ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শামীম

এসডিজি ॥ সম্মুখের নতুন চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮

এসডিজি ॥ সম্মুখের নতুন চ্যালেঞ্জ

টেকসই উন্নয়ন হলো উন্নয়নের একটি বৈশ্বিক পরিকল্পনা। এর মূল কথা হলো- ২০৩০ সালের মধ্যে মানুষের জন্য বসবাসযোগ্য একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুন্দর, সুখী ও সমৃদ্ধ পৃথিবী। মূল উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সবাইকে যুক্ত করা- কাউকে পেছনে ফেলে না রাখা। সহ¯্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ ২০১৬ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) গ্রহণ করে। এসডিজি এর মেয়াদ ২০১৬ থেকে ২০৩০ সাল। মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা ও ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট টার্গেট এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রাসমূহের ব্যাপারে ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে ১৯৩টি দেশ একমত হয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই সফলভাবে সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) পূরণে সক্ষম হয়েছে। শুধু তাই নয়, এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গণ্য হয়েছে। এমডিজিতে সাফল্যের পর, এসডিজি বাস্তবায়নের নতুন চ্যালেঞ্জ এখন আমাদের সামনে। এমডিজির যে আটটি লক্ষ্য ছিল, তা অর্জনে বাংলাদেশ অনুসরণীয় সাফল্য দেখিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশকে বলা হয় এমডিজির ‘রোল মডেল’। এমডিজি বা সহ¯্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সময় শেষ হয়েছে ২০১৫ সালে। জাতিসংঘ এমডিজির লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ সংক্রান্ত যে তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করেছে, তা হলো- বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবেই ৬ শতাংশের ওপরে রয়েছে। এ কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২৪.৮ শতাংশ। অর্থাৎ এমডিজির সফল বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশে অতি দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে কমে এসেছে। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে এই হার ছিল ৫৬.৭ শতাংশ। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষায় প্রকৃত ভর্তি হার ৯৭.৭ শতাংশ এবং ১৫ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার শিক্ষার হার ১৯৯০ সালের ৩৭.২ থেকে বেড়ে বর্তমানে ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯০ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুর হার ছিল প্রতি এক হাজারে ১৪৬ জন, যা ২০১৩ সালে ৪৬-এ নেমে এসেছে। বাংলাদেশ শিশুমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুহারের দিক দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে। বর্তমানে আমাদের শিশুমৃত্যুর হার হাজারে ৩২। এদিক বিবেচনায় শুধু শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, বিশেষ করে মাতৃস্বাস্থ্য ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানো হয়েছে। ১৯৯০ সালে দেশে বনভূমির পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক শূন্য শতাংশ, যা ২০১৪ সালে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ সময়ে ‘ওজোন’ ক্ষয়কারী পদার্থের পরিমাণ ২০২ ওডিপি টন থেকে হ্রাস পেয়ে ৬৪ দশমিক ৮৮ হয়েছে। ১৯৯০ সালে জনসংখ্যার ৭.৮ শতাংশ বস্তিতে বাস করত। বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫.২৫ শতাংশে। ১৯৯০-৯১ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের তুলনায় বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার পরিমাণ ছিল ৫.৫৯ শতাংশ। ২০১৩-১৪ সালে এর পরিমাণ ১.৭৮ শতাংশে নেমে এসেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতামত হলো, এমডিজির চেয়ে এসডিজি বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জসমূহ অনেক বেশি। লক্ষ্যগুলোও সংখ্যাগতভাবে বেশি এবং ব্যাপক। এসডিজি লক্ষ্যগুলো হলো- ১. দারিদ্র্য বিমোচন- সর্বত্র সব ধরনের দারিদ্র্য নির্মূল করা ২. ক্ষুধামুক্ত- ক্ষুধামুক্ত খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টির অর্জন ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা চালু। ৩. সুস্বাস্থ্য- স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করা ও সব বয়সের সবার কল্যাণে কাজ করা। ৪. মানসম্মত শিক্ষা- অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং সবার জন্য আজীবন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা। ৫. লিঙ্গ বা জেন্ডার সমতা- লিঙ্গ সমতা অর্জন এবং সব নারী ও মেয়ের ক্ষমতায়ন করা। ৬. সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা- সবার পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের সহজপ্রাপ্যতা ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। ৭. নবায়নযোগ্য ব্যয়সাধ্য জ্বালানি সবার জন্য ব্যয়সাধ্য, টেকসই ও আধুনিক জ্বালানি সুবিধা নিশ্চিত করা। ৮. কর্মসংস্থান ও অর্থনীতি- সবার জন্য দীর্ঘমেয়াদী, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পূর্ণাঙ্গ এবং উৎপাদনশীল ও উপযুক্ত কাজের সুবিধা নিশ্চিত করা। ৯. উদ্ভাবন ও উন্নত অবকাঠামো- দীর্ঘস্থায়ী অবকাঠামো তৈরি করা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শিল্পায়ন করা এবং উদ্ভাবন উৎসাহিত করা। ১০. বৈষম্য হ্রাস-দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় বৈষম্য হ্রাস করা। ১১. টেকসই নগর ও সম্প্রদায়-নগর ও মানব বসতিগুলোকে অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই করে তোলা। ১২. সম্পদের দায়িত্বপূর্ণ ব্যবহার-টেকসই ভোগ ও উৎপাদন রীতি নিশ্চিত করা। ১৩. জলবায়ু বিষয়ে পদক্ষেপ- জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ১৪. টেকসই মহাসাগর- টেকসই উন্নয়নের জন্য মহাসাগর, সাগর ও সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ ও সেগুলোর টেকসই ব্যবহার করা। ১৫. ভূমির টেকসই ব্যবহার- পৃথিবীর প্রতিবেশ (ইকোসিস্টেম) সুরক্ষা পুনর্বহাল ও টেকসই ব্যবহার করা, টেকসইভাবে বন ব্যবস্থাপনা, মরুকরণ রোধ, ভূমিক্ষয় রোধ ও বন্ধ করা এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি রোধ করা। ১৬. শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান- টেকসই উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ তৈরি করা, সবার জন্য ন্যায়বিচারের সুযোগ প্রদান করা, এবং সর্বস্তরে কার্যকর, জবাবদিহিমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। ১৭. টেকসই উন্নয়নের জন্য অংশীদারিত্ব- বাস্তবায়নের উপায়গুলো জোরদার করা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব পুনঃজীবিত করা ইত্যাদি। এসডিজির এই লক্ষ্যগুলোর মধ্যে- দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধামুক্ত, কর্মসংস্থান ও অর্থনীতি, মানসম্মত শিক্ষা, অসমতা কমিয়ে আনা, এবং জলবায়ু বিষয়ে পদক্ষেপ আমাদের দেশের জন্য সময়োপযোগী প্রধান ইস্যু। আবার এ লক্ষ্যগুলো পুরোপুরি অর্জন আমাদের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে এসডিজির লক্ষ্য এক ও দুই অনুযায়ী, সর্বত্র সব ধরনের দারিদ্র্য নির্মূল করা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, উন্নত পুষ্টির অর্জন ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা চালু করার কথা বলা হয়েছে। সারা বিশে^র জন্যই এসডিজি বাস্তবায়নে তা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনা। যদিও অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বিশে^ এখন অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কম। তবে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমার যে গতি তা এখনও মন্থর। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই চ্যালেঞ্জ একা মোকাবেলা করা অসম্ভব। ফলে এই কঠিন চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়ন এক্ষেত্রে অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য দূর করতে হলে সারা বিশ্বের সব দেশকেই এখাতে আরও বিনিয়োগ করতে হবে এবং একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আবার এসডিজির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য আট অনুযায়ী উৎপাদনশীল ও উপযুক্ত কাজের সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। টেকসই উন্নয়নে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি বা তা অব্যাহত রাখার জন্য এটা প্রতিটি দেশের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এই জন্য বেকারত্ব নিরসন বা সম্মানজনক কাজের ব্যবস্থা সারা বিশে^র জন্যই এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আরও ব্যাপক ও কঠিন। অথচ এসডিজি বাস্তবায়নে বিপুল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য যথোপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো সম্ভব নয়। যেমন- বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে এক তৃতীয়াংশই যুব সমাজ এবং এর বেশিরভাগই বেকার। এছাড়া প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ নতুন নতুন বেকার শ্রমিক শ্রম বাজারে যোগ হচ্ছে। ফলে আমাদের দেশের বিবেচনায় এসডিজির মূল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিপুল মানব সম্পদকে এসডিজি অর্জন উপযোগী শক্তিতে পরিণত করতে হবে এবং এদের যথাযথ কাজে লাগানোর জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ ব্যতীত অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী মানব সম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশ তিন ধাপ এগিয়েছে। ১৮৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৯, যা আগে ছিল ১৪২তম। তবে শ্রীলঙ্কা, ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, আমাদের চেয়ে এগিয়ে। আবার দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যুব জনগোষ্ঠীর বাস হলেও বৈশ্বিক যুব উন্নয়ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের অবস্থান খুব ভালো নয়। মূলত এসডিজির লক্ষ্য অর্জন নির্ভর করছে এই বিপুলসংখ্যক বেকার জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর এবং এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় সুযোগ তৈরি করার প্রদক্ষেপের ওপর। এসব প্রেক্ষাপটে বলা যায়, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সরাসরি বৈশ্বিক অংশদারিত্ব ও ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন বাংলাদেশের জন্য একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ। কারণ এমডিজির চেয়ে এক্ষেত্রে অর্থের পরিমাণ প্রয়োজন হবে কয়েকগুণ, যা আমাদের মতো দেশের একার পক্ষে যোগান দেয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বৈশি^ক লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য, বিশেষ করে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতি, মানসম্মত শিক্ষা, এবং জলবায়ু বিষয়ে পদক্ষেপ বৈশি^ক অংশীদারিত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশার কথা যে, এমডিজির সফলতার ধারাবাহিকতা নিয়ে বাংলাদেশ এসডিজি বাস্তবায়নে সঠিক পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই সরকারের ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজির লক্ষ্যসমূহ পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সকল মন্ত্রণালয়সমূহকে অন্তর্ভুক্ত করে সমন্বিত আকারে লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সকল মন্ত্রণালয়কেই লক্ষ্য অনুযায়ী দায়িত্ব বণ্টনপূর্বক কর্মকৌশল নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও বাংলাদেশের জন্য এসডিজি অর্জনে অনেক সম্ভাবনা বা সুযোগও আমাদের জন্য রয়েছে। মানব সম্পদের দিক দিয়েও এক গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে যাকে বলা হচ্ছে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড।’ বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতির আকার বিবেচনায় ৪২তম অবস্থানে আছে। ২০৩০ সাল নাগাদ বর্তমান অর্থনীতির ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ হবে বিশে^র ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। সাম্প্রতিক হংকং সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশনের গবেষণা সেল কর্তৃক গ্লোবাল রিচার্সে এমন পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ‘দি ওয়ার্ল্ড ইন ২০৩০ আওয়ার লংটার্ম প্রজেকশন ফর ৭৫ কান্ট্রিজ শিরোনামের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বাংলাদেশ আগামী ১২ বছরের মধ্যে ১৬ ধাপ অগ্রসর হবে বলে উল্লেখ করেছে। ক্রয় ক্ষমতার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে ৪৪ নম্বরে। বাংলাদেশ এখন বিরাট সম্ভাবনাময় উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। এ জন্যই আমরা স্বপ্ন দেখছি ২০৪১ এ উন্নত এক বাংলাদেশের।
×