ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সংসদীয় আসন বিশ্লেষণ

ফের ক্ষমতায় আসবে মহাজোট

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮

ফের ক্ষমতায় আসবে মহাজোট

সমুদ্র হক/মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী থেকে ॥ হিমালয় পাদদেশীয় উত্তরবঙ্গ এবারের শীত মৌসুমে শীতে কাহিল হয়ে পড়েনি। নির্বাচনী উষ্ণতায় পৌষের শীত জেঁকে বসতে পারছে না। আজ (শুক্রবার) সকাল ৮টার পর নির্বাচনী প্রচারের সুর ‘ভোট চাই ভোট চাই ভোট চাই ভাই...’ আগামী পাঁচ বছরের জন্য স্থগিত হয়ে যাবে। এরপর দু’দিনের ইলেকশন ফিভারে আক্রান্ত হবে দেশের ১৬ কোটি মানুষ। যার মধ্যে প্রায় ১০ কোটি ৪২ লাখ ভোটারের হাতের সিল ব্যালট পেপারের যে দলের প্রতীকে বেশি পড়বে তারাই জাতীয় সংসদে সরকার গঠন করবে। এই বিপুল ভোটারের মধ্যে ১৮ বছর ও ১৮ বছর প্লাস বয়সী নতুন ভোটার প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ। ২৮ বছর বয়সের নিচে প্রায় আড়াই কোটি ভোটার একেবারে তরুণ। মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক নারী। নতুন ও তরুণ ভোটার এবং লিঙ্গ সমতায় (জেন্ডার ইক্যুয়েলিটি) নারী ভোটারদের ভোট এবারের নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে, এমনটি মনে করেন সুধীজন। এদিকে দেশের ৩শ’ সংসদীয় আসনের মধ্যে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলায় (যা উত্তরাঞ্চল হিসাবে পরিচিত) আসন ৭২টি। রাজশাহী বিভাগে ৩৯ ও রংপুর বিভাগে ৩৩ আসন। যা দেশের প্রায় এক চতুর্থাংশ। অধিক জনঘনত্বের এই অঞ্চলের ভোটার সংখ্যা প্রায় পৌনে তিন কোটি। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে উত্তরাঞ্চলের সাধারণ মানুষের বলাবলি- এবারের নির্বাচনেও জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকলে জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হয়ে সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসতে পারে। এবারের ভোটে ভোটারদের মাইন্ডসেটে একটি বিশেষ বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা হলো : নিকট অতীতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়ির কর্তা সেই বাড়ির ভোটারদের ভোট প্রদানে প্রার্থী নির্ধারণ করে দিত। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এই প্রবণতা ছিল বেশি। গত দশ বছরে লিঙ্গ সমতা, নারী শিক্ষার অগ্রসরতা, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রগতির ধারায় নারী ও পুরুষের বিশেষ করে প্রজন্মের তারুণ্যে ভারচুয়াল (পরাবাস্তব) লাইফের প্রতি আসক্তির কারণে পরিবারের কর্তাদের ভোট প্রদানে ‘ইনসিস্ট’ করার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন সকলেরই নিজস্ব সিদ্ধান্ত দেয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ করে প্রজন্মের তরুণ তরুণীদের পছন্দ প্রযুক্তির ব্যবহার। আওয়ামী লীগ সরকার এই কাজটি খুব ভালভাবেই করেছে। যে কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীগণ (বড় ধরনের বিতর্ক না থাকলে) তরুণদের কাছে টানতে পারছেন। অবশ্য উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় জাতীয় পার্টি ও বিএনপির অবস্থানও একেবারে মন্দ নয়। উত্তরাঞ্চলের দুই বিভাগে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির অধিকতর শক্তিধর (হেভি ওয়েট) প্রার্থী আছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর আসন রংপুর-৫ (পীরগঞ্জ), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সিরাজগঞ্জ- ১ আসনে, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আসনে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ও বিশিষ্ট্য নাট্য ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর নিলফামারী-২ (সদর) আসনে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজার রহমান দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ি-পার্বতীপুর) আসনে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম রাজশাহী-৬ (বাঘা ও চারঘাট) আসনে, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক নাটোর-৩ আসনে, সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম দিনাজপুর-৩ আসনে, মহাজাটের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রংপুর-৩ (সদর) আসনে। জাপার মহাসচিব প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা রংপুর-১ (গঙ্গাচরা ও সিটির অংশিক) আসনে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঠাকুরগাঁও-১ ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনে,আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ জয়পুরহাট-২ আসনে, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাহ রাজশাহী-২ (সদর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উত্তরবঙ্গের ৬টি আসনে বিএনপি তাদের পক্ষে জামায়াতের প্রার্থী দিয়েছে। তারা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে আছেন। এগুলো হলো ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-১, নীলফামারী-২, নীলফামারী-৩, গাইবান্ধা-১, সিরাজগঞ্জ-৪ ও পাবনা-৫ আসন। এ ছাড়াও বিএনপি কুড়িগ্রাম-২ ও পাবনা-১ আসনে গণফোরামের প্রার্থী দিয়েছে। আওয়ামী লীগ উত্তরবঙ্গের ১২টি আসনে মহজোটের শরিক জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী দিয়েছে। এগুলো হলো রংপুর-৩ (সদর), রংপুর-১ , নীলফামারী-৩, নীলফামারী-৪, লালমনিরহাট-৩, কুড়িগ্রাম-১, কুড়িগ্রাম-২, গাইবান্ধা-১, বগুড়া-২,৩,৬,৭ আসনে । এ ছাড়ও আওয়ামী লীগ রাজশাহী-২, ও ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী দিয়েছে। উত্তরবঙ্গের ৪টি আসনে বিএনপির প্রার্থিতা আইনী প্রক্রিয়ায় বাতিল হয়েছে। এগুলো হলো বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩, নীলফামারী-৪, গাইবান্ধা-৪। উত্তরবঙ্গের গাইবান্ধা-৩ আসনে একজন প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ওই আসনের নির্বাচন আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। উত্তরাঞ্চলের প্রেক্ষাপটে দেখা যায় রাজশাহীর ৬টি আসনের মধ্যে ৫টি আসনেই আওয়ামী লীগের অবস্থা ভাল। রাজশাহী-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশাহর সঙ্গে বিএনপির প্রার্থী সাবেক সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। দু’জনের জনপ্রিয়তা আছে। রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ি) আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই প্রার্থী যথাক্রমে ওমর ফারুক চৌধুরী ও আমিনুল হক সাবেক মন্ত্রী। বিএনপির প্রার্থী আমিনুল হকের বিরুদ্ধে জঙ্গী মদদদানের অভিযোগে তার অবস্থান সেই পর্যায়ে নেই। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের আয়েন উদ্দিন ও বিএনপির শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগের এনামুল হক ও বিএনপির আবু হেনার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বাগমারা এলাকাটি জঙ্গী উত্থানের এলাকা। যে কারণে আওয়ামী লীগ অনেকটাই প্লাস পয়েন্টে আছে। রাজশাহী-৫ (পুটিয়া-দুর্গাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনসুর রহমান তারুণ্যের আভায় নতুন প্রার্থী। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন সোনারমুকুট খ্যাত নাদিম মোস্তফা। তার প্রার্থিতা খারিজ হওয়ায় বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন নজরুল ইসলাম। এই আসনেও আওয়ামী লীগের অবস্থানটি খুব ভালো। রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থিতা খারিজ হওয়ায় শাহরিয়ার আলমের অবস্থান খুবই ভল। এদিকে রংপুরের ৬টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আছে চারটি আসনে। রাজশাহী ও রংপুরের ১২ টি আসনের মধ্যে রাজশাহীর ৫ আসন এবং রংপুরের ৪ আসনে আওয়ামী লীগের অবস্থান বিজয়ী হওয়ার মতো। পাশাপাশি রাজশাহীর একটি আসনে মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি এবং রংপুরে দুইটি আসনে মহাজোটের শরিক জাপার অবস্থান খুব ভাল। সর্বউত্তরের পঞ্চগড়-১ (সদর-তেঁতুলিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাজাহারুল হক প্রধান নবম সাধারণ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক স্পীকার জমির উদ্দিন সরকারকে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধান পরাজিত করেন। এবার ওই আসনে তিনি প্রার্থী। তার প্রতিপক্ষ বিএনপির নওশাদ জমির। তিনি জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে। ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন। বিএনপির প্রার্থী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রমেশচন্দ্র সেন জনপ্রিয় প্রার্থী। তিনি দীর্ঘ সময় পর নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন। আর বিএনপির প্রার্থী মির্জা ফখরুল কেন্দ্রীয় মহাসচিব। জনপ্রিয়তার ইমেজ আর দলীয় ইমেজেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দু’জনার মধ্যে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বগুড়া-৬ (সদর) আসনেরও প্রার্থী। মির্জা ফখরুল ইসলামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও। বগুড়ায় তিনি অতিথি হিসাবে খালেদা জিয়ার পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বগুড়া-৬ আসনের মূল প্রার্থী খালেদা জিয়া। দুর্নীতির মামলায় তার কারাদ-াদেশ হওয়ায় এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন মির্জা ফখরুল। দিনাজপুরের ৬টি আসনেই আওয়ামী লীগের অবস্থান ভাল। গেল রবিবার শেখ হাসিনার ঝটিকা সফরে ১২টি পথসভা করার পর যে টুকু নিরবতা ছিল তাও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে আওয়ামী লীগের প্রবীণ প্রার্থী মনোরঞ্জন শীল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি জোটের জামায়াত প্রার্থী মোহাম্মদ হানিফ। দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী। বিএনপির প্রার্থী সাদেক রিয়াজ চৌধুরী। পারিবারিক বন্ধনে তারা চাচা-ভাতিজা। এর মধ্যে খালিদের অভিজ্ঞতা বেশি। দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। এই আসনে বিএনপির প্রার্থিতা স্থগিত হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এসেছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী বদিউজ্জামান বাদল। দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে লড়ছেন বিএনপির প্রার্থী আখতারুজ্জমান। তিনি সাবেক মন্ত্রী। দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজার রহমান। তিনি এই আসনে ৬ বার বিজয়ী এমপি। জনপ্রিয়তাই তার বিজয়ের বড় সিঁড়ি। এবারও নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। লাকি সেভেনের বিজয়ের আলো তার সমুখে। দিনাজপুর-৬ আসনটি চারটি উপজেলা নিয়ে। এগুলো বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট। এই আসনের আওয়ামী লীগের নবীন প্রার্থী শিবলী সাদিক। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জামায়াতের আনোয়ারুল ইসলাম। নীলফামারীর চারটি আসনের মধ্যে ১ ও ২ আসনে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী যথাক্রমে আফতাব উদ্দিন সরকার ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এর মধ্যে ব্যক্তি ইমেজের পাশাপাশি মানবিক গুণাবলি এবং এলাকার উন্নয়নের সার্বিক অবদানে আসাদুজ্জামান নূরের বিকল্প নেই। নীলফামারী ৩ ও ৪ আসনে আছেন মহজোটের জাপা প্রার্থী। নীলফামারী-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থিতা স্থগিত। বিএনপি প্রার্থী দিয়েছে নীলফামারী-১ আসনে। ২ ও ৩ আসনে বিএনপির পক্ষে ধানের শীষে লড়ছেন জামায়াত প্রার্থী। লালমনিরহাট-১ (হাতিবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনটিতে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ এর নির্বাচনে এমপি ছিলেন জাপা প্রার্থী। অষ্টম নির্বাচন (২০০১) সাল থেকে পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে এই আসনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি মোতাহার হোসেন। এবারও তিনি প্রার্থী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাসান রাজিব প্রধান। লালমনিরহাট-৩ আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাপার জি এম কাদের। জয়পুরহাট-১ (সদর ও পাঁচবিবি) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল আলম দুদু। এই আসনে বিএনপির প্রার্থিতা খারিজ হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি। নওগাঁর ৬টি আসনের প্রতিটিতেই আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি। ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন জন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আব্দুল জলিলের ছেলে। লন্ডনে আইন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি রাজনীতিতে এসেছেন। তরুণ এই প্রার্থী জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। নওগাঁ-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী আলমগীর কবির জঙ্গী মদদদানে বিতর্কিত। নাটোরের চারটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি। নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী জুনায়েদ আহমেদ পলক তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। সিংড়ার উন্নয়নে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার নির্বাচনী প্রচার গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এলাকায় তার জনপ্রিয়তা আছে। নাটোর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থিতা খারিজ হয়েছে। সিরাজগঞ্জের ৬টি আসনের মধ্যে সিরাজগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। এই আসনে তার গ্রহণযোগ্যতা বেশি। সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন জামায়াত প্রার্থী। বাকি আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিএনপি। পাবনার ৫টি আসনের মধ্যে একটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী গণফোরামের প্রার্থী আবু সাইয়ীদ। অরেকটি আসনে জামায়াত।
×