ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রেফতার নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে ॥ রিজভী

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮

  গ্রেফতার নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে ॥ রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপিকে ভোট থেকে দূরে রাখতে দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপির নির্বাচনী এজেন্ট, কর্মী ও সমর্থকদের এলাকাছাড়া করছে। এখন গ্রামে গ্রামে সশস্ত্র মহড়া চলছে। এ জন্য সারাদেশে ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। সেনাবাহিনীকে মাঠে নামিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখেছেন সিইসি। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। রিজভী বলেন, ৮ নবেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে বিএনপির ১০ হাজার ৩২৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৮৪৪টি মামলা এবং দুই হাজার ৮৯৬টি হামলা চালানো হয়েছে, যাতে আহতের সংখ্যা ১৩ হাজার ২৫২ ও মৃতের সংখ্যা ৯ জন। কেবল বৃহস্পতিবারই বিভিন্ন জেলায় ৩৮টি বানোয়াট মামলা দেয়া হয়, গ্রেফতার করা হয় এক হাজার ১২৭ জন নেতাকর্মীকে। এছাড়া একজন খুনের শিকার হয়েছেন। রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে কয়েকটি প্রশ্ন করতে চাই- বিএনপি মহাসচিবের গাড়িবহরে হামলা করেছে কে? বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আঘাত করে রক্তাক্ত করেছে কে? ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রোমানা মাহমুদকে গুলি করেছে কে? হাবিবুর রহমান হাবিবকে হত্যা করার জন্য ছুরিকাঘাত করেছে কে? মির্জা আব্বাসের মিছিলে, আফরোজা আব্বাসের মিছিলে, ড. মঈন খানের মিছিলে, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মিছিলে, মেজর হাফিজ ও হাসিনা আহমেদের মিছিলে হামলা করেছে কে? শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর ওপর হামলা চালিয়েছে কে? হাফিজ ইব্রাহিমের ওপর হামলা করেছে কে? ধানের শীষের নবীন প্রার্থী ডাঃ সানসিলা প্রিয়াংকার ওপর হামলা চালিয়েছে কে? তেমনিভাবে সারাদেশে ধানের শীষের শতাধিক প্রার্থীর ওপর রক্তাক্ত হামলার ঘটনা ঘটেছে, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে? এখনও বিভিন্নস্থানে ধানের শীষের প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ আছেন। যারা এসব সহিংস অপকর্মে লিপ্ত তাদেরকে কি শান্তির বার্তাবাহক বলতে হবে? রিজভী বলেন, জেলায় জেলায় বেপরোয়া আটক অভিযানে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িছাড়া করা হচ্ছে। আর দাবি করা হচ্ছে বিএনপি নাশকতা করছে। নাশকতাকারীদের ট্রেনিং সেন্টার তো আওয়ামী লীগেই বিদ্যমান। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে মাঠে নামিয়ে তাদের হাত-পা বেঁধে রেখেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, জুলুমের সব বেড়াজাল ছিন্ন করে ৩০ তারিখে ভোট কেন্দ্রে যাবে মানুষ। রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের গুন্ডামিতে বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষের প্রার্থীদের মিছিলে বাধা দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ বিএনপির নির্বাচনী এজেন্ট, কর্মী ও সমর্থকদের এলাকাছাড়া করেছে। সারাদেশে এখনও ভীতিকর অবস্থা বিদ্যমান। রিজভী বলেন, জেলায় জেলায় বেপরোয়া গ্রেফতার অভিযানে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িছাড়া করা হচ্ছে। আর আওয়ামী লীগ বলছে বিএনপি নাকি নাশকতা করছে। নাশকতাকারীদের ট্রেনিং সেন্টার তো আওয়ামী লীগেই বিদ্যমান। তারপরও আওয়ামী লীগকে সাধু বলতে হবে?
×