ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোট দিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেন ড. কামাল

প্রকাশিত: ০৫:০০, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

  ভোট দিয়ে সন্তোষ  প্রকাশ করলেন  ড. কামাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোটের আগে আশঙ্কা প্রকাশ করলেও রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। সকাল পৌনে ৯টায় ওই কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে কেন্দ্রের পরিবেশ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, এখানে ভালই ভোট হচ্ছে। সারাদেশের কি অবস্থা বলতে পারব না। খবর নিয়ে পরে জানানো হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ কেন্দ্রে ধানের শীষের পোলিং এজেন্ট ছিল। সকাল সাড়ে ৮টায় বেইলি রোডের বাসা থেকে ভোট দেয়ার জন্য ভিকারুননিসা নূন স্কুলের উদ্দেশে রওনা দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। সকাল পৌনে ৯টায় পায়ে হেটে তিনি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন। ভোট দেয়ার পর তিনি সেখানে দায়িত্বপালনরত প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এর পর ভোটকেন্দ্র থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাবন্দী থাকায় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো। এর বাইরে আসম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জাসদ, কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে অন্তর্ভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়। ভোট দেয়ার পর ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, খবর পেয়েছি সারাদেশে ভোটে কারচুপি হচ্ছে। এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে খবর এসেছে, রাতেই বিভিন্ন এলাকায় ভোট দেয়া হয়ে গেছে। এটা স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু এবং ৩০ লাখ শহীদের সঙ্গে বেইমানির শামিল। সেইসঙ্গে এটা খুবই উদ্বেগজনক বিষয়। ড. কামাল বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এটা অপ্রত্যাশিত। আমরা বলব, আমাদের দেশের পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অতীত-ভবিষ্যৎ রয়েছে। আশা করি তারা এর সুষ্ঠু তদন্ত করবে। ড. কামাল হোসেন বলেন, ৪৭ বছরের ইতিহাসে দেশের মানুষ যেখানে স্বাধীনভাবে মৌলিক অধিকার নিয়ে বাঁচতে চায়, কথা বলতে চায়, তখন মুক্তিযুদ্ধের ধ্বজাধারী দল আওয়ামী লীগ মানুষের সে অধিকার হরণ করে চলছে। সারাদেশের যে ভোট পরিস্থিতি জেনেছি, কোথাও মানুষ নিরাপদ নয়। পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। প্রার্থীদের জখম করা হয়েছে। গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটছে। জাতিকে মুক্তি দেয়ার জন্য এখনই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মিথ্যার রাজনীতির ওপর একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্র কখনও দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। ড. কামাল বলেন, আমি অনেক দুঃখের সঙ্গে বলছি, ভোটের প্রয়োজনীয়তা কত বেশি তা আমরা জানি। ১৯৭১ সালে আমরা ভোট দিয়ে জিতেছিলাম। কিন্তু পাকিস্তান সরকার জোর করে আমাদের ওপর তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছিল। ভোটাধিকার আদায়ের জন্য একাত্তরে আমরা প্রাণ দিয়েছি। সংবিধান অনুসারে জনগণই সব ক্ষমতার মালিক। আমরা সবাই রাষ্ট্রের মালিক। এই মালিকানা ভোটের মাধ্যমে প্রয়োগ করা যায়। ৩০০ এলাকায় জনগণের দায়িত্ব নিতে প্রার্থীরা ভোটে দাঁড়ায়।
×