ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে প্রার্থী ১১২

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে প্রার্থী ১১২

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বহুল প্রতীক্ষিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ রবিবার। চট্টগ্রামে ১৬টি আসনে লড়ছেন বিভিন্ন দলের ১১২ জন প্রার্থী। মোট ভোটার ৫৬ লাখ ৪১ হাজার ২১৯। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন। নির্বাচনী এলাকায় চলছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল। নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে ভোটারদের পরামর্শ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার। এদিকে, টানা ১৭ দিনের গণসংযোগ ও প্রচারের পর শনিবার নগরীসহ পুরো চট্টগ্রাম ছিল অনেকটাই নিস্তব্ধ। সড়কে যানবাহন চলাচলও অনেক কম। ভোট উৎসবে মেতে উঠতে যে ভোটাররা ছিলেন অধীর অপেক্ষায়, তা অবসান ঘটতে যাচ্ছে আজ। চট্টগ্রাম জেলায় মোট আসন ১৬টি। এর মধ্যে উত্তর চট্টগ্রামে ৭টি, নগরীতে ৪টি ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে ৫টি আসন রয়েছে। মোট ১ হাজার ৮৯৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। বুথের সংখ্যা ১০ হাজার ৭০৭। জেলার ভোটগ্রহণ কাজে প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারসহ নিয়োজিত থাকছেন ৩৪ হাজার ২০ জন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে। এরপর গণনা শেষে শুরু হবে ফলাফল ঘোষণা। ফলে এতদিন ধরে গণসংযোগ ও প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে এক ধরনের উৎকণ্ঠা। নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতিই গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা চাই কেউ যেন ভোট কেন্দ্রে যেতে শঙ্কিতবোধ না করেন। ইতোমধ্যে পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি মোটিভেশনাল সভা হয়েছে। উদ্দেশ্য ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করা। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সিএমপির সাড়ে ৬ হাজার পুলিশ সদস্য নির্বাচন কাজে নিয়োজিত থাকবে। এর বাইরে আরও পুলিশ স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক ফোর্সের পাশাপাশি ৫টি কেন্দ্র নিয়ে একটি করে মোবাইল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া থাকছে স্ট্রাইকিং টিম। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসে শনিবারের ব্যস্ততা ছিল অন্যদিনের চেয়ে আলাদা। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে রক্ষিত ব্যালট বাক্সসহ ভোটের সরঞ্জামগুলো বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠানো শুরু সকালেই। কঠোর নিরাপত্তায় বিকেল নাগাদ সকল সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যায়। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসেন খান জানান, বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠানো নির্বাচন সরঞ্জামগুলো যথাযথ নিরাপত্তায় রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১১২ প্রার্থী। এর মধ্যে উত্তর চট্টগ্রামের ৭টি আসনে ৪২ জন, মহানগরীর ৪টি আসনে ৩২ ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৫টি আসনে ৩৮ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে রয়েছেন। সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে। তবে দুটি আসনে লাঙ্গল ও একটি আসনে ছাতা প্রতীকের প্রার্থী রয়েছেন। এরমধ্যে হাটহাজারীতে জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এবং বাঁশখালীতে একই দলের মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব) অলি আহমদ ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হলেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছাতা প্রতীকে।
×