর শুধু মারামারিই করবে। এমনও হতে পারে প্রতিশোধ পরায়ন বিএনপি-জামায়াত-শিবির পুরো পাঁচ বছর শুধু মারামারি করেই পার করবে। এতে করে দেশের স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হবে। দেশের উন্নয়ন কর্মকা- ব্যাহত হবে। দেশের উন্নয়নের জন্য হাতে নেয়া সব বড় বড় প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে। দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হবে। দেশে অশান্তি বাড়বে। তাই এবার আর খাল কেটে কুমির আনছি না। উন্নয়নের সরকারকেই ভোট দেব। কথাগুলো বলছিলেন চল্লিশ বছর বয়সী মনির মিয়া নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মিরপুর থানাধীন শেওড়াপাড়ার মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ নম্বর শাখায় ভোট দিতে এসেছেন। বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে তার সঙ্গে কথা হয় শেওড়াপাড়া ওভারব্রিজের নিচে। তিনি বলছিলেন, আমি ঢাকার পূর্ব কাজীপাড়ার বাসিন্দা। এখানকার ভোটার। মনোহারী ব্যবসা করি। বাড়ি গোপালগঞ্জে। এবার উন্নয়নের সরকারকে ভোট দেব। কারণ বিএনপি-জামায়াতকে ভোট দিয়ে কোন লাভ নেই। তারা দশ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। ক্ষমতায় গেলে প্রথম তিন বছর শুধু মারামারি করেই কাঁটাবে। এমনও হতে পারে পুরো দশ বছরের ঝাল মেটানোর জন্য পুরো পাঁচ বছরই মারামারি করবে। এতে করে দেশের ক্ষতি হবে। দেশের সব বড় উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে। দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হবে। তাই নিজে ছাড়াও পরিবারকেও বলেছি, উন্নয়নের সরকারকে ভোট দিতে। এতে দেশের শান্তি হবে। তার কথার সঙ্গে যোগ দিলেন আরও কয়েকজন ভোটার। তারা বলছিলেন, আমাদের কাজ করেই খেতে হবে। কোন সরকারই আমাদের ঘরে এসে খাবার দিয়ে যাবে না। তাই এমন কাউকে ভোট দিতে হবে, যারা ক্ষমতায় গেলে দেশে শান্তি থাকবে। হাঙ্গামা করতে পারে এমন কোন দলকে ভোট দেয়া যাবে না। স্বাভাবিক কারণেই বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোট দীর্ঘদিন পরে ক্ষমতায় গেলে হাঙ্গামা হবে। আর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তো আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, তারা ক্ষমতায় গেলে প্রতিশোধ নেবেন না। তার অর্থ বিএনপি-জামায়াতের দশ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার প্রতিশোধ নেয়ার ইচ্ছে আছে। যা তারা যে ক্ষমতায় গেলে, মারামারি করবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে। কেন্দ্রটিতে শত শত মানুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেয়ার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এলাকায় কোন হাঙ্গামা নেই। ভেতরের পরিবেশও চমৎকার। এছাড়া শেওড়াপাড়া হাজী আশ্রাফ আলী হাইস্কুল, কাজীপাড়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা, শেরেবাংলানগর আলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়সহ একাধিক কেন্দ্রে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে নারী-পুরুষদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেখা গেছে। তবে সর্বত্রই ছিল প্রযুক্তির ব্যবহার।
×